পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জনসভায় বিএনপির নেতাকর্মীদের উপস্থিতি জনসমর্থন হারানোর প্রমাণ বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
গতকাল রোববার আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমন্ডলীর সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এলোমেলো দল বিএনপি হাক ডাক দিয়ে মহাসমাবেশ করেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তর্জন-গর্জনই সার। কক্সবাজার যাওয়ার সময় রাস্তায় রাস্তায় যে আটটি সমাবেশ আমরা করেছি তাতে যে উপস্থিতি ছিল তাদের কেন্দ্রীয় মহাসমাবেশের উপস্থিতি সেগুলোর ধারে কাছেও নেই।
তিনি বলেন, তাদের সমাবেশে উপস্থিতি হতাশাজনক। এ উপস্থিতি দেখে মনে হয় জনগণ বিএনপির সঙ্গে নেই। এ দলটি ক্রমেই সংকুচিত হচ্ছে। নেতিবাচক রাজনীতির কারণে ক্রমেই জনসমর্থন হারিয়ে ফেলেছে দলটি ।
সমাবেশে বিএনপি নেতাকর্মীদের মারামারির কথা তুলে ধরে কাদের বলেন, এই যে জাতীয় ঐক্য, হাতাহাতি মারামারি, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, জাতীয় ঐক্যের সূচনা। এখানেই স্পষ্ট কেমন তাদের ঐক্য।
মির্জা ফখরুল ইসলামের দাবির বিষয়ে ওবায়দুর কাদের বলেন, পরিষ্কার বলে দিতে চাই, দেশে পবিত্র সংবিধানের কোনো পরিবর্তন, সংযোজনের সুযোগ নেই।
বিএনপির আন্দোলনের ঘোষণার বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, তাদের সক্ষমতার সীমারেখা আজকেই তো দেখলাম। নিজেরা নিজেরা মারামারি, যতবার মফস্বলে গেছে ততবারই মারামারি। সমাবেশ কল করলেই নিজেরা নিজেরা মারামারি।
আন্দোলনের নামে বিশৃঙ্খলা করলে সমুচিত জবাব দেয়া হবে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, গণতান্ত্রিক শান্তিপূর্ণ আন্দোলন হলে আমরা রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করব। আর যদি আন্দোলনের নামে ২০১৪ সালের মতো নাশকতা, বোমা হামলা এবং সেই ভয়াবহ দৃশ্যপটের অবতারণা করে তবে প্রশাসন যা যা করা দরকার সব করবে। আমরাও ঘরে বসে ডুগডুগি বাজাব না, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ করবো, প্রতিহত করবো।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। ##
বিএনপির দাবি হওয়া উচিত নিরপেক্ষ ইসির সরকারের নয়
স্টাফ রিপোর্টার
বিএনপি ও তাদের সহযোগীদের নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার গঠনের দাবি অযৌক্তিক বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, তাদের দাবি হওয়া উচিত নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের, নিরপেক্ষ সরকারের নয়। নিরপেক্ষ সরকার কী করবে? নিরপেক্ষ সরকার তো রুটিন দায়িত্ব পালন করবে। তার হাতে তো কোনও ক্ষমতা থাকবে না। তাদের এই দাবি মানতে হলে সংবিধান সংশোধন করতে হয়। সেই সুযোগ তো নেই।
গতকাল দুপুরে সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলাপকালে এসব কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। কিন্তু নির্বাচনের সময় ক্ষমতাসীন সরকারের ক্ষমতা সংকুচিত হবে। সরকার নির্বাচন সংক্রান্ত কোনও বিষয় নিয়ে কোনও কাজে সম্পৃক্ত হবে না। অক্টোবরের মাঝামাঝি অথবা শেষ সপ্তাহে নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করা হবে। মোট কথা অক্টোবরেই হচ্ছে নির্বাচনকালীন সরকার।
তিনি বলেন, নির্বাচন করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নভেম্বরে প্রথম সপ্তাহে শিডিউল ঘোষণা হবে। সে দিক দিয়ে হিসেব করলে এক মাসের চাইতে দুই-একদিন বেশি। সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, দেশে কী এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে যে দেশে এখন বিশেষ সরকারের প্রয়োজন পড়েছে? বাংলাদেশ তো অশান্ত নয়। তবে বিএনপি ও তার সহযোগীরা অশান্তির উস্কানি দিচ্ছে।
বিএনপি যদি নির্বাচনে না আসে তবে তাদেরকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করানোর জন্য বিশেষ কোনও পদক্ষেপ নেবেন কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, এটা কি আমার বাড়ির মেজবান যে আমি তাদের দাওয়াত দিয়ে আনবো? নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা তো বিএনপির গণতান্ত্রিক অধিকার। সেটিকে তারা দয়ার দান ভাবছে কেন?
রাজনীতির মাঠ আবার উত্তপ্ত হচ্ছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মাঠ উত্তপ্ত হবে কেন? আমরা তো পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি দেইনি। আমরা দিয়েছি নিরীহ কর্মসূচি। আমাদের কর্মসূচি হছে ভোট চেয়ে লিফলেট বিতরণ।
বিএনপি না এলে এবারের নির্বাচনও ২০১৪ সালের নির্বাচনের মতো প্রশ্নবিদ্ধ হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ১৪ সালের নির্বাচন যদি বিশ্ববাসীর কাছে গ্রহণযোগ্য না হতো তাহলে এদেশে আইপিইউ (ইন্টারন্যাশনাল পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন) এবং সিপিএ’র (কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি অ্যাসোসিয়েশন) বর্ণাঢ্য কনফারেন্স হলো কী করে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে তিনি বলেন, একটি আইনে সব কিছু উল্লেখ থাকে না। পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ করে পরিপূর্ণ করা হয় বিধিমালায়। সম্পাদক পরিষদের যে উদ্বেগ সেটি সরকার আমলে নিয়েছে বলেই তথ্যমন্ত্রী আজকে সম্পাদক পরিষদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। তাদের দাবি যৌক্তিক হলে মানতে বাধা কোথায়।
আওয়ামী লীগের সপ্তাহব্যাপী গণসংযোগ কর্মসূচি
আওয়ামী লীগ রাজধানী ঢাকায় সপ্তাহব্যাপী গণসংযোগ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। গতকাল আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডিস্থ রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে দলের কার্যনির্বাহী সংসদের নেতৃবৃন্দকে নিয়ে গঠিত ৪টি টিম রাজধানীর ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে গণসংযোগ কর্মসূচি পরিচালনা করবেন। দলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল-আলম হানিফ এমপি, ডা. দীপু মণি এমপি, জাহাঙ্গীর কবির নানক এমপি ও আব্দুর রহমান এমপি এই ৪টি টিমের নেতৃত্ব দিবেন।
আজ সোমবার সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচির প্রথম দিনে মাহবুবউল-আলম হানিফের নেতৃত্বে গঠিত টিম বিকাল ৪টায় রাজধানীর ওয়ারি থানার ৩টি ওয়ার্ড, ডা. দীপু মণির নেতৃত্বে গঠিত টিম সকাল ১১:৩০মি. গুলশান-২ কাঁচাবাজার এলাকা, জাহাঙ্গীর কবির নানকের নেতৃত্বে বিকাল ৪টায় মোহাম্মদপুর থানার ৩টি ওয়ার্ড ও আব্দুর রহমান এর নেতৃত্বে বিকাল ৪টায় পল্টন থানার ৩টি ওয়ার্ডে গণসংযোগ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। সপ্তাহব্যাপী এই কর্মসূচির সমন্বয় করবেন দপ্তর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ ও প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
ওবায়দুল কাদের এক বিবৃতিতে দলের নেতা-কর্মীদের দেশজুড়ে সপ্তাব্যাপী ‘গণসংযোগ কর্মসূচি’ পালন করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। এছাড়া কোন ধরনের হত্যা, সন্ত্রাস, নাশকতা, ষড়যন্ত্র ও নৈরাজ্যমূলক কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে সচেতন ও সতর্ক থেকে সকল ধরনের ধ্বংসাত্মক তৎপরতা রুখে দাঁড়ানোর জন্য আহ্বান জানান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।