পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
২৩ দফার ভিত্তিতে ২০০৫ সালে আওয়ামী লীগ নেতৃত্ব ১৪ দলীয় জোট গঠিত হয়েছিল। এরপর বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে সক্রিয় তারা। ২০০৯ সাল থেকে টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় তারা। জোটের দলগুলোর মধ্যে চাওয়া-পাওয়ার ক্ষোভ থাকলেও সেটা প্রশমিত করেছে ক্ষমতাসীনরা। তবে এতেও ভাঙন ঠেকানো যায়নি। এ অবস্থায় আনুষ্ঠানিকভাবে জোট ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন শরীফ নুরুল আম্বিয়ার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ জাসদ। একই সঙ্গে তিনি অন্য শরিকদেরও জোট ছাড়ার আহ্বান জানান। গতকাল শনিবার রাজধানীর রমনা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ মিলনায়তনে সংগঠনটির প্রথম সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে এ কথা জানান শরীফ নুরুল আম্বিয়া।
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট ছাড়ার ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, ১৪ দলীয় জোট এখন ভাইরাস প্ল্যাটফর্ম। ওখানে সব দল এখন আওয়ামী লীগের কাজ করে। ১৪ দলের শরিক অন্য দলকেও ওখান থেকে সরে এসে গণতন্ত্রের পথে ন্যায়সংগত সংগ্রামে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। তিনি বলেন, ২০০৫ সালে ২৩ দফার ভিত্তিতে আদর্শিক ১৪ দলীয় জোট গঠন হয়েছিল। এখন জোট নেতৃত্বাধীন দল যে কোনোভাবে ক্ষমতায় থাকতে চায়। এখানে আদর্শ নেই। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এখন দুর্বৃত্ত ও তাদের চাটুকাররা নিয়ন্ত্রণ করে। অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ নির্মাণে আওয়ামী লীগ ও ১৪ দল অকার্যকর প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।
বাংলাদেশ জাসদ সভাপতি বলেন, ২০১৮ সালের কায়দায় নির্বাচন করার ইচ্ছা ক্ষমতাসীনদের পরিত্যাগ করতে হবে। কিছু দালাল, চাটুকার ও সুযোগসন্ধানী হয়তো ওত পেতে আছে এমন নির্বাচনে যাওয়ার জন্য। তাতে কোনো লাভ নেই। এমন নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না। ক্ষমতাসীনরা যদি নির্বাচন কমিশনের সহযোগিতায় তা করতে চায় তবে তা হলে অতীত বাকশাল গঠনের চাইতেও খারাপ সিদ্ধান্ত।
এ সময় ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, মেনন ভাই মাঝে মাঝে গরম কথা বলেন। কিন্তু পরে আবার ঘরের ভেতর গিয়েই বসে থাকেন। নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে সৃষ্ট সংকটের স্থায়ী সমাধান হিসেবে জাতীয় সংসদকে দুই কক্ষ করার প্রস্তাব দেন তিনি।
শরীফ নুরুল আম্বিয়ার আহ্বান সম্পর্কে জানতে চাইলে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন সাংবাদিকদের বলেন, তিনি যে জোট ছেড়ে চলে গেলেন, কাউকে বলে যাননি। তিনি নিজে গেছেন। খামোখা অন্যকে আহ্বান করে লাভ কী? জোটেতো আরও রাজনৈতিক দল ছিল। তাদের সঙ্গে কোন রকম আলাপ-আলোচনাই করেননি তিনি (আম্বিয়া)। কারও সঙ্গে আলোচনাই করেননি। এখন আবার আজকে আহ্বান জানাচ্ছেন। এই নিয়ে সঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানতে হবে, তাতো হয় না।
এর আগে প্রথম অধিবেশনের আলোচনা পর্বে যোগ দেন জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব, গণফোরাম সভাপতি মোস্তফা মহসীন মন্টু, সিপিবি সভাপতি শাহ আলম, বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ, বাংলাদেশ জাসদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।