বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
গাঁজা খেয়ে ক্যান্টিনের চার কর্মচারীকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের এক কর্মীর বিরুদ্ধে। ওই কর্মীর নাম মাজহারুল ইসলাম সৈকত। সে বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের ৪৪তম ব্যাচের ও মীর মশাররফ হোসেন হলের আবাসিক ছাত্র।
প্রত্যক্ষদর্শীসূত্রে জানা যায়, বুধবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে হলের এ ব্লকের ক্যান্টিনে এসে হৈ চৈ শুরু করেন মাজহারুল ইসলাম সৈকত। তারপর এক পর্যায়ে সে কর্মচারীদেরকে ভাত দিতে বলেন। ভাত দেওয়ার পর সৈকত ‘ভাত বাসি’ দাবি করে ক্যান্টিনের ম্যানেজার জুয়েল আহমেদকে মারধর করেন। এসময় ক্যান্টিনের ১০/১২ বছরের তিন জন ক্যান্টিন বয় মুন্না হোসাইন আজিম, আতিকুর রহমান ও মোহাম্মদ রাব্বিকে লাথি, কিল, ঘুষি দিয়ে আহত করেন। এরপর উত্তেজিত সৈকত ক্যান্টিনের রান্নাঘরে ঢুকে বাবুর্চি ইব্রাহিমকে হাতের কাছে যা পেয়েছে তা দিয়ে মারধর করেন।
এ বিষয়ে ক্যান্টিনের কর্মচারীরা বলেন, ‘ওই সময় হলের অনেকেই ওই ভাত খাচ্ছিলো, কিন্তু কেউই ভাত বাসি বলেনি। শুধু তিনি (সৈকত) বাসি দাবি করে আমাদেরকে মারধর করলো।’
নাম প্রকাশ না করা শর্তে মাজহারুল ইসলাম সৈকতের কয়েকজন বন্ধু জানান, ‘সৈকত সকালে প্রচুর গাঁজা খায়। যারফলে সে ক্যান্টিনে গিয়ে কি করেছে সে নিজেও বলতে পারবেনা।’
এ বিষয়ে ক্যান্টিন মালিক মো. নুরুন্নবী বলেন, ‘ঘটনা শুনে আমি এসে দেখি আমার ক্যান্টিনের ছোট ছোট বাচ্ছাদের কে যেন মেরে আহত করেছে। তারা একেক জন এক এক দিকে পড়ে আছে। আমরা গরীব মানুষ তাই আমাদের নির্দয়ভাবে বিনা আপরাধে মারার কোন বিচার কি আমরা পাবো না?’
অভিযোগের বিষয়ে মাজহারুল ইসলাম সৈকত বলেন, ক্যান্টিনে বাসি খাবার পরিবেশন করায় কর্মচারীদেরকে রাগের মাথায় মারধর করেছি। বিষয়টি হলের সিনিয়রদের নিয়ে বসে মিমাংসাও করে ফেলেছি। তবে গাঁজা খাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন সৈকত।
এ বিষয়ে মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক শফি মুহাম্মদ তারেক বলেন, ‘মারধরের বিষয়টি শুনেছি। ক্যান্টিন মালিক ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদেরকে নিয়ে বসে বিষয়টি মিমাংসা করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।