বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ৬০৭ কোটি ৫৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘খুলনা সিটি কর্পোরেশনের গুরুত্বপূর্ণ ও ধ্বংসপ্রাপ্ত রাস্তা মেরামত ও উন্নয়ন প্রকল্প’ অনুমোদিত হয়েছে। গত মঙ্গলবার ঢাকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রকল্পটি অনুমোদন হওয়ায় সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক খুলনাবাসীর পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন।
এ প্রকল্পের আওতায় নগরীর ৩১টি ওয়ার্ডে ৫১৩টি এবং কেন্দ্রীয়ভাবে ৬০টিসহ মোট ৫৭৩টি সড়ক সংস্কার করা হবে। প্রকল্পের আওতায় ৭৮ কিলোমিটার সড়ক কার্পেটিং, ১৫১ দশমিক ৯২ কিলোমিটার সড়ক আরসিসি ঢালাই এবং ৩৩ কিলোমিটার সড়কে সিসি ঢালাইয়ের পরিকল্পনা রয়েছে। কার্পেটিং সড়কসমূহে ২৩৮ কোটি, আরসিসি ঢালাই সড়কসমূহে ৩০৩ কোটি এবং সিসি ঢালাই সড়কসমূহে ৩৬ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। রাস্তা সংস্কার ছাড়াও নগরীর গুরুত্বপূর্ণ মোড়সমূহসহ নগরীর সৌন্দর্য্য বর্ধনে ব্যয় ধরা হয়েছে ১০ কোটি টাকা।
উল্লেখ্য, সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক-এর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় গত ১৮ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত একনেক সভায় ‘খুলনা মহানগরীর পানিবদ্ধতা নিরসন ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়নে’ ৮২৩ কোটি ৭৯ লাখ টাকার একটি মেগা প্রকল্প অনুমোদিত হয়। এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে বর্ণিত প্রকল্পটি অনুমোদিত হলো। স্বল্প সময়ে প্রায় এক হাজার ৪৩২ কোটি টাকার দু’টি উন্নয়ন প্রকল্পের অনুমোদন খুলনা মহানগরীর ইতিহাসে এই প্রথম।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, খুলনা সিটি কর্পোরেশনের গুরুত্বপূর্ণ ও ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা উন্নয়ন ও পুনর্বাসন প্রকল্পের উদ্যোগী মন্ত্রণালয় হলো স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়। বাস্তবায়নকারী সংস্থা হচ্ছে কেসিসি। প্রকল্পের মেয়াদ হচ্ছে ডিসেম্বর-২০১৮ থেকে জুন ২০২২ সাল পর্যন্ত। প্রকল্প এলাকা নির্বাচনের যৌক্তিকতা হিসেবে কেসিসির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, শহরে অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং পরিবেশগত উন্নতি শহুরে উন্নয়নের জন্য কৌশলের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। এ কৌশলের আওতায় পরিকল্পিত নগরায়ন এবং উন্নত নাগরিক সেবা প্রদান করা সিটি কর্পোরেশনের লক্ষ্য ও উদ্দেশের সাথে সম্পৃক্ত। সে অনুযায়ী প্রকল্পটি টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি)-এর গোল ১১.২-এর সাথে সম্পৃক্ত। প্রকল্পের উদ্দেশ হচ্ছে, নবগঠিত কেসিসি এলাকার সার্বিক অবকাঠামো উন্নয়ন। তারমধ্যে উল্লেখ্য যোগ্য হচ্ছে- সিটি কর্পোরেশন এলাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য রাস্তা নির্মাণ, সড়ক উন্নয়ন ও প্রশস্তকরণের মাধ্যমে যানজট নিরসন, দুর্ঘটনা হ্রাস এবং প্রকল্প এলাকায় জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নকরণ। চার বছর মেয়াদী এ প্রকল্পে চলতি অর্থবছরে ৮৩ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
কেসিসির পানিবদ্ধতা নিরসন ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক ও নির্বাহী প্রকৌশলী-৩ মশিউজ্জামান খান বলেন, পানিবদ্ধতা নিরসন ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা উন্নয়নে কেসিসির ৮২৩ কোটি টাকার প্রকল্পের কাজ শুরু করার আগে ডিপিপি অনুমোদন ও কনসালটেন্ট নিয়োগসহ আরও কিছু প্রক্রিয়া রয়েছে। এসব প্রক্রিয়া শেষে আগামী ৩/৫ মাস পর কাজ মাঠ পর্যায়ে শুরু হতে পারে। এ কাজ শুরুর জন্য চলতি অর্থবছরে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১২ কোটি ৫৭ লাখ টাকা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।