পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আগামী একাদশ নির্বাচনের আগ পর্যন্ত ঐক্যবদ্ধভাবে বিএনপি-জামায়াত, ড. কামাল, বি. চৌধুরীদের ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করা হবে বলে জানিয়েছে ক্ষমতাসীন চৌদ্দ দলের নেতারা।
গতকাল রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে ১৪ দল আয়োজিত কর্মী সমাবেশে জোটের নেতারা এসব কথা বলেন। এছাড়া রাজপথ দখল রাখতে ৯ অক্টোবর রাজশাহী, ১০ অক্টোবর নাটোর ও ১৩ অক্টোবর খুলনায় ১৪ দল বিভাগীয় সমাবেশ করবে। এরপর নেত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে অক্টোবরে ঢাকায় মহাসমাবেশ করবে। সমাবেশে জোটের মুখপাত্র আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ওরা বলেছে অক্টোবর থেকে মাঠে থাকবে। অক্টোবর তোমাদের জীবনে আসবে না। ডিসেম্বরে নির্বাচনের আগে আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে মাঠ গরম করব। খেলার মাঠে খেলোয়াড় ভাড়া করা যায়। রাজনীতি নেতা ভাড়া করা হয় এটা প্রথম দেখলাম। ভাড়াটিয়া দিয়ে জয় করতে পারবে না। ভাড়াটিয়া দিয়ে কাজ হয় না। একজন বিদেশে বসে আর দুইজন দেশে বসে চক্রান্ত করছে।
জোটের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা সাবধান থাকবেন। শেখ হাসিনা ও আমরা যখন ডাক দেব তখন কেউ ঘরে বসে থাকবেন না, ঘর থেকে বেরিয়ে আসবেন। ১৪ সালে জ্বালাও- পোঁড়াও করেছো, এবার হবে না। আমাদের ঐক্য দরকার। মাত্র কয় দিনের নোটিশে আপনারা আজকে এখানে এসেছেন।
সমাবেশে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেন, আন্দোলনের নামে যারা সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করবে তাদেরকে ধরিয়ে দিতে হবে, প্রতিহত করতে হবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সব ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দেশে গণতান্ত্রিক সরকার কায়েম হবে। তাই ১৪ দলের নেতাকর্মীদেরকে শপথ নিয়ে প্রস্তুত হতে হবে।
তিনি বলেন, তারা আন্দোলনের নামে রেললাইন তুলে ফেলার চেষ্টা ও রাস্তা-ঘাট বন্ধ করতে পারে। এ জন্য পাহারা দিতে হবে, সতর্ক থাকতে হবে।
আওয়ামী লীগের প্রবীণ এ নেতা বলেন, কোনো মানুষ নদীতে পড়ে গেলে বাঁচার জন্য খড়কুটা হলেও ধরার চেষ্টা করে। খালেদা জিয়ার ২০ দল ডুবে যাচ্ছে। তাই তারা ওই খড়কুটা যুক্তফ্রন্ট-গণফ্রন্ট ওমুক ফ্রন্ট ধরে যুক্তফ্রন্ট করতে চায়, অনেক বড় জোট করতে চায়। কিন্তু কোনো জোটে তাদের কাজ হবে না।
২০ দলীয় জোটের নিরপেক্ষ সরকারের দাবিকে ‘ভুতের মুখে রাম রাম’ বলেছেন আওয়ামী লীগের এই প্রবীণ নেতা। তিনি বলেন, ৯১ সালে বিএনপি নেতৃত্বাধীন সরকার সংবিধান পরিবর্তন করেছে। সেই সংবিধানের আলোকে ৯৬-এ বিনা ভোটে নির্বাচন দিয়েছে। আর আওয়ামী রীগের নেতৃত্বে সেই অবৈধ সরকারকে ক্ষমতা থেকে নামিয়ে দিয়েছিলাম আমরা।
আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী বলেন, তারা ঐক্য করেছে, কিসের ঐক্য। তারা বাঘ মারার ডর দেখাচ্ছে। আজম খানের গানে আছে, ‘বাঘ মারতে যামু, আমি আর মামু’। বাঘ মারতে যাওয়ার ডর আমাদের দেখিয়ে লাভ হবে না।
১/১১ এর কুশিলবরাই আবার ঐক্যবদ্ধ হয়েছে বলে দাবি করে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য, প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য একটি মহল এই মহানগর নাট্যমঞ্চে কয়েকদিন আগে হাতে হাত মিলিয়েছে। আজকে আমরা সমবেত হয়েছি, তাদের জবাব দিতে। এরা কারা? এরাই ১/১১ এর সেনা শাসিত সরকারের পরামর্শ দাতা। বিভিন্ন দল থেকে বাদপড়া, বহিস্কার হওয়া নেতারা আজকে ঐক্যে যুক্ত হয়েছেন। তারাই ১/১১ এর সরকারে কাছ থেকে সুবিধা নিয়েছেন, আবার তারা ষড়যন্ত্র শুরু করেছেন যদি কিছু পায়।
জাতীয় পার্টি জেপি’র চেয়ারম্যান ও পানি সম্পদ মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বলেন, সামনে নির্বাচন আসছে, যথা সময়েই নির্বাচন হবে। নির্বাচনের কোন বিকল্প নেই। নির্বাচনের বিকল্প কিছু হতে পারে না। নির্বাচনের বিকল্প যা হয়, তাতে মানুষের কল্যাণ হয় না। যা ১/১১ সময়ে প্রমাণিত হয়েছে। ষড়যন্ত্রের ডাল ভেদ করে সঠিক সময়েই নির্বাচন হবে।
জাসদ একাংশের সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া বলেন, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ব্যারিস্টাররা এক হয়ে রাজনীতিতে ষড়যন্ত্র চক্রান্ত শুরু করেছেন। ড. কামাল হোসেন, বি চৌধুরী, মান্না সাংবিধানিক ধারাবাহিকতার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চক্রান্ত করছেন। ১৪ দলের নেতাকর্মীরা যে কোন ষড়যন্ত্র চক্রান্ত প্রতিহত করবে।
জাসদের অপর অংশের সাধারণ সম্পাদক শিরিন আখতার বলেন, দেশের গণতন্ত্র, স্বাধীনতার উপর যখনই আঘাত এসেছে, তখনই ১৪ দল লড়াই করে তা রক্ষা করেছে। আগামীতেও জাতীয় ঐক্যের নামে যারা ষড়যন্ত্রের চেষ্টা করছে তাদের প্রতিহত করবে ১৪ দল।
জাতীয় ঐক্যের নেতাদের সমালোচনা করে সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া বলেন, জাতীয় ঐক্যের নেতারা বসন্তের কোকিলের মতো। যখনই বসন্ত ভাব দেখেন, তখনই তারা কুহু কুহু ডাক দেন। ড. কামাল হোসেন, বি চৌধুরীরা হচ্ছেন ১/১১ মাইনাস টু ফর্মুলার নায়ক। সে সময়ে ব্যর্থ হয়ে তারা আবার জোট গঠন শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, জাতীয় ঐক্যের সাথে ঐক্য আছে জাতি নেই। রাজনীতিতে প্রত্যাখ্যাত কিছু নেতারা জোট গঠন করে দেশের বিরুদ্ধে, সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। ওরা নির্বাচন বন্ধের ষড়যন্ত্র করছে। কিন্তু ১৪ দলের নেতাকর্মীরা তাদের ষড়যন্ত্র প্রতিহত করবেই।
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান বলেন, রাজনীতিতে হতাশাগ্রস্থ, রাজনীতিতে নিক্ষিপ্ত, জনবিচ্ছন্নরা একত্রিত হয়ে জোট গঠন করে দুর্নীতিতে সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়া এবং পলাতক তারেক রহমানকে রক্ষা করতে চাইছেন। দেশে কোন সহায়ক সরকার, তত্ত্বাবধায়ক সরকার হবে না। স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন হবে। সেই সরকারের প্রধান থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কারো দাবি মেনে নেওয়া হবে না।
সমাবেশ সঞ্চালনা করেন মহানগর ১৪ দলের সমন্বয়ক ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ। আরো বক্তব্য রাখেন, নাজমুল হক প্রধান, নজিবুল বশর মাইজভান্ডারি, শেখ শহিদুল ইসলামসহ ১৪ দলের কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতৃবৃৃন্দ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।