পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভারতের অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক আর্থসামাজিক অগ্রগতির ভূয়সী প্রসংশা করেছেন। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ৮ অর্জন, গড়আয়ু ৭২ বছরে উত্তীর্ণসহ বাংলাদেশের বেশকিছু দ্রুত অগ্রগতিশীল খাতের কথা তিনি উল্লেখ করেন। একই সঙ্গে বাংলাদেশ সরকার যে সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার মাধ্যমে এগিয়ে যাচ্ছে যে বিষয়েও তারিফ করেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ভারতের নয়াদিল্লীতে ভারতের বর্তমান কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেটের অর্থ ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী অরুণ জেটলির কার্যালয়ে তার সাথে সাক্ষাৎ করেছেন। গতকাল সোমবার তিনি এ সাক্ষাৎ করেন। গত ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে আজ ২ অক্টোবর পর্যন্ত ৪ দিনব্যাপী মহাত্মা গান্ধী আন্তর্জাতিক স্যানিটেশন কনভেনশনে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসাবে ভারত সফর করছেন পরিকল্পনামন্ত্রী। সাক্ষাৎকালে অরুন জেটলি বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার সাম্প্রতিক যোগাযোগ ব্যবস্থা বিশেষ করে রেল ও সড়ক যোগাযোগ উন্নয়নের বিষয়টি তুলে ধরেন। বাংলাদেশর ক্রিকেটের উন্নয়নের বিষটিতেও আলোকপাত করে তিনি বলেন, একটি দেশের ক্রীড়াঙ্গন তখনই উন্নত হতে থাকে যখন সেই দেশ উন্নয়নের দিকে ধাবিত হতে থাকে। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশকে এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হলে অবশ্যই যোগাযোগ ব্যবস্থা ও প্রাতিষ্ঠানিক উন্নয়নের দিকে আরো বেশী জোর দিতে হবে।
পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ভারতের সাথে বহুবিধ সম্পর্ক গড়ে তুলতে প্রকৃতপক্ষে ভাল সম্পর্ক, বিশ্বাস, পারস্পারিক স্বার্থ ও সম্মানের ভিত্তিতে নীতি গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশ ভারতের সাথে সম্পর্কের সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে থাকে।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, তৃতীয় লাইন অফ ক্রেডিটের আওতায় ৪৫০ কোটি ডলারের ঋণে ভারতের সঙ্গে বিদ্যুৎ, রেলপথ, সড়ক, জাহাজ চলাচল, বন্দরসহ অবকাঠামো খাতে ১৭টি অগ্রাধিকার প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ। প্রথম দুই লাইন অফ ক্রেডিটের আওতাধীন প্রকল্পগুলোর বিষয়ও উল্লেখ করে তিনি প্রকল্পগুলো অনুমোদনের জন্য অরুন জেটলিকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের অর্থনীতি ওতোপ্রতোভাবে জড়িত। এমনকি যদি ভারতে মুল্যস্ফীতি হ্রাস পায় বাংলাদেশে তা হ্রাস পায়।
অরুণ জেটলি বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে রেল ও সড়কের মাধ্যমে অত্যন্ত সুন্দর ও সুদৃঢ়ভাবে যোগাযোগ স্থাপিত, এই ব্যবস্থার সুফল মিলবে তখনই যখন দুদেশের মানুষই আর্থিকভাবে লাভবান হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের সীমানাও ভারতের মাধ্যমে সুরক্ষিত এবং যেখানে কোন ঝুকি নেই।
পরিকল্পনামন্ত্রী এই বিষয়ে একমত পোষন করেন। পাশাপাশি রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে বলেন, ভারত এই দীর্ঘমেয়াদী রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশের পাশে থেকে সহযোগীতা করবে এবং এই সমস্যা সমাধান করতে মায়ানমারের প্রতি কার্যকরী চাপ প্রয়োগ করে দ্রুত শর্তহীন প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে নিরাপদ, টেকসই ও মহৎ উদ্যোগ গ্রহণ করবে বলে বাংলাদেশের আশা।
পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বাংলাদেশের ডেল্টা প্লান- ২১০০ বিষয়েও অরুন জেটলির সাথে আলোচনা করেন। মুস্তফা কামাল বলেন, বাংলাদেশ ডেল্টা প্লান- ২১০০ গ্রহন করেছে, ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ এর মাধ্যমে আগামী ১০০ বছরে বাংলাদেশ কোন পর্যায়ে যাবে সেই পরিকল্পনা চলছে। ব-দ্বীপকে জলবায়ু পরিবর্তনসহ অন্যান্য অভিঘাত থেকে বাঁচাতে এ প্ল্যান। ব-দ্বীপ পরিকল্পনায় বন্যা, নদীভাঙন, নদীশাসন, নদী ব্যবস্থাপনা, নগর ও গ্রামে পানি সরবরাহ এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, নগর বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও নিষ্কাশন ব্যবস্থাপনায় দীর্ঘমেয়াদি কৌশল নির্ধারণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, মানুষের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন তিনিটি বিষয় হলো বায়ু, পানি ও কৃষি। আর বিশুদ্ধ পানি হলো এর এই তিনটির প্রাণ। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ তাদের নিজেদের মধ্যকার সীমা নদীগুলোর বিভিন্ন পরিকল্পনার মাধ্যমে এই খাতকে অত্যন্ত সমৃদ্ধ করে সুফল ভোগ করছে। বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে অসংখ্য সীমান্ত নদী রয়েছে আশা করা যায় বন্ধু প্রতিম এই দুই দেশ এই খাতে অত্যধিক সফলতা অর্জন করবে। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ অতি দ্রুতই তার বেশীরভাগ নদীতে ক্যাপিটাল ড্রেজিং শুরু করবে। এক্ষেত্রে ভারত আর্থিকভাবে সহযোগীতাসহ ভারতীয় অংশে ক্যাপিটাল ড্রেজিং করে বাংলাদেশকে সহযোগীতা করবে বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন।
ভারতের অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি নদীগুলোর ভারতীয় অংশে ক্যাপিটাল ড্রেজিংসহ বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার পানিখাতকে আরো সমৃদ্ধকরনসহ রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের পাশে থাকার বিষয়ে আশ্বস্ত করেন।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।