Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

গাঁজা খেয়ে জাবির ৪ ক্যান্টিন কর্মচারিকে ছাত্রলীগ কর্মীর মারধর

জাবি সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ৫ অক্টোবর, ২০১৮, ১:০০ এএম

গাঁজা খেয়ে ক্যান্টিনের চার কর্মচারীকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের এক কর্মীর বিরুদ্ধে। ওই কর্মীর নাম মাজহারুল ইসলাম সৈকত। সে বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের ৪৪তম ব্যাচের ও মীর মশাররফ হোসেন হলের আবাসিক ছাত্র। 

প্রত্যক্ষদর্শীসূত্রে জানা যায়, বুধবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে হলের এ বøকের ক্যান্টিনে এসে হৈ চৈ শুরু করেন মাজহারুল ইসলাম সৈকত। তারপর এক পর্যায়ে সে কর্মচারীদেরকে ভাত দিতে বলেন। ভাত দেওয়ার পর সৈকত ‘ভাত বাসি’ দাবি করে ক্যান্টিনের ম্যানেজার জুয়েল আহমেদকে মারধর করেন। এসময় ক্যান্টিনের ১০/১২ বছরের তিন জন ক্যান্টিন বয় মুন্না হোসাইন আজিম, আতিকুর রহমান ও মোহাম্মদ রাব্বিকে লাথি, কিল, ঘুষি দিয়ে আহত করেন। এরপর উত্তেজিত সৈকত ক্যান্টিনের রান্নাঘরে ঢুকে বাবুর্চি ইব্রাহিমকে হাতের কাছে যা পেয়েছে তা দিয়ে মারধর করেন।
এ বিষয়ে ক্যান্টিনের কর্মচারিরা বলেন, ‘ওই সময় হলের অনেকেই ওই ভাত খাচ্ছিলো, কিন্তু কেউই ভাত বাসি বলেনি। শুধু তিনি (সৈকত) বাসি দাবি করে আমাদেরকে মারধর করলো।’ নাম প্রকাশ না করা শর্তে মাজহারুল ইসলাম সৈকতের কয়েকজন বন্ধু জানান, ‘সৈকত সকালে প্রচুর গাঁজা খায়। যার ফলে সে ক্যান্টিনে গিয়ে কি করেছে সে নিজেও বলতে পারবেনা।’
এ বিষয়ে ক্যান্টিন মালিক মো. নুরুন্নবী বলেন, ‘ঘটনা শুনে আমি এসে দেখি আমার ক্যান্টিনের ছোট ছোট বাচ্ছাদের কে যেন মেরে আহত করেছে। তারা একেক জন এক এক দিকে পড়ে আছে। আমরা গরীব মানুষ তাই আমাদের নির্দয়ভাবে বিনা আপরাধে মারার কোন বিচার কি আমরা পাবো না?’
অভিযোগের বিষয়ে মাজহারুল ইসলাম সৈকত বলেন, ক্যান্টিনে বাসি খাবার পরিবেশন করায় কর্মচারিদেরকে রাগের মাথায় মারধর করেছি। বিষয়টি হলের সিনিয়রদের নিয়ে বসে মীমাংসাও করে ফেলেছি। তবে গাঁজা খাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন সৈকত। এ বিষয়ে মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক শফি মুহাম্মদ তারেক বলেন, ‘মারধরের বিষয়টি শুনেছি। ক্যান্টিন মালিক ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদেরকে নিয়ে বসে বিষয়টি মিমাংসা করা হবে।



 

Show all comments
  • Nannu chowhan ৫ অক্টোবর, ২০১৮, ৯:১৭ এএম says : 0
    Eai inquilab potrikai ase prodhan montrir ahabban torun shomajer proti tara jeno baje nesha jongi totporota onnano onoytiq kormo kande na joray, Amra dekhte pai beshir vagoi eai shob kormo kande shorkari doler lolkerai jorito tader keno shora shori deke nia dolio karjoloy shothik poth dekhano hoy na.Tahole ki jongon dhore nebe taderke shontrashi bahini hishabe birodhi motobadke domanor jonno bebohar kora hochse.
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: গাঁজা

২২ জানুয়ারি, ২০২২
২২ জানুয়ারি, ২০২২
আমার এক নিকটাত্মীয় মদ-গাঁজা সেবন করত। স্বামী-স্ত্রী প্রায় সময়মই ঝগড়া হতো, স্বামী তার স্ত্রীর গায়ে অনেক সময় হাত তুলত। স্ত্রীও খুব বেশী একটা ছাড় দিত না। আবার স্ত্রীর বিরুদ্ধে অন্য পুরুষের সাথে দীর্ঘ দিন রাতে-বিরাতে গোপন ফোনালাপের অভিযোগ ছিল। তাদের দুই ছেলে আছে। স্বামী তার স্ত্রীর নামে ব্যাংক একাউন্টে ১৫-১৮ লাখ টাকার সম্পদ রেখেছিল। স্ত্রী বাপের বাড়ি গিয়ে সেগুলো হাত করে নেয় এবং নেশাখোর স্বামীর সংসার করবেনা বলে জানায়। এ অবস্থায় কয়েকটি ব্যর্থ আলোচনা বা বৈঠক হয়। প্রায় এক বছরের বেশী সময় পর স্ত্রী ওই স্বামীকে এক উকিলের মাধ্যমে ডাকযোগে ডিভোর্সলেটার পাঠায়। স্বামী বলে সে ওই লেটার রিসিভ ও সাইন করেনি। এর প্রায় এক বছর পর তার স্ত্রী ওই গোপন ফোনালাপের অভিযুক্ত ব্যক্তিকেই বিয়ে করে। প্রশ্ন হলো স্ত্রীর এ তালাক ও পরবর্তী বিয়ে ইসলামের বিধান মতে সঠিক ভাবে হয়েছে কি না? আর না হলে এখন করনীয় কি?
১১ জানুয়ারি, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ