পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে আমাদের সফলতা এসেছে, তবে কাঙ্খিত সফলতা আসেনি। আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো আমাদের মাঝে আইন না মানার মানসিকতা। মানুষকে জোর করেও আইন মানতে বাধ্য করা যাচ্ছে না। বিদেশে যখন যাই, আমরা আইন মানি। তাহলে ঢাকার সড়কে বেরিয়ে কেন আমরা আইন মানি না? গতকাল রোববার রাজধানীর সার্ক ফোয়ারা মোড়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া।
তিনি বলেন, চলমান ট্রাফিক সচেতনতা মাসে অভিযান চালিয়ে ৭ কোটি টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। অভিযানে পর্যাপ্ত গাড়ি ডাম্পিং করা হয়েছে, রেকারিং করা হয়েছে ও মামলা দেয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ঢাকা শহরে নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিশুদের একটি আন্দোলন হয়েছিল। সে আন্দোলনের একপর্যায়ে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সড়কের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য প্রধানমন্ত্রী আমাদের নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা ৪ সেপ্টেম্বর থেকে ঈদুল আজহার আগ পর্যন্ত ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার কাজ করেছিলাম। ১০ দিন একটানা ট্রাফিক সপ্তাহ পালন করেছি। ঈদের পর মাসব্যাপী ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার জন্য বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেছি। আমাদের সঙ্গে রোভার স্কাউট, বিএনসিসি, গার্লস গাইডসহ বিভিন্ন সংগঠন কাজ করেছেন। আমাদের অগ্রগতি নিয়ে প্রশ্ন থাকতে পারে, কিন্তু আন্তরিকতায় কোনো ঘাটতি ছিল না।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, বাসগুলো যাতে সুশৃঙ্খলভাবে যায়, যত্রতত্র না দাঁড়ায়, বাস চলার সময় দরজাগুলো বন্ধ থাকে সেটার ব্যাপারে আমরা সকলকে অনুরোধ করেছিলাম, নির্দেশনা দিয়েছিলাম। সেটার বিষয়ে কিছু উন্নতি হয়নি। এ ছাড়া হাইড্রোলিক হর্ন, উল্টো পথে গাড়ি চালানো, গাড়িতে অবৈধ স্টিকার ব্যবহার করাসহ নানাবিধ ট্রাফিক আইন ভঙ্গের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি।
চালকদের নিয়ে অনেকবার সচেতনতামূলক সভা করা হয়েছে জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, দুঃখজনক কিছুটা উন্নতি হলেও ব্যাপক উন্নতি হয়নি। এখনো যত্রতত্র গাড়ি দাঁড় করিয়ে যাত্রী নেয়ার প্রবণতা রয়ে গেছে, আমরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার সব ধরনের উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে বলে জানান ডিএমপি কমিশনার।
পুলিশ কমিশনার বলেন, জাহাঙ্গির গেট থেকে জিরোপয়েন্ট পর্যন্ত আমরা স্বয়ংক্রিয় বাতির আওতায় আনতে চেয়েছিলাম। কিন্তু কোনো কারণে বাতিগুলো চালু করা সম্ভব হয়নি। কারণ বাতিগুলো সরকারের অন্য সংস্থা নিয়ন্ত্রণ করে। তবে আমরা সব সংস্থার সঙ্গেই সমন্বয় করছি। ফুটপাত দখলমুক্ত করতে তাদের কর্মসংস্থানের বিষয় রয়েছে, লেগুনা কোনো পথে চলবে বা কোরো পথে চলবে না আমরা সেসব ভাবছি। সাফল্যের প্রত্যাশা পূরণ হয়নি, কিন্তু আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সুশৃঙ্খল নগরী গড়ে তোলার প্রত্যাশা করেন তিনি।
এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় রাস্তাঘাটে যে কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে এটা একটা প্রক্রিয়া। তবে বড় বিষয় অবকাঠামোগত পরিবর্তন করা। সরকারের পক্ষ থেকে এজন্য স্বল্প-মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী বিভিন্ন পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
বিভিন্ন ক্ষেত্রে পুলিশ সদস্যদের চাঁদা আদায়ের অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ব্যক্তিগতভাবে যদি কোনো ব্যক্তি অনিয়ম করে তাহলে সেই দায় একান্তই তার। কোনো ব্যক্তির দায় তার প্রতিষ্ঠান নেবে না, যদি কারো বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায় তাহলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ সময় ঢাকা মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মীর রেজাউল আলমসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।