Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সিরাজগঞ্জ অর্থনৈতিক অঞ্চলের অনুমোদন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : | প্রকাশের সময় : ৫ অক্টোবর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

প্রাথমিক অনুমতি পাওয়ার এক বছর তিন মাস পর অবশেষে চূড়ান্ত অনুমোদন পেতে চলেছে সিরাজগঞ্জ অর্থনৈতিক অঞ্চল। এই অর্থনৈতিক অঞ্চল উদ্যোক্তাদের হাতে গতকাল চূড়ান্ত লাইসেন্স তুলে দিয়েছে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)। গত বছর ২০ জুন অর্থনৈতিক অঞ্চল করার প্রাথমিক অনুমতি দিয়েছিল বেজা। ঢাকা-সিরাজগঞ্জ মহাসড়কসংলগ্ন বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম পারে সিরাজগঞ্জ সদর ও বেলকুচি উপজেলায় এক হাজার ৪১ একর জমির ওপর হতে যাচ্ছে দেশের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত সর্ববৃহৎ বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চল। উত্তর বঙ্গের প্রবেশদ্বারখ্যাত সিরাজগঞ্জে এই বিশাল অর্থনৈতিক অঞ্চল করতে যাচ্ছে দেশের প্রতিষ্ঠিত ১১ উদ্যোক্তা কম্পানি। গত এক বছরে নানা চড়াই-উত্রাই এবং বিভিন্ন মহলের বাধা পেরিয়ে অবশেষে চূড়ান্ত লাইসেন্স পেল ১১ উদ্যোক্তা কোম্পানি।

বেজার কর্মকর্তারা বলছেন, প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক অঞ্চলটি বাস্তবায়িত হলে সেখানে পাঁচ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। যে ১১টি উদ্যোক্তা কোম্পানি যৌথভাবে সিরাজগঞ্জ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করছে তারা হলো মিড এশিয়া, রাইজিং গ্রুপ, মাহমুদ গ্রুপ বাংলাভিশন গ্রুপ, প্রভিটা গ্রুপ, রাতুল গ্রুপ, স্কয়ার ইলেকট্রনিকস, প্যারাগন সিড, টেক্সটাউন গ্রুপ বাংলাদেশ, মানামি ফ্যাশন এবং চেঞ্জ বাংলাদেশ। ১১টি উদ্যোক্ত কোম্পানির যৌথভাবে সিরাজগঞ্জ অর্থনৈতিক অঞ্চলের অবকাঠামো উন্নয়নে তিন হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে। প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক অঞ্চলে পোশাকশিল্প, বস্ত্রশিল্প, ওষুধ, চামড়া, বিশ্বমানের ট্রেড হাউস, অটোমোবাইল, আইটি শিল্প ও কৃষিজাত পণ্যের প্রক্রিয়াকরণ কারখানা গড়ে তোলা হবে। সিরাজগঞ্জ অর্থনৈতিক অঞ্চলের একাধিক ব্যবসায়ী উদ্যোক্তা জানিয়েছেন, চূড়ান্ত লাইসেন্স পাওয়ার পরপরই তাঁরা পুরোদমে কাজ শুরু করে দেবেন। উদ্যোক্তারা বলছেন, উত্তর বঙ্গের গেটওয়ে বলা হয় সিরাজগঞ্জকে। ব্যবসা-বাণিজ্যের গুরুত্ব বিবেচনায় সেখানে গড়ে উঠেছিল নৌবন্দর ও রেল সংযোগ। পরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধু সেতু করা হয়। বঙ্গবন্ধু সেতু চালুর পর উত্তর বঙ্গের ১৬টি জেলায় মানুষের আর্থ-সামাজিক অবস্থা যে হারে উন্নতির আশা করা হয়েছিল, সেভাবে হয়ে ওঠেনি। উদ্যোক্তারা আশা করছে, প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক অঞ্চলটি প্রতিষ্ঠিত হলে উত্তরাঞ্চলের মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটবে।


বেপজার অভূতপূর্ব সাফল্য
বাংলাদেশ রপ্তানী প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কতৃপক্ষ (বেপজা)’র আটটি ইপিজেডে জানুয়ারি ২০০৯ থেকে চলতি বছর আগস্ট পর্যন্ত সময়ে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছে। বেপজা গভর্নর বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিক নির্দেশনায় পরিচালিত বেপজাধীন দেশের ইপিজেডসমূহে এই সময়ে বিনিয়োগ বেড়েছে তিনগুণের বেশি, রপ্তানী প্রায় চারগুণ, কর্মসংস্থান প্রায় আড়াই গুণ এবং শিল্প প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। ডিসেম্বর ২০০৮ পর্যন্ত মোট বিনিয়োগ ছিল ১৫০৯.১৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। বর্তমানে মোট বিনিয়োগ এসেছে ৩,২১৫.৭৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই সময়ে রপ্তানীর পরিমাণ ছিল ১৭,৫৯৮.২৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। আর এখন সেটা দাঁড়িয়েছে ৬০,২২১.৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সমমূল্যের পণ্য। এইক্ষেত্রে রপ্তানীও বেড়েছে চারগুণ। একই সময়ে কর্মসংস্থান আড়াই গুণ বৃদ্ধি পেয়ে নতুন কাজের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে ২,৯৮,২৭৮ জন নাগরিকের। যা আগে ছিল মাত্র ২,০৩,৪৪৭ জনের। যেখানে ২৫ বছরে চালু হয়েছিল ২৭৯টি শিল্প অথচ গত ৯ বছর ৮ মাস সময়েই ১৯৭টি নতুন শিল্প চালু হয়েছে।
সরকারের বিনিয়োগবান্ধব নীতির ফলে আন্তর্জাতিক উদ্যোক্তাদের কাছে দেশের ইপিজেডসমূহ এখন বিনিয়োগের সুবর্ণভূমি হিসেবে প্রশংসিত হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে রূপকল্প-২০২১ এবং ২০৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে সোনার বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে বেপজা এগিয়ে চলছে সাফল্যের সাথে। -বিজ্ঞপ্তি



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: অর্থনৈতিক


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ