পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপের সক্রিয় প্রভাবে বন্দরনগরীসহ বৃহত্তর চট্টগ্রামে অতি বর্ষণ ও প্রবল সামুদ্রিক জোয়ারে বিভিন্ন এলাকা পানিতে থৈ থৈ করছে। গত সোমবার রাত থেকে থেমে থেমে গতকাল (মঙ্গলবার) দিনভর কখনও মাঝারী থেকে ভারী কখনও হালকা বৃষ্টিপাত হয়েছে। গতকাল বিকেল ৩টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ৭৬ দশমিক ২ মিলিমিটার অর্থাৎ ভারী বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে পতেঙ্গা আবহাওয়া দপ্তর।
টানা এক মাসেরও বেশিদিন দেশজুড়ে অসহনীয় খরার দহন আর ভ্যাপসা গরমের পর আশ্বিন মাসের শেষের দিকে হেমন্ত ঋতুর প্রাক্কালে এসে প্রত্যাশিত বৃষ্টিপাত জনজীবনে বয়ে এনেছে প্রশান্তি। আজও (বুধবার) চট্টগ্রাম অঞ্চলে আকাশ মেঘলাসহ হালকা থেকে মাঝারি কোথাও কোথাও ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।
হিমেল দমকা থেকে ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে অকাল বর্ষণে গতকাল চট্টগ্রাম বন্দর ও বহির্নোঙরে মালামাল ওঠানামা, ডেলিভারি পরিবহন ব্যাহত হচ্ছে। আগ্রবাদ বাণিজ্যিক এলাকা, চাক্তাই খাতুনগঞ্জ সওদাগরী পাড়াসহ নগরীতে ব্যবসা-বাণিজ্যে মন্দাদশা বিরাজ করছে। মহানগরীর নিম্নাঞ্চলগুলোতে অনেক বাড়িঘর, দোকানপাট, গুদাম-আড়ত কাদা-পানিতে সয়লাব। এতে করে মানুষের দুর্ভোগ তৈরি হয়েছে। নিম্নচাপের কারণে ভারী বৃষ্টিপাতে বৃহত্তর চট্টগ্রাম জেলায় টমেটো, ফুলকপি-বাঁধাকপি, শিম, মুলাসহ শীতকালীন শাক-সবজি ক্ষেত প্লাবিত হয়েছে। এ কারণে সবজির আবাদ ও উৎপাদনে ক্ষতির আশঙ্কা থাকলেও উঠতি আমন ফসলে সেচের অভাব এই বৃষ্টির ফলে পূরণ হয়েছে অনেকাংশে। এরজন্য খুশি কৃষকগণ।
এদিকে সোমবার রাত থেকে থেমে থেমে মাঝারী ও মুষলধারে বর্ষণ এবং গতকাল দুপুরের জোয়ারে বন্দনগরীর আগ্রাবাদ সিডিএ, বেপারি পাড়া, এক্সেস রোড, হালিশহর, কাট্টলী, সাগরিকাসহ বিভিন্ন এলাকা পানিতে থৈ থৈ করে। তাছাড়া অতিবৃষ্টিতে প্রবর্তক, পাঁচলাইশ, শোলকবহর, কাতালগঞ্জ, মুরাদপুর, নাসিরাবাদ, ষোলশহর, চকবাজার, বাকলিয়া, বহদ্দারহাট, চাক্তাই, রাজাখালী, চান্দগাঁও, মোহরা, কাপ্তাই রাস্তার মোড়, কুয়াইশ, কালুরঘাট, দক্ষিণে পতেঙ্গা, কাটগড়সহ বিভিন্ন স্থানে সড়ক রাস্তাঘাট প্লাবিত হয়।
দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে মহানগরী ও জেলায় বাস-মিনিবাস, লেগুনাসহ বিভিন্ন যানবাহন ছিল কম। এতে করে কর্মমুখী লোকজন ও শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগে পড়তে হয়। সাগর উত্তাল থাকায় মাছ শিকার বন্ধ রয়েছে। অনেক জেলে নৌকা গভীর সমুদ্র থেকে এখনও ফিরেনি বলে জানা গেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।