পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করে বলেছেন, বিএনপি নিবন্ধন ঝুঁকিতে পড়বে সিইসি এই কথা বলে বিএনপিকে ভয় দখাচ্ছেন। বিএনপি যাতে ভয় পেয়ে শেখ হাসিনার অধীনে একতরফা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে। ক্ষমতাসীনদের সাথে মিশতে মিশতে, বাকশালী সংস্কৃতির স্পর্শ পেতে পেতে শাসকগোষ্ঠীর মনের মানুষে পরিণত হওয়া সিইসি নুরুল হুদা সাহেব একবোরেই খাঁটি বাকশাল মার্কা মুখপাত্রে পরিণত হয়েছেন।
গতকাল রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূইয়া, যুগ্ম-মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দীন খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, সহ-দপ্তর সম্পাদক মো. মুনির হোসেন প্রমুখ।
নির্বাচনে না এল বিএনপি নিবন্ধন ঝুঁকিতে পড়বে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের এমন কথার কঠোর সমালোচনা করে রিজভী বলেন, একের পর এক ভোট ডাকাতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার পর সেই নির্বাচনগুলোকে সুষ্ঠু বলে অভিহিত করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। এমন সিইসি ক্ষমতাসীনদের ভাষাতেই কথা বলবেন সেটাই স্বাভাবিক।
তিনি আরো বলেন, যিনি কুমিল্লায় ডিসি থাকার সময় জনতার মঞ্চ তৈরি করেছিলেন এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছবি ভাঙচুর করেছিলেন। ক্ষমতাসীনদের সাথে মিশতে মিশতে নুরুল হুদা সাহেব একবোরেই খাঁটি বাকশাল মার্কা মুখপাত্রে পরিণত হয়েছেন।
সিইসিকে উদ্দেশ্য করে রিজভী বলেন, জনসম্পৃক্ত রাজনৈতিক দলের অতীত অর্জন, কীর্তি, সংগ্রাম ও অঙ্গীকার রক্ষার মধ্য দিয়ে জনগণের ভেতরে যে মজবুত অবস্থান তৈরি হয়, সেই দলের রেজিস্ট্রেশন থাকে জনগণের হাতে। জনপ্রিয় রাজনৈতিক দলকে কাগুজে নিবন্ধনের ঝুঁকির কথা বলে লাভ হবে না। জনগণের বিচারই রাজনৈতিক দলের টিকে থাকার মাপকাঠি। কোন আত্মা বিক্রি করা ব্যক্তি কর্তৃক যখন জনপ্রিয় রাজনৈতিক দলকে নিবন্ধনের ঝুঁকির কথা বলে যে হুমকি দেয়া হয় তাতে নিষ্ঠুর স্বৈরশাসকের আক্রমণ উপেক্ষা করে লড়াইয়ে লিপ্ত সাহসী জাতীয়তাবাদী শক্তির নেতাকর্মীরা সেই হুমকিতে বিচলিত হয় না। বরং ভোটাধিকার হরণের জন্য দায়ী সিইসি ভোটারদের অভিশাপে নিজের আত্মপতনের অন্ধকার গহব্বরে হারিয়ে যাবে।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের সম্মান রক্ষার্থে বিবেক বিকিয়ে দেওয়া এই সিইসিকে পদত্যাগে বাধ্য করে নির্বাচন কমিশন পূণর্গঠনে এখন ভোটাধিকারহারা জনগণ ঐক্যবদ্ধ। আমি সিইসিকে জানিয়ে দিতে চাই-বিএনপির নিবন্ধন নিয়ে কোনও অশুভ প্ল্যান থাকলে অবৈধ সরকারের পাশাপাশি সিইসিকেও পতনের ঝুঁকিতে পড়তে হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে রিজভী বলেন, জনসভার প্রস্তুতি পুরোদমে চলছে। আমাদের প্রস্তুতির কোনও ঘাটতি নেই। তবে আমরা এখনও জনসভার অনুমতি পাইনি। আমরা আশা করছি, জনসভার অনুমতি পাবো। অনুমতি পেলে বিপুল সংখ্যক লোকের সমাগম ঘটবে। ##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।