বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ঝিনাইগাতীতে এখন আর কাঠশালিক চোখেই পড়ে না। অথচ আজ থেকে মাত্র ১৫-২০ বছর আগেও এখানের গারো পাহাড়জুড়ে ছিল কাঠশালিকের অবাধ বিচরণ। গ্রাম বাংলার অপরূপ প্রকৃতিক সৌন্দর্যের এক বিশাল অংশজুড়ে থাকত নানা প্রজাতির পাখি। কিন্তু কালক্রমে তা আজ হারিয়ে যেতে বসেছে। অবাধ বৃক্ষনিধন, কৃষি জমিতে কীটনাশক ব্যবহার এবং সাম্প্রতিককালে জলবায়ু পরিবর্তন এবং শিকারিদের নির্বিচার শিকারের কারণে গ্রামবাংলার চিরচেনা পাখিগুলোর অস্তিত্ব আজ বিলুপ্তির পথে। বিলুপ্ত সে সব পাখির মতোই কাঠশালিক ও আজ বিলুপ্তির পথে। অথচ এমন এক সময় ছিল, যখন এসব পাখির অবাধ বিচরণ ছিল গ্রামবাংলার প্রধান আকর্ষণ। লাল, ধূসর, খয়েরি, লাল ও পিঙ্গল বর্ণের মিশেলের এই চিরচেনা কাঠশালিক এখন যেন শুধুই স্মৃতি! ২০-২২ সেন্টিমিটার লম্বা কাঠশালিকের লম্বা লেজ, বুক, পেট ও পালকের রঙ উজ্জল বাদামি। বড় বড় চোখ ও লালচে রঙয়ের পা এবং গলায় অত্যন্ত সুন্দর ধূসর বর্ণের পালক, যা দেখে যে কেউ ভাববেন ‘মালা’। এসব পাখি সাধারণত গাছের কোটরে গর্ত করে বাসা বাঁধে। বসন্ত থেকে বর্ষাকাল এদের প্রজননের সময়। তখন ৩তিন-চারটি নীলচে রঙয়ের ডিম পাড়ে কাঠশালিক। অত্যন্ত সুন্দর এই পাখিটি আগে সর্বত্র দেখা গেলেও এখন পাহাড়ি এলাকায় দুই-একটি হঠাৎ চোখে পড়ে। ঝিনাইগাতীর বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ আ: ছালাম, কৃষক নেতা সরোয়ারদী দুদু মণ্ডল, অটোরিকশা মালিক ও চালক ডেফলাই গ্রামের আবুল কাশেম জানান, ঝিনাইগাতী গারো পাহাড়ের সুন্দর সুন্দর পাখি হারিয়ে গেছে অবাধ বৃক্ষনিধন ও বনধ্বংসের কারণে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।