পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
একাদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে ইসিতে মত ভিন্নতা ও কর্তৃত্ব নিয়ে অসন্তোষের মধ্যে দেড় মাস ধরে কোনো বৈঠক না হলেও ১৫ অক্টোবর সভা হচ্ছে। সর্বশেষ ৩০ অগাস্ট কমিশন সভা বসেছিল আরপিও সংশোধন নিয়ে। সেই সভায় নির্বাচন কমিশন মাহবুব তালুকদার সভা বর্জন করেছিলেন। পরে পরিস্থিতি প্রশমিত হয়েছে বলে ইসি দাবি করেছে। তবে আগামী বৈঠক দুই একজন কমিশনার সভা বর্জন করতে পারেন এমন গুনঞ্জন রয়েছে।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে আগামী ২৮ থেকে ৩০ অক্টোবর যে কোনো দিনের মধ্যে প্রেসিডেন্ট মো: আব্দুল হামিদের সঙ্গে সাক্ষাত করতে চিঠি দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা। ইসি সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। ইসির নির্বাচন পরিচালনা ও সমন্বয় শাখাসহ সব বিভাগে কাজ ভাগ করে এক সপ্তাহের মধ্যে ‘একাদশ সংসদ নির্বাচন পরিচালনায় কর্মপরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন সূচি’র চূড়ান্ত কপি কমিশনে উপস্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে।
ইসির উপ সচিব (সংস্থাপন) মো. মঈন উদ্দীন খান স্বাক্ষরিত সভার চিঠি বলা হয়েছে,১৫ অক্টোবর সকালে ৩৬তম কমিশন সভা হবে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি)কে এম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে সিইসির সভাকক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
একাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতির বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে অবহিতকরণ। এসব কর্মপরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা শেষে ভোটের পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হবে। প্রেসিডেন্টের কাছে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, আগামী ২৮ থেকে ৩০ অক্টোবর যে কোনো দিনের মধ্যে সাক্ষাৎ করতে চায় কে এম নূরুল হুদা নেতৃত্বাধীন কমিশন। ইসির অতিরিক্ত সচিব মো. মোখলেছুর রহমান ইনকিলাবকে বলেন, দুদিন আগে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাত চেয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে। চিঠিতে আগামী ২৮, ২৯ ও ৩০ অক্টোবরের যে কোনো একদিন সাক্ষাতের সময় চাওয়া হয়েছে। সাধারণত তফসিল ঘোষণার আগে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করে কমিশন। জানাগেছে, আগামী কমিশন সভায় ভোটের সর্বশেষ প্রস্তুতি নিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরা হবে। অন্তত ৯৬টি মহাপরিকল্পনা ও তা বাস্তবায়ন সূচির লক্ষ্যমাত্রা কমিশনকে অবহিত করা হবে। তবে এই ৯৬ কর্মপরিকল্পনায় কি আছে সে বিষয়ে এখনই মুখ খুলতে নারাজ ইসির সংশ্লিষ্টরা। একাধিক কর্মকর্তা বলেন, এসব পরিকল্পনা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তাই কমিশন বৈঠকের আগে এসব নিয়ে কিছু বলা যাবে না। বৈঠকে চূড়ান্ত হওয়ার পরই কেবল কর্মপরিকল্পনা প্রকাশ করা যাবে। তার আগে কিছু বলা যাবে না। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কর্মকর্তা বলেন, আগামী বৈঠকে নিয়ে কমিশনের অনেকই চিন্তিত। এ বৈঠকেও দুই তিনজন কমিশনার সভা বর্জন করতে পারেন। সেই আশঙ্কায় রয়েছে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও সচিব। তারা সব সময় কমিশনারদের নজরে রাখছেন। ইতোমধ্যে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেছেন, একাদশ জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতির প্রায় ৮০ শতাংশ কাজ গুছিয়ে আনা হয়েছে। যথাসময়ে তা কমিশনকে জানানো হবে। কোনো দিনক্ষণ নির্দিষ্ট করা হয়নি। তবে একটা সময় নিধারণ করা হচ্ছে। যেহেতু ৩০ অক্টোবর নির্বাচনের ক্ষণ গণনা শুরু হবে, এরপর যে কোনো সময় তফসিল করতে পারে কমিশন। ইসির প্ল্যান ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করার কথা থাকলেও তা পিছিয়ে জানুয়ারীতে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
সংবিধান অনুযায়ী ৩০ অক্টোবর থেকে ২৮ জানুয়ারির মধ্যে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও এর আগে ডিসেম্বরে এ নির্বাচন আয়োজনের কথা বলেছিলেন। ইসি সচিব এ বিষয়ে বলেন, আগেরবারের নির্বাচন ৫ জানুয়ারি (২০১৪) ভোট হয়েছিল। এখন তো ১ জানুয়ারি বই বিতরণ, অ্যাকাডেমিক বর্ষ শুরু হয়। সাধারণত ডিসেম্বরের শেষের বন্ধ থাকে স্কুল-কলেজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এই নিবাচন কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার হয়। এসব বিবেচনায় রেখেই সিদ্ধান্ত নেবে ইসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।