পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
তিস্তা নদীর ভাঙনে ছোট হয়ে আসছে ছিটমহল দহগ্রাম-আঙ্গুরপোতা। গত কয়েক দিন ধরে তিস্তা নদীর লালমনিরহাট অংশে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। ইতোমধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে কয়েকশ’ ঘরবাড়ি। বাদ যাচ্ছে না ফসলি জমি ও রাস্তাঘাট। ছিটমহলের বাসিন্দারা জানান, দহগ্রামের কাদেরের চরের আয়তন ছিল ১২শ’ মিটার। এর মধ্যে প্রায় ৫০০ মিটার নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। অন্যান্য অংশেও ছোটখাটো ভাঙন চলছে। তবে স্থানীয় উদ্যোগে ভাঙনরোধের চেষ্টা চলছে।
২ দশমিক ৬৪ বর্গকিলোমিটার আয়তনের দহগ্রাম-আঙ্গরপোতা ছিটমহলের তিনদিকে ভারতীয় ভূখন্ড। আর একদিকে তিস্তা নদী। এ কারণেই বিপদের আশঙ্কা বেশি। স্থানীয়রা জানান, গত কয়েক দিনের ভাঙন থেকে রক্ষা পাচ্ছে না পাটগ্রাম উপজেলার বহুল আলোচিত ছিটমহল দহগ্রাম-আঙ্গুরপোতা। ইতোমধ্যে ছিটমহলের বিস্তীর্ণ এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। তাতে দিন দিন ছোট হয়ে আসছে ছিটমহলের আয়তন। দহগ্রাম ঘুরে এসে স্থানীয় এক সাংবাদিক ইনকিলাবকে বলেন, হঠাৎ করেই তিস্তা বিপদজনক হয়ে উঠেছে। একের পর এক বসতঘর গিলে খাচ্ছে। ঘরবাড়ি নদীতে বিলীণ হয়ে যাচ্ছে। হারিয়ে যাচ্ছে ফসলী জমি। তিনি বলেন, বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে ক্ষেতে শুধু ধান আর ধান। আর কয়েকদিন পরেই ধান পাকবে। সেই ভরা ধানের ক্ষেত নিমিষেই গ্রাস করে নিয়ে যাচ্ছে ভয়াল তিস্তা। কয়েক দিন আগেও মানুষ নদীতে তলিয়ে যাওয়ার আগেই কাঁচা ধান কেটে নিতে বাধ্য হয়েছে। সেই ধান গাছ পশুকে খাওয়াতে হয়েছে। তিস্তা একের পর এক গ্রাস করছে আর তা নির্বাক দৃষ্টিতে দেখছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। চোখের সামনে নিঃস্ব হলেও যেন তাদের কিছুই করার নেই।
স্থানীয়দের ধারনা, তিস্তার গতিপথ পরিবর্তন হয়ে দহগ্রামে ধাবিত হওয়ায় ভাঙন আরও জোরালো হচ্ছে। দ্রুত সিসি ব্লক ফেলে ভাঙনরোধ করা না গেলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের আশঙ্কা। ছিটমহলবাসীর ভাষ্যে, ভাঙন ঠেকানো না গেলে কিছুদিনের মধ্যেই হয়তো মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাবে দহগ্রাম-আঙ্গরপোতা ছিটমহল।
ছিটমহলের বাসিন্দা রহমত আলী, আজিজার রহমান ও মনছুর আলী আক্ষেপ করে বলেন, তিস্ত আমাদের জীবন ওলটপালট করে দিয়েছে। ধান,পাটসহ বিভিন্ন ফসলী জমি একে একে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। ঘরবাড়িসহ সর্বস্ব হারিয়ে অনেকেই পরিবার নিয়ে পথে বসেছেন।
দহগ্রাম সংগ্রাম কমিটির সাধারণ সম্পাদক রেজানুর রহমান রেজা সাংবাদিকদের বলেন, যা যাবার তা তো চলেই গেছে। এখন দহগ্রামের দুর্গম চর এবং গ্রামের রাস্তা-ঘাট ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে। অবিলম্বে সিসি ব্লক না দিলে এগুলোকে রক্ষা করা সম্ভব হবে না। তখন দুর্যোগ নেমে আসবে।
লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের একজন প্রকৌশলী জানান, দহগ্রামে তিস্তার ভাঙনরোধে একটি প্রকল্প একনেকে পাস হয়েছে। বর্ষা মৌসুম শেষে প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। #
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।