বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
রাজধানী ঢাকার চারপাশে বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, শীতলক্ষ্যা ও বালু নদীর তীরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ এবং উচ্ছেদকৃত জায়গা যাতে পুনরায় দখল হয়ে না যায় সেলক্ষ্যে ৫২ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে (হাঁটার রাস্তা) নির্মাণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন, নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান।
গতকাল শুক্রবার আশুলিয়া ল্যান্ডিং স্টেশন প্রাঙ্গণে নদীর সীমানা পিলার, ওয়াকওয়ে, ইকোপার্ক এবং জেটি নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর এম মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, সাহারা খাতুন এমপি, প্রকল্প পরিচালক নুরুল আমিন প্রমুখ।
মন্ত্রী বলেন, পর্যায়ক্রমে ঢাকার চারপাশে নৌপথের দুই তীরে ২২০ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হবে। এছাড়া নদীর সীমানা চিহ্নিত করতে ১০ হাজার ৮২০টি টেকসই সীমানা পিলার নতুন করে স্থাপন করা হবে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ৫২ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে নির্মাণের পাশাপাশি ৪৪ হাজার ৭৮৩ মিটার ব্যাংক প্রটেকশন, ১ হাজার মিটার কি-ওয়াল, ১৯টি আরসিসি স্টেপসহ আরসিসি জেটি, তিনটি ইকোপার্ক এবং ১০ হাজার ৮২০টি সীমানা পিলার নির্মাণ করবে। এজন্য ব্যয় হবে ৮৪৮ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। চার বছর মেয়াদী এ প্রকল্পের মেয়াদ ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত। এ প্রকল্পের আওতায় ঢাকা নদী বন্দরের অন্তর্ভুক্ত রামচন্দ্রপুর থেকে বসিলা পর্যন্ত ৩.৫৫, রায়ের বাজার খাল থেকে কামরাঙ্গীরচর পর্যন্ত ৪.৪৫, হাসনাবাদ-কাওটাইল ৮.৩৫, সদরঘাট থেকে বাবুবাজার ব্রিজ পর্যন্ত এক কিলোমিটার, ফতুল্লা-ধর্মগঞ্জ ৩.৫০, টঙ্গি নদী বন্দরের আওতায় বাতুলিয়া উজানপুর ৩.৭২৫,পাগার মৌজা-হারবাইদ ৩.০৬৮ আশুলিয়া কামারপাড়া (ঢাকা প্রান্ত) ৩.৫৬,আশুলিয়া-কামারপাড়া (গাজীপুর প্রান্ত) ৩.৭৫০, নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের আওতায় ডিইপিটিসি এলাকা ২.৫০, নারায়ণগঞ্জ সাইলো হতে কুমুদিনী ৮.৫৫ এবং সুলতানা কামাল-কাঁচপুর সেতু এলাকা পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার সর্বমোট ৫২ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।