বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
পাবনায় রাস্তা-সড়কের বেহাল দশা কাটছে না। চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে জেলা সদর, উপজেলাসমূহের অনেক রাস্তা-ঘাট। পাবনার চাটমোহরের চাটমোহর ছাইকোলা(সড়ক ও জনপথ বিভাগের রাস্তা), চাটমোহর বাসস্ট্যান্ড-ভাদরা বাইপাস সড়ক (সড়ক ও জনপথ বিভাগের রাস্তা), চাটমোহর পার্শ্বডাঙ্গা , চাটমোহর হরিপুর (এলজিইডি) চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে । ইতোমধ্যে রাস্তার কাজের জন্য পাবনায় ঠিকাদরাকে ২০% জরিমানা দিতে হয়েছে। রাস্তা নির্মাণ সংষ্কারের পর খুব বেশী দিন না টেকার কারণে। ঠিকাদরদের অনেকে মৌখিকভাবে জানিয়েছেন, তাদের করার কিছু থাকে না। ২০% লেসে একটি কাজ পাওয়ার পর ওয়ার্ক অর্ডার নিতে দিতে হয় আড়াই পারসেন্ট উৎকোচ । আগে কাজের পর দিতে হতো এখন সড়ক ও জনপথ বিভাগে কাজের আগেই দিতে হচ্ছে। যদিও এই কথা স্বীকার করেন না নির্বাহী প্রকৌশীল, উপজেলা প্রকৌশলী। এরপর যে স্থানে কাজটি করা হচ্ছে সেখানে নানা নামে অর্থ গুনতে হয়। প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে কাজের তদারকিতে যারা আসেন তাদের সন্তুষ্ট করতে হয়। এই সব মিলিয়ে একশত টাকার একটি কাজে বাউলা অর্থ বেড়িয়ে যায় প্রায় ৪০ শতাংশ। আর কিনে কাজ করলে আরো বেশী ব্যয় হয়। গড়পরতা কাজের অর্থ দাঁড়ায় ৫০ শতাংশ। একশত টাকার কাজ ৫০ টাকায় কিভাবে মান সম্পন্ন করা সম্ভব ? গোড়ায়া গলদ না থাকলে ইচ্ছা করে কোন ঠিকাদার নি¤œমানের কাজ করতে চান না, বাধ্য হন। প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে , ঠিকাদারদের এই সব বক্তব্য সঠিক নয়। একটি কাজের উপর কমপক্ষে ২০ শতাংশ বেশী ধরে এক্সটিমেট করা হয়। লস হওয়ার কোন কারণ নেই। কাজের স্থানে কোন ম্যাসেলম্যানদের ঠিকাদাররা অর্থ দিলে সেটি তাদের জানার কথা নয়। তারা ইচ্ছা করলে পুলিশের কাছে অভিযোগ করতে পারেন। সড়ক ও জনপথ বিঅগ দুর্নীতি করে না, কেউ এটা প্রমান করতে পারবেন না। একজন ঠিাকাদার বললেন, ভাই ঘুষ-দুর্নীতি কি আর লিখিতভাবে আদান-প্রদান করা হয় যে এটি প্রমান করা যাবে? রাস্তা নির্মাণ ,সংষ্কারের পর ৬ মাসও টিকছে না। গ্রামীণ জনপদের রাস্তার বেহাল দশা। তবে শহরে পৌর সভা আরসিসি রাস্তা করছে আওরঙ্গজেব রোডের দৈ বাজার মোড় থেকে রূপকথা সড়ক হয়ে ইছামতি পৈলানপুর ব্রিজের এপারের শেষ মাথা পর্যন্ত। ড্রেন এবং রাস্তা আরসিসি হওয়ায় চওড়া হয়েছে। রাস্তাটি টেকসই হবে। অন্তত: ২০ বছরের মধ্যে এই রাস্তায় আর হাত দিতে হবে না। আরসিসি রাস্তা করার কথা বর্তমান সরকার ভাবছেন। বিটুমিনের রাস্তা বছরে ১০ বার সংষ্কার মেরমতে যে ব্যয় হয়, আরসিসি রাস্তায় টাকা কিছু বৃদ্ধি করে দিলে সেটি আর করতে হবে না। টেকসই উন্নয়ন হবে। সরকারের যদি আর্থিক সংগতি কম থাকে তাহলে প্রথমে ৫ কিলোমিটার রাস্তা হবে। আস্তে আস্তে পুরো রাস্তাই আরসিসি হয়ে যাবে। সাধারণ জনগণ বলছেন, এটি সঠিক সিদ্ধান্ত। বর্তমানে পাবনার গ্রামীণ জনপদে যে রাস্তা-সড়ক বেহাল দশায় পড়ে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে, এই সব রাস্তা বিটুমিনের পরিবর্তে সঠিক মাপের রড দিয়ে আরসিসি রাস্তা করার প্রয়োজন একই সাথে দাপ্তরিক দুর্নীতি যদি থাকে সেটি বন্ধ করার ব্যবস্থা নিলে টেকসই উন্নয়ন ভাল রাস্তা হবে, ফি বছর রাস্তার কাজ করতে হবে না বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।