পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর উত্তরার হাউস বিল্ডিং এলাকায় মেট্রোরেলের কাজে গ্যাস লাইন কেটে যাওয়ার প্রায় সাড়ে ৪ ঘন্টা পরে ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কে যান চলাচল শুরু হয়। রাত সাড়ে ১২টার দিকে লাইন মেরামতের কাজ শেষ হলে পুনরায় ওই সড়কে যান-বাহন চলতে শুরু করে। তিতাস সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, ঘটনাস্থলে মাটি খোঁড়া বারণ ছিল। বিষয়টি নিয়ে মেট্রোরেল সংশ্লিষ্টদের সাথে আলোচনা হয়েছিল। কিন্তু তারা গুরুত্ব না দিয়ে খনন কাজ করলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। গত শুক্রবার রাতে ড্রিল মেশিন দিয়ে মেট্রোরেলের জন্য মাটি খোঁড়ার সময় তিতাসের গ্যাসের মূল লাইনটি কেটে যায়।
তিতাসের কয়েকজন কর্মকর্তা বলেন, মেট্রোরেল নির্মাণের জন্য বড় ড্রিল মেশিন দিয়ে মাটি খোঁড়ার সময় তিতাসের গ্যাসের মূল লাইনটি কেটে যায়। দুর্ঘটনাটি বড় ধরণের হওয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে লাইনটি মেরামত করা সম্ভব হয়নি। যার কারণে দীর্ঘ সাড়ে ৪ ঘন্টা ঢাকা ময়মনসিংহ সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পুরো এলাকা স্থবির হয়ে পড়ে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, ঘটনার প্রায় সাড়ে ৪ ঘণ্টা পর রাত সাড়ে ১২টার দিকে গ্যাস লাইনটি বন্ধ করে মেরামত কাজ শুরু করলে পুনরায় যান চলাচল শুরু হয়। তবে আশপাশের এলাকাসহ ঢাকা ময়মনসিংহ মাহসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হতে অনেক সময় লাগে।
তিতাস গ্যাসের উত্তরা অঞ্চলের কর্মকর্তা শাহ মো. আকমল বলেন, গ্যাস লাইন লিকেজ হওয়ার খবর পেয়ে তিতাস গ্যাসের একটি টিম নিয়ে ঘটনাস্থলে যান তিনি। পরে পুরো পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে লাইন মেরামত করলে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হয়।
তিতাসের সংশ্লিষ্ট কয়েকজন কর্মকর্তা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, মেট্রোরেলের কাজের সাথে সম্পৃক্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও শ্রমিকরা সচেতন হলে এত বড় দুর্ঘটনা ঘটতো না। তাদের ভাষ্য, রাজধানীর কোথাও খোঁড়াখুড়ির কাজ করার সময় নগর সংশ্লিষ্ট সবগুলো প্রতিষ্ঠানের নকশা সামনে রাখতে হয়। মেট্রোরেল সংশ্লিষ্টরা রাস্তা খোঁড়ার সময় সে সব নকশা সামনে রেখে কাজ করলে কখনো এত বড় দুর্ঘনটা ঘটতো না।
সংশ্লিষ্টরা কর্মকর্তারা বলেন, মেট্রোরেল কাজের সাথে জড়িত সংশ্লিষ্ট শ্রমিকদের ভুলের দায় তিতাসের ওপরে এসে পড়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা তিতাসকে গাল-মন্দ করেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, এক প্রতিষ্ঠানের ভুলের দায় অন্যদের ওপরে চাপানো ঠিক নয়। যে বা যারা ভুল করলে অপরাধ সংঘটনের সাথে সাথে তাদেরকে জবাবদিহিতা ও শাস্তির আওতায় আনলে বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকে না।
তিতাসের উপ ব্যবস্থাপক (জরুরী গ্যাস, উত্তরা জোন) হারুন অর রশিদ গতকাল রাতে ইনকিলাবকে জানান, তিতাসের প্রায় ৩১ জন কর্মী মেরামতের কাজ শুরু করে পুরোপুরি শেষ করতে ফজরের ওয়াক্ত পার হয়ে যায়। ভোর ৬টার পরে তারা কাজ শেষ করতে সক্ষম হন। দুর্ঘটনাটি অনেক বড় ছিল। ড্রিল মেশিনের আঘাতে পুরো পাইপটি ধুমরে-মুচরে যায়। তিনি বলেন, মেরামত কাজ শুরুর আগে আশপাশের ৪/৫টি প্রধান গ্যাস বাল্বসহ অন্যান্য ছোট গ্যাস বাল্ব বন্ধ করা হয়। এরপরে পাইপ লাইনের ভেতরে সঞ্চিত গ্যাস বের করে করে পুরো পাইপ লাইনটি ফাঁকা করা হয়। পরে একটি ওয়েল্ডিং টিম এনে চতুর্দিকে ঝালাই করে পাইপটি ঠিক করা হলে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হয়।
তিতাসের এই কর্মকর্তা বলেন, মেট্রোরেল সংশ্লিষ্টদের সাথে দুর্ঘটনা কবলিত ওই স্থানে মাটি না খোঁড়ার জন্য তিতাসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের আলোচনা হয়েছিল। কিন্তু তিতাস কর্তৃপক্ষ গ্যাস লাইনটি সরানো ও অন্য কোন ব্যবস্থা করার আগেই তারা ওই স্থানে খনন কাজ শুরু করে। এ কারণে বিপত্তি বাধে। এই কর্মকর্তা বলেন, মেট্রোরেলের সাথে জড়িত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ঘটনার সময় ছিলেন না। তাদের কয়েকজন শ্রমিক কাজটি করছিল। উর্ধ্বতনরা বিষয়টিকে গুরুত্ব দিলে এবং সচেতনতার সাথে কাজ করলে এমন দুর্ঘটনা ঘটতো না বলে তিনি মনে করেন।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার রাতে ড্রিল মেশিন দিয়ে মেট্রোরেলের জন্য মাটি খোঁড়ার সময় তিতাসের গ্যাসের মূল লাইনটি কেটে যায়। এতে আশপাশের সড়কসহ ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে উভয় পাশে সব ধরণের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে অনেক রাত পর্যন্ত চরম ভোগান্তি থাকতে হয় সাধারণ মানুষকে। ঘটনার পর ফায়ার সার্ভিস ও তিতাসের কর্মীরা দ্রুততর সময়ে ঘটনাস্থলে না পৌঁছায় ক্ষোভ প্রকাশসহ প্রতিষ্ঠানগুলোকে গাল-মন্দ করে স্থানীয় বাসীন্দা ও ভুক্তভোগী নগরবাসী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।