বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বেনাপোলে বিল্লাল হোসেন নামের এক পল্লী চিকিৎসক প্রতারণার মাধ্যমে ২০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে উধাও হয়ে গেছেন। বিল্লাল হোসেন যশোর জেলার ঝিকরগাছা উপজেলার হাজিরবাগ ইউনিয়নের দেউলী গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে।
ভুক্তভোগী কয়েকজন জানান, দুই বছর আগে প্রতারক পল্লী চিকিৎসক বিল্লাল দুই স্ত্রী এবং সন্তানাদি নিয়ে বেনাপোল পোর্ট থানার সাদীপুর গ্রামে বসবাস শুরু করেন। বেনাপোল বন্দরের ছয় নম্বর গেটের সামনে মসজিদের পাশে মিজানুর ফার্মেসী নামের একটি সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে নিজের নামের পাশে এমবিপি, এইচইটি, আইএএম, কলকাতা (ইন্ডিয়া), আরএমপি (ঢাকা) লিখে তার চিকিৎসা পেশা শুরু করেন। এছাড়া মেডিসিন, মা ও শিশু, চর্ম ও যৌন রোগে বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত’ লিখে একটি ওষুধের দোকান খুলে রোগীদের চিকিৎসা শুরু করেন। তার কাছে চিকিৎসার জন্য আসা রোগীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা গড়ে তোলেন কৌশলে। ঘনিষ্ঠতার সুযোগে ওষুধের দোকান করবেন বলে বেনাপোল পোর্ট থানার গাজীপুর পশ্চিমপাড়া গ্রামে রাশিদা বেগম নামের এক গৃহবধূর কাছ থেকে কয়েক দফায় ১২ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। অন্যান্য রোগীদের কাছ থেকেও হাতিয়ে নেন আরো প্রায় ৭ লাখ টাকা। পরে তিনি সবার অগোচরে পরিবার নিয়ে বেনাপোল ত্যাগ করেন কৌশলে। নিজে যাওয়ার আগে দুই স্ত্রী এবং সন্তানদেরকে বেনাপোল থেকে সরিয়ে দেন।
গত তিন দিন ধরে তার ফার্মেসি বন্ধ থাকায় রোগীদের সন্দেহ হয়। পরে সাদীপুরের বাড়িতে গিয়েও তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তার ঝিকরগাছার বাড়িতে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, তিনি সেখানেও যাননি।
সর্বস্ব হারানো রাশিদা বেগম বলেন, প্রতারক ডাক্তার বিল্লাল আমার কাছ থেকে ওষুধের দোকান করবে বলে দোকান ঘর দেখিয়ে কয়েক দফায় মোট ১২ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। পরে জানতে পারি আমার মতো আরো কয়েকজনের কাছ থেকে একই কথা বলে আরো ৭ লাখ টাকা হাতিয়েছে। পরে কৌশলে সে পরিবার নিয়ে নিখোঁজ রয়েছে।’
বেনাপোল পোর্ট থানার ডিউটি অফিসার এসআই মতিয়ার রহমান জানান, এ ব্যাপারে থানায় কেউ কোন অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।