পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন দুষ্টকে দমন আর সৃষ্টকে পালনের জন্য করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
গতকাল সোমবার বিকালে রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে আওয়ামী লীগের শিল্প ও বানিজ্য উপ-কমিটির এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি। ডিজিটাল নিরাপত্তা বিলে প্রেসিডেন্টের স্বাক্ষরের প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীগের ‘এই আইনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী এই সরকারকে রক্ষার চেষ্টা করেছেন’ এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ওবায়দুল কাদের বলেন, এই আইনটা কেন করা হয়েছে? মনে আছে গুজব সন্ত্রাসের কথা। ফেসবুকে লাইভ পোষ্টে কালো কাপড় মুখ পেচিয়ে বলেছে, আওয়ামী লীগ অফিসে তাদের রেইপ করছে, এমন আরও আছে চিত্র নায়িকা, পরে তারা গ্রেফতার হয়েছে। এসব নাটক সাজিয়েছে তারা, গুজব সন্ত্রাস এখন আন্দোলনের চেয়েও ভয়াবহ এবং সেই কাজটি বিএনপি করে যাচ্ছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ অফিসে হামলা চালালো, তখন এই পোষ্ট দেওয়া হলো। দেশে একটা সরকার আছে, এটা এভাবেই তারা করতে থাকবে? যারা ক্রাইম করছেন? তাই বলে দুষ্টকে দমন করবো না? এই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন দুষ্টকে দমন করবে, শিষ্টকে পালন করার জন্য। এখন ডিজিটাল ক্রাইমের বিরুদ্ধে ডিজিটাল সিকিউরিটি থাকবে না? তাইলে দেশে কি হবে, অরাজকতা? সরকার এক দলীয় শাসন ব্যবস্থা চালাচ্ছে বিএনপির এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে কাদের বলেন, আর একদলীয় শাসন এটাও আরেকটা অপপ্রচার।
সংসদ ভেঙে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে অভিন্ন কর্মসূচিতে নামতে একমত হওয়ার প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, পানি আর তেলে মেশে না, এই জগাখিচুড়ি ঐক্যের কোন ভবিষ্যত নেই। দশ বছরে যারা দশমিনিটও রাস্তায় দাঁড়াতে পারেনি, তারা আন্দোলন করবে এটা হাস্যকর।
পরিবহন কর্মীদের আন্দোলন থেকে সরে আসার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, পরিবহনের আইনের জন্য তিন বছর আমরা সময় নিয়েছি, স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে, এখন আইনটি পাশ হয়েছে। এখন আবার ধর্মঘট। স্বরাষ্ট মন্ত্রীর সঙ্গে তারা বসেছেন, আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেছি এখন তো এই মূহুর্তে আমাদের কাছে কোন প্রকার পরিবর্তন আনার জন্য, সদ্য প্রণিত আইন, তার পরও বিধিতো করা হয়েছে। যদি বিধি প্রণয়ন করে কোন সুযোগ সৃষ্টি করা যায় তাদের জন্য আমরা করবো।
আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখে, প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম, বাংলাদেশ ব্যংকের সাবেক গভর্ণর আতিয়ার রহমান, সালমান এফ রহমান, আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য উপকমিটির চেয়ারম্যন কাজী আকরাম উদ্দিন আহম্মেদ, সদস্য সচিব আব্দুস ছাত্তার, সদস্য মীর তোফাজ্জল হোসেন, অর্থ ও পরিকল্পনা উপ কমিটির সদস্য লায়ন মো. ইউসুফ।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।