পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমরা মারামারি, হানাহানি, পাল্টাপাল্টির মধ্যে নেই। বিএনপি বা অন্যান্য দলের সঙ্গে কোনো সংঘাতে আমরা যাব না। আমরা কাউন্টার মিটিং করব না। আমরা পাল্টাপাল্টি সমাবেশ করব না। বাংলাদেশের রাস্তার মালিক জনগণ। এই রাস্তা কেউ দখল করতে পারবে না। না সরকারি দল, না বিরোধী দল।
তিনি বলেন, এটিই হচ্ছে আমাদের উদ্দেশ্য। আমাদের কর্মসূচি হচ্ছে নিরীহ কর্মসূচি। আমাদের কর্মসূচি হচ্ছে- জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত কর্মসূচি। আমরা জনগণের কাছে যাব, কোন উত্তেজনা ছড়াব না। তবে বিএনপিসহ সাম্প্রদায়িক শক্তি সহিংসতা, নাশকতা করলে আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ করব।
গতকাল সোমবার আওয়ামী লীগের সাতদিনব্যাপি গণসংযোগের প্রথম দিনে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। দুপুরে গুলশান কাঁচাবাজারে তিনি বলেন, গণসংযোগে কোনো প্রার্থীর নয়, গণসংযোগ হবে নৌকার। ওয়ার্ড, মহানগর, জেলা, উপজেলা, ইউনিয়নে একসাথে শুরু হওয়া এটাই প্রথম প্রোগ্রাম। আমরা ক্যামেরার সামনে লোক দেখানো গণসংযোগ করবো না।
বিএনপির সাত দফা দাবিকে অযৌক্তিক ও অবাস্তব বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, বিএনপির সাত দফা দাবি অযৌক্তিক অবাস্তব এবং কোনো কোনোটি সংবিধানবিরোধী। সেতুমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনের শিডিউল ঘোষণার আর মাত্র এক মাস বাকি। এর মধ্যে তাদের দাবি মেনে নেয়ার কোনো সুযোগ নেই। তারা নিজেরাও ক্ষমতায় থাকলে এই সময়ের মধ্যে দাবিগুলো মেনে নিতে পারতেন না। অসাংবিধানিক দাবি কেউ মেনে নিতে পারতো না। এ দাবিগুলো তারা শুধু বলার জন্য বলছে, তাদের নেতাকর্মীদের চাঙ্গা করতে এসব আবোলতাবোল দাবি তুলছে। তারাও জানে এ দাবিগুলো মেনে নেয়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই।
নাশকতা প্রতিরোধে জনগণকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সহিংসতা, নাশকতা সাম্প্রদায়িক অপশক্তির সব অপতৎপরতার বিরুদ্ধে জনগণ ও নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানান। বিএনপির রাজপথ দখলের ঘোষণার বিষয়টি দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ওবায়দুল কাদের বলেন, রাজপথ কে দখল করতে আসে দেখব। রাজপথ দখল করতে এলে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সমুচিত জবাব দেবে।
ওবায়দুল কাদের ছাড়াও গণসংযোগে অংশ নেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দীপু মণি, সাংগঠনিক সম্পাদক মুহিবুল হাসান নওফেল, আন্তর্জাতিক সম্পাদক শাম্মী আহমেদ, ঢাকা মহানগর উত্তরে সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদকদের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় নেতারা প্রতিদিন চারটি ভাগে ভাগ হয়ে রাজধানীর তিনটি করে মোট ১২টি ওয়ার্ডে এ কর্মসূচি পালন শুরু হয়েছে। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল-আলম হানিফের নেতৃত্বে বিকাল ৪টায় রাজধানীর ওয়ারী থানার তিনটি ওয়ার্ডে গণসংযোগ করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন আ. ফ. ম. বাহাউদ্দিন নাছিম, একেএম এনামুল হক শামীম, দেলোয়ার হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর, এডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস, আমিনুল ইসলাম, এস এম কামাল হোসেন, মির্জা আজম, গোলাম কবির রব্বানী চিনু, ওয়ারী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি চৌধুরী আশিকুর রহমান লাভলু, ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগের সহ-সভাপতি মাহবুবুর রহমান পলাশ প্রমুখ।
দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানকের নেতৃত্বে বিকাল ৪টায় মোহাম্মদপুর থানার তিনটি ওয়ার্ডে গণসংযোগ কর্মসূচিতে অংশ নেন আহমদ হোসেন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, ফজিলাতুন্নেছা বাপ্পী, আব্দুস সাত্তার, ড. রোকেয়া সুলতানা প্রমুখ।
এ সময় নানক বলেন, বিএনপি বহু ঢাক-ঢোল পিটিয়ে ও নাটক করে জনসভা আয়োজন করলেও তা ফ্লপ হয়েছে। এতে আজ পরিস্কার হয়েছে অতীতের অগ্নিসন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের জন্য বিএনপির জনপ্রিয়তা তলানিতে পৌঁছেছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বিশ্বের উন্নয়ন, গণতন্ত্র ও পররাষ্ট্র নীতিতে রোল মডেল। তিনি আগামী নির্বাচনে মোহাম্মদপুরবাসীকে জননেত্রী শেখ হাসিনা মনোনীত প্রার্থীর জন্য দোয়া ও সমর্থন কামনা করেন।
অপরদিকে দলের আরেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমানের নেতৃত্বে বিকাল ৪টায় রাজধানী পল্টন থানার তিনটি ওয়ার্ডে গণসংযোগ কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে অংশ নেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি. এম. মোজাম্মেল হক, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, ঢাকা মহানগর দক্ষিন মহিলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিনু চৌধুরী, যুবলীগের কেন্দ্রীয় সহ-সম্পাদক আলামিনুল ইসলাম প্রমূখ।
শান্তিনগর কাঁচাবাজারে নির্বাচনী গণসংযোগে গিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ্যে করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ক্ষমতায় গেলে পরে কি হবে? আগে তো ক্ষমতায় যান। এত সহজ নয়, ক্ষমতার ময়ূর সিংহাসন বহুদূরে। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার উন্নয়ন অর্জন অপ্রতিরোধ্য। তার এই অগ্রযাত্রা আপনাদের চলার পথে যে কালো ছায়া তৈরি করেছে, তাতে বিএনপিই মহাসংকটে পড়েছে।
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, আমাদের বক্তব্য স্পষ্ট, বিএনপি বা অন্যান্য দলের সঙ্গে কোনো সংঘাতে আমরা যাব না। আমরা কাউন্টার মিটিং করব না। আমরা পাল্টাপাল্টি সমাবেশ করব না। বাংলাদেশের রাস্তার মালিক জনগণ। এই রাস্তা কেউ দখল করতে পারবে না। না সরকারি দল, না বিরোধী দল।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে হুমকি-ধামকি দিচ্ছে বিএনপির নেতারা। এর মাধ্যমে তারা নিজেদের ব্যর্থতাকে ঢাকতে চাইছেন। ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চাইছেন। রাস্তা দখল করে যদি তারা ঢাকা অচল করতে আসে, জনগণই বিএনপিকে অচল করে দেবে।
দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, একই এলাকায় মনোনয়ন নিতে আওয়ামী লীগের এত প্রার্থী? তারা কিভাবে দলের মধ্যে অন্য প্রার্থীদের বিরুদ্ধারণ করে, সেটি আমরা দেখতে পাচ্ছি। বিরোধী বিএনপি-জামায়াতের বিরুদ্ধে না বলে তারা নিজেদের বিরদ্ধে সব সময় কথা বলেন। চায়ের দোকানে বসে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বদনাম করে, ঘরের মধ্যে ঘর করে।
এদিকে সপ্তাব্যাপী ‘গণসংযোগ কর্মসূচি’র প্রথমদিনে ঢাকার সংসদীয় আসনের এমপিরা নিজ নিজ এলাকায় কর্মসূচি শুরু করেছেন। এর অংশ হিসেবে গতকাল সোমবার বিকেলে ডেমরা থানাধীন কোনাপাড়া মুরগীরর্ফাম মোরে সপ্তাব্যাপী ‘গণসংযোগ কর্মসূচি’র উদ্বোধন করেছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিন আওয়ামী লীগের উপদেস্টা পরিষদের সদস্য ও ঢাকা-৫ আসনের এমপি হাবিবুর রহমান মোল্লা । এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডেমরা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান মোল্লা সজল, আওয়ামী লীগ নেতা এনামুল ইসলাম এনাম, হানিফ তালুকদার, সোহেল খান, মোস্তাক আহমেদ ও দীন মোহাম্মদ দীলুসহ আরো অনেকে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।