Inqilab Logo

বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ক্ষুদ্রঋণের আলাদা সিআইবি হচ্ছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৫ অক্টোবর, ২০১৮, ১২:০১ এএম

দেশের ক্ষুদ্রঋণ খাতে শৃঙ্খলা আনতে একটি আলাদা ‘ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরো’ বা সিআইবি গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি (এমআরএ)। এটি বাস্তবায়ন করতে ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক (ইডি) গৌরাঙ্গ চক্রবর্তীকে প্রকল্প পরিচালক নিয়োগ করা হয়েছে। এতে আর্থিক সহযোগিতা দিচ্ছে যুক্তরাজ্য সরকারের বৈদেশিক উন্নয়ন সহযোগিতা সংস্থা ডিএফআইডি।
সূত্র জানায়. ক্ষুদ্রঋণ প্রদানকারী সংস্থাগুলোর নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান- মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি থেকে নিবন্ধন নিয়ে দেশে যারা ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম পরিচালনা করছে, তাদের ঋণের যাবতীয় তথ্য এখানে থাকবে। এর মধ্যে ঋণ গ্রহীতার নাম, উত্তরাধিকারের নাম, ঠিকানা, ঋণের পরিমাণ, ঋণের অবস্থা, খেলাপি হলে তার বিস্তারিত তথ্য, কয়টি প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নেয়া হয়েছে, ঋণের পরিমাণসহ বিস্তারিত তথ্য থাকবে।
কোনো খেলাপি ঋণ গ্রহীতা যাতে অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিতে না পারে এবং কোনো গ্রহীতা যাতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে মাত্রাতিরিক্ত ঋণ নিয়ে ঝুঁকিতে না পড়ে-এসব বিষয় তদারকি করার জন্য সিআইবি গঠন করা হচ্ছে। সিআইবি চালু হলে ঋণ গ্রহীতারা গোপনে একাধিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিতে পারবেন না। এক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিয়ে আরেক প্রতিষ্ঠানের ঋণ শোধ করতে পারবেন না।
বর্তমানে ক্ষুদ্রঋণ খাতে কেন্দ্রীয় কোনো ঋণ তথ্যভান্ডার নেই। যে কারণে গ্রহীতারা মিথ্যা তথ্য দিয়ে একই গ্রাহক একাধিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিচ্ছেন। খেলাপি হলে ওই প্রতিষ্ঠান ছাড়া অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান শনাক্ত করতে পারছে না। ফলে খেলাপি প্রতিষ্ঠান বাদ দিয়ে অন্য প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিচ্ছে। এভাবে এক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিয়ে অন্য প্রতিষ্ঠানের ঋণ শোধ করছে। এতে সংশ্লিষ্ট ঋণগ্রহীতা যেমন ঋণের ফাঁদে পড়ে যাচ্ছেন। তেমনি একাধিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলোকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিচ্ছেন। নতুন এই উদ্যোগ কার্যকর হলে তখন কোনো গ্রাহককে কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নেয়ার ক্ষেত্রে সিআইবি সনদ লাগবে। এই সনদ মাঠ পর্যায় থেকেই গ্রাহকরা পেয়ে যাবেন অনলাইনের মাধ্যমে।
এমআরএ সূত্র জানায়, পুরো সিআইবিটি হবে অনলাইনভিত্তিক। এমআরএ থেকে ক্ষুদ্রঋণ বিতরণের জন্য নিবন্ধন পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো সিআইবির সদস্য হতে হবে। প্রতিটি প্রতিষ্ঠান অনলাইনের মাধ্যমে সিআইবিতে ঋণ গ্রহীতাদের ব্যাপারে যেমন তথ্য সংযোজন করতে পারবে, তেমনি গ্রহীতাদের তথ্য সংগ্রহও করতে পারবে। কেন্দ্রীয় সিআইবিকে সহযোগিতা করতে প্রতিষ্ঠানগুলো নিজস্বভাবে আলাদা সিআইবি গড়ে তুলবে। এতে শাখা পর্যায় থেকেই সব তথ্য পাওয়া যায়। তবে কেন্দ্রীয় সিআইবির সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করবে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রধান কার্যালয়। সূত্র জানায়, ক্ষুদ্রঋণ খাতে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা ও তদারকি বাড়াতে ২০০৪ সালে এমআরএ কাজ শুরু করে। এরপর থেকে তারাই এটি গঠন করার উদ্যোগ নেয়। #



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ