Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভোট কারচুপির অভিযোগে পুনঃরায় নির্বাচন দাবি

প্রকাশের সময় : ২৭ এপ্রিল, ২০১৬, ১২:০০ এএম

খাগড়াছড়ি জেলা সংবাদদাতা

২৩ এপ্রিল অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জেলার দীঘিনালা উপজেলার কবাখালী ও পানছড়ি সদর ইউনিয়নে সরকারি দলের চেয়ারম্যান প্রার্থীদের বিরুদ্ধে ৮টি কেন্দ্রে ব্যাপক ভোট জালিয়াতির অভিযোগ তুলেছেন জাসদ ও ইউপিডিএফ সমর্থিত তিন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী। সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচনী ফলাফল প্রত্যাখান করে খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়ন এবং দীঘিনালা উপজেলার কবাখালী ইউপিতে পুনরায় নির্বাচন দাবি করেছেন তারা। অভিযোগ করা হয়, আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীর লোকজন দীঘিনালার কবাখালীতে হাচিনসনপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও ১নং কবাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র এলাকায় সাম্প্রদায়িক উম্মাদনা সৃষ্টির মাধ্যমে পাহাড়ি ভোটারদের তাড়িয়ে দিয়েছিল। এসময় প্রশাসনকে বিষয়টি তাৎক্ষণিক জানানো হলেও দায়িত্বরত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করেননি। ফলে এসময় পোলিং এজেন্টদের জিম্মি করে খুশিমতো ‘নৌকা’ প্রতীকে সিল মারা হয়েছে। গত রোববার সন্ধ্যায় খাগড়াছড়ি জেলা শহরের একটি কনভেনশন সেন্টারে কবাখালীর বর্তমান চেয়ারম্যান বিশ্বকল্যাণ চাকমা ও পানছড়ি সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রিয়ংকর চাকমা সংবাদ সম্মেলনে লিখিত এসব অভিযোগ তুলে ধরেন। সংবাদ সম্মেলনে প্রিয়ংকর চাকমা অভিযোগ করেন, ৬টি কেন্দ্রে সরকার দলীয় প্রার্থীর লোকজন তিন স্বতন্ত্র প্রার্থীর পোলিং এজেন্টদের বের করে দিয়ে ব্যালটে সিল মেরেছে। বিষয়টি লিখিতভাবে রির্টানিং অফিসারকে তিনি নিজে এবং অপর দুই প্রার্থী আফজাল মিয়া ও ক্যজরী মারমা’র স্বাক্ষরে অবগত করা হলেও তিনি কোনই ব্যবস্থা নেননি। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত কবাখালী ইউনিয়নের জাসদ প্রার্থী কমল বিকাশ চাকমা ও অন্য দুই প্রার্থীর বক্তব্যের সাথে একমত প্রকাশ করেন। তারা বিষয়টি নির্বাচন কমিশনকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন উল্লেখ করে বলেন, সরকার দলীয় প্রার্থীরা আতঙ্ক সৃষ্টি করে তাদের নিশ্চিত জয় কেড়ে নিয়েছেন। তাই তারা নিরপেক্ষ জনমত প্রতিফলনে স্বার্থে এই দুই ইউনিয়নের ফলাফল স্থগিত করে ৮টি কেন্দ্রে পুনঃ নির্বাচনের দাবি জানান। এই বিষয়ে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. নুরুল আলম জানান, কেন্দ্র ওয়ারি ভোটের ফলাফল ঘোষণা, ভোট গ্রহণ স্থগিত করা কিংবা কেন্দ্রে উদ্ভুত পরিস্থিতি সিদ্ধান্ত গ্রহণের এখতিয়ার সংশ্লিষ্ট পিজাইডিং অফিসারের। এরপরও যদি কোন প্রার্থী সংক্ষুব্ধ হন তাহলে তিনি ইলেকশন ‘ট্রাইব্যুনাল’-এ যেতে পারেন। কবাখালী ও পানছড়ি সদর ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের জয়ী প্রার্থী জাহাঙ্গীর হোসেন ও নাজির হোসেন সন্ধ্যায় মুঠোফোনে অভিযোগের কথা অস্বীকার করে জানান, দিনে-দুপুরে ভোটগ্রহণ করা হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে সব প্রার্থীর পোলিং এজেন্টরা উপস্থিত ছিলেন। সুতরাং কেন্দ্রের বাইরের পরিস্থিতির সাথে ফলাফলের কোনই সম্পর্ক থাকতে পারে না।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভোট কারচুপির অভিযোগে পুনঃরায় নির্বাচন দাবি
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ