পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি, প্রার্থী ও নির্বাচনী এজেন্টদের প্রশিক্ষণ দেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এছাড়া নির্বাচনের সঙ্গে জড়িত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীসহ পর্যবেক্ষকদের ও প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। এর আগে কখনও পোলিং এজেন্টদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়নি। এবারই প্রথম তাদের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের (ইটিআই) মহাপরিচালক মোস্তফা ফারুক সাংবাদিকদের বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আমরা আমাদের যাবতীয় প্রশিক্ষণ কার্যক্রম কিভাবে দেব সেটি নির্ধারিত করেছি। বিভিন্ন পর্যায়ে আমরা ১২টি প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করবো। এরমধ্যে একটি বিষয় নতুন আছে সেটি হলো অতীতের কোনো জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পোলিং এজেন্টদেরকে কখনো কোনো প্রশিক্ষণ দেয়া হয়নি। এবার নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, পোলিং এজেন্টদেরকে আমরা প্রশিক্ষণ দেব।
তিনি বলেন, তফসিল ঘোষণার পর আমরা রিটার্নিং কর্মকর্তা, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকেও প্রশিক্ষণ দেব। এর বাইরেও সারাদেশের প্রায় আট লাখ নির্বাচনী কর্মকর্তাকে অর্থাৎ প্রিজাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে যারা দায়িত্ব পালন করবেন তাদেরকে প্রশিক্ষণ দেব। এগুলো নির্বাচনের ৫ থেকে ১০ দিন আগে প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করা হবে। ইএমএস, সিএমএস ও আরএমএসএসবের সঙ্গে যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সম্পৃক্ত থাকবেন তাদেরকেও প্রশিক্ষণ দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব ৬০০ কর্মকর্তাকে সকল সাচিবিক দায়িত্ব সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। এর বাইরে আমরা ইভিএমের প্রশিক্ষণ শুরু করেছি। ইতোমধ্যে ১২টি ব্যাচে ৩০০ এর বেশি নিজস্ব কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। ২৪ ব্যাচে আমাদের এ প্রশিক্ষণ কর্যক্রম শেষ হবে। একসঙ্গে যারা মাঠপর্যায়ে প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেবেন তাদেরকেও আমরা প্রশিক্ষণ দেয়া শুরু করেছি। এ পর্যায়ে আমাদের নিজস্ব ৬০০ কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রম যেভাবেই হোক তফসিল ঘোষণার আগেই অক্টোবর মাসের মধ্যেই আমরা শেষ করবো। এছাড়া আমাদের মাঠপর্যায়ের ১৫০ কর্মকর্তাকে আমরা ইভিএমের উপর প্রশিক্ষণ দিয়েছি। একাদশ জাতীয় সংসদে ইভিএম ব্যবহারের কতটুকু প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দেখুন এখন পর্যন্ত জাতীয় সংসদে ইভিএম ব্যবহারের আইনগত কোনো ভিত্তি নেই। নির্বাচন কমিশন একটি আইন সংশোধন করে আইন প্রণয়নকারীদের কাছে পাঠিয়েছে। এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি জাতীয় সংসদে ইভিএম ব্যবহার হবে কি না। তবে প্রশ্ন আসতে পারে কেন প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন? সেক্ষেত্রে বলবো আমাদের স্থানীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের আইনগত ভিত্তি রয়েছে এবং স্থানীয় নির্বাচনে এর ব্যবহার ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। এছাড়া একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ হওয়ার পরপরই সারা বাংলাদেশের সকল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের সময় চলে আসবে। আমরা সাধারণত স্থানীয় নির্বাচনের জন্যই প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
নির্বাচন কমিশন থেকে জানা যায়, সংবিধান অনুযায়ী আগামী ৩০ অক্টোবর থেকে আগামী ২৮ জানুয়ারির মধ্যে সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন করার উদ্যোগ নিচ্ছে কমিশন। এসময় সীমার মধ্যে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হচ্ছে। তবে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনী চূড়ান্ত না হওয়ায় ইভিএম ব্যবহার সংক্রান্ত বিধিমালা চূড়ান্ত ও নির্বাচনী ম্যানুয়েল তৈরি করতে পারছে না কমিশন। জাতীয় সংসদ নির্বাচন কে সামনে রেখে ভোটার তালিকার সিডি প্রস্তুত করে মাঠপর্যায়ে পাঠানো হয়েছে। নির্বাচনী সামগ্রীর মধ্যে গানি ব্যাগ ও হেসিয়ান ব্যাগ সরকারি সংস্থা বিজেএমসি থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। স্ট্যাম্প প্যাড, সিলগালা, অফিসিয়াল সিল, মার্কিং সিল, ব্রাস সিল ও অমোচনীয় কালি সংগ্রহে ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়েছে। অক্টোবর মাসের মধ্যে এসব সামগ্রী ইসির ভান্ডারে পৌঁছবে। এছাড়া গত এপ্রিলে ২৫টি আসনের সীমানা পরিবর্তনের মধ্যদিয়ে সংসদীয় আসনের সীমানা চূড়ান্ত করে ইসি। এনির্বাচন উপলক্ষ্যে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন প্রক্রিয়া শেষ করা হয়েছে। এতে নতুন কোনো দল নিবন্ধন পায়নি। নিবন্ধন দেয়া হয়েছে ১১৯টি দেশীয় পর্যবেক্ষক সংস্থাকে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।