Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সাভারে ভাংচুর করে প্রায় দুই কোটি টাকা মূল্যের জমি দখলের চেষ্টা, সংঘর্ষে আহত ২০

সেলিম আহমেদ, সাভার | প্রকাশের সময় : ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ৫:১৩ পিএম

ঢাকার সাভারে বাড়ি-ঘর ও দোকান ভাংচুর করে প্রায় দুই কোটি টাকা মূল্যের জমি দখলের চেষ্টাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ২০জন আহত হয়েছে। আহতরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে। রোববার দুপুরে সাভার পৌর এলাকার রাজাশন মহল্লায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আব্দুস সোবাহান নামে এক ব্যক্তির নেতৃত্বে দুপুরে হাতে ও মাথায় লাল ফিতা বাধা শতাধিক যুবক শাবল, দা, হামাড়, লোহার রড ও লাঠিশোটা নিয়ে আচমা বাড়িঘড় ও দোকানপাটে হামলা ভাংচুর ও লোটপাট শুরু করে। তখন প্রায় অর্ধশত পুলিশ সদস্যও ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল। হামলাকারীরা নারীদের লাঞ্ছিত ও ঘরের মালামাল বাহিরে ফেলে দেয় এবং তাদের জায়গা ছেড়ে চলে যেতে বলে। তখন স্থানীয় কাউন্সিলরের ভাই জাহিদ মিয়ার পক্ষের লোকজনের সাথে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এতে অন্তত ২০জন আহত হয়েছে। তবে দখলের চেষ্টাকারী সোবাহার বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে।
সাভার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুল আউয়াল জানান, রাজাশন মৌজায় ২৪শতাংশ জমি দখল নিতে আব্দুস সোবাহান আদালত থেকে রায় নিয়ে আসে। পরে আদালতের নির্দেশে পুলিশ জমির দখল বুঝিয়ে দিতে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে হামলার ঘটনা ঘটে।
তিনি আরও বলেন, পরে অবস্থা বেগতিক দেখে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে চলে আসে।
স্থানীয় কাউন্সিলর (৮নং ওয়ার্ড) সেলিম মিয়া জানান, ২০১৫সালের ফেব্রয়ারী পুস্প কস্তা ৮৫ ও ৯০দাগের ১৭ শতাংশ জমি তার ভাই জাহিদ মিয়া ও শেখর পিউরিফিকেশনের নামে পাওয়ার করে দেন।
পরে ২০১৭সালের ২৪অক্টোবর তারা দুইজন জমিটি সুফিয়া বেগম, লায়লা খানম লাবনী ও সুচিত্রা গ্লোরিয়া পলমকে সাবকবলা রেজিষ্ট্রি করে দেন। এর পর থেকে জমিটির সামনে তিনটি দোকান ও পিছনে ঘর ভাড়া দিয়ে রাখেন তারা।
কাউন্সিলর সেলিম বলেন, দখল চেষ্টাকারী আব্দুস সোবাহান আমাদের ভাড়াটিয়াদের একাধিকবার জমি ছেড়ে দেয়ার জন্য হুমকিও দিয়েছেন এজন্য আমরা সাভার মডেল থানায় সাধারন ডাইরীও করেছি। তিনি বলেন, তারা আদালতে মামলা করেছে ৯০দাগের জমির নিয়ে কিন্তু এখানে তারা দখল করতে আসে আমাদের ৮৫দাগের জমি।
বাড়ির ভাড়াটিয়া জাহাঙ্গীর, জসিম, বাবুল, নাজিম উদ্দিন, মাসুদ, লোকমান হোসেন ও তাসলিমা জানায়, আমরা ভাড়া থাকি। আমাদের ভালভাবে চলে যেতে বললেই আমরা জিনিসপত্র নিয়ে বেরিয়ে যেতাম। কিন্তু একদল সন্ত্রাসী বাহিনী হঠাৎ ঢুকে পরে ভাংচুর শুরু করে, লুটপাট করে নেয় ঘরের মালামাল। বাধাদিলে নারীদের লাঞ্ছিত করেছে। আমাদের অনেক ক্ষয়ক্ষতি করেছে তারা। আমরা এর বিচার কার কাছে দিব -বলেন তারা।
তবে জমি দখলের চেষ্টাকারী আব্দুস সোবাহান মুঠফোনে বলেন, আমি এখন থানায় আছি। আমার জমি আমি আদালতের নিদের্শে দখলে নিতে গিয়েছিলাম। তবে তার জমির কাগজ ও আদালতের নির্দেশনার কপি দেখতে চাইলে তিনি পরে দেখাবেন বলে জানান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ