পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর জন্য এক সেট বুলেটগ্রুফ ভিআইপি সেলুনসহ এবার ২০০টি ব্রডগেজ যাত্রীবাহী কোচ কিনছে রেলওয়ে। ইউরোপিয়ান ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের (ইআইবি) ঋণে ইন্দোনেশিয়ার ইন্দোনেশিয়ার ইনকা-পিটি ইন্ডাস্ট্রিজ থেকে কোচগুলো কেনা হবে। এজন্য উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) চূড়ান্ত করা হয়েছে। এতে প্রতিটি কোচের দাম পড়ছে ভ্যাট-শুল্ক ছাড়া ৭ কোটি ৬২ লাখ টাকা। চলমান প্রকল্পের চেয়ে এ ব্যয় ৬৫ শতাংশ বেশি।
এর আগে রেলওয়ের জন্য সবচেয়ে বেশি দামে কোচ কেনা হয়েছিল ভারত থেকে। ভারতের ঋণে (এলওসি) কেনা কোচগুলো গত বছর রেলের বহরে যুক্ত হয়। ১২০টি ব্রডগেজ কোচ কেনায় ব্যয় হয়েছিল ৯৭৫ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। এতে ভ্যাট-শুল্ক ছাড়া কোচপ্রতি ব্যয় হয় ৬ কোটি ৩৫ লাখ ২৫ হাজার টাকা। যদিও বেশি দরে আমদানী করা কোচগুলোর মান নিয়ে শুরু থেকে প্রশ্ন উঠেছিল। একই সময়ে ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানী করা কোচগুলোর মান তুলনামূলকভাবে অনেক উন্নত ও নিখুঁত। এ প্রসঙ্গে রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বক্তব্য ছিল, ভারতের ঋণে সীমিত দরপত্রে কেনায় কোচগুলোর দাম কিছুটা বেশি পড়েছে। তবে কোচগুলোর মান নিয়ে কেউ মুখ খোলেন নি। কোচগুলো যাত্রী পরিবহনের পর একে একে ধরা পড়েছে ত্রু টিগুলো। যা নিয়ে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ রহস্যজনকভাবে এখনও নীরব।
সংশ্লিষ্ট বিভাগের তথ্যমতে, ইন্দোনেশিয়া থেকে ২০০ ব্রডগেজ যাত্রীবাহী কোচ কেনায় ব্যয় ধরা হয়েছে এক হাজার ৮৪৯ কোটি দুই লাখ টাকা। এর মধ্যে এক হাজার ৪৪০ কোটি ৮০ লাখ টাকা ঋণ দেবে ইউরোপিয়ান ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (ইআইবি)। বাকি ৪০৮ কোটি ২২ লাখ টাকা সরকারের তহবিল থেকে সরবরাহ করা হবে। এতে প্রতিটি কোচের দাম পড়ছে ভ্যাট-শুল্কসহ প্রায় ৯ কোটি ২৫ লাখ টাকা। আর ভ্যাট ও শুল্ক বাদ দিয়ে প্রতিটি কোচের দাম ধরা হয়েছে ৭ কোটি ৬২ লাখ ৩০ হাজার টাকা।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) ঋণে আরও ৫০টি ব্রডগেজ কোচ আমদানী করা হচ্ছে। গত বছর জুনে কোচগুলো কেনায় চুক্তি সই করা হয়। এতে কোচপ্রতি ব্যয় ধরা হয়েছে শুল্ক-ভ্যাট ছাড়া চার কোটি ৬০ লাখ ৭১ হাজার টাকা। এগুলোও ইন্দোনেশিয়ার ইনকা-পিটি ইন্ডাস্ট্রিজ থেকে কেনা হচ্ছে। অর্থাৎ ২০০টি কোচ কেনার ক্ষেত্রে বর্তমানে চলমান প্রকল্পে চেয়ে প্রতিটি কোচের দাম বেশি ধরা হয়েছে প্রায় তিন কোটি দুই লাখ টাকা বা ৬৫ দশমিক ৫৫ শতাংশ।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এবার এক সেট ভিআইপি সেলুনের দাম ধরা হয়েছে ৫৪ কোটি ১৭ লাখ টাকা। আর দুটি ইন্সপেকশন কার ও দুটি সাধারণ সেলুনের দাম ৪০ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। এগুলো বাদ দিলেও প্রতিটি কোচের গড় মূল্য দাঁড়ায় ৬ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। যা এর আগে ইন্দোনেশিয়া থেকে কেনা কোচগুলোর চেয়ে এক কোটি ৭৪ লাখ টাকা বা প্রায় ৩৮ শতাংশ বেশি।
রেলওয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, ইআইবির ঋণে কেনা কোচগুলোর মধ্যে এক সেট ভিআইপি সেলুন রয়েছে, যা প্রেসিডেন্ট বা প্রধানমন্ত্রীর ভ্রমণের জন্য। বুলেটপ্রুফ এ সেলুনের দাম অনেক বেশি। এছাড়া দুটি ইন্সপেকশন কার ও দুটি সাধারণ সেলুন (মন্ত্রীদের জন্য) কেনা হচ্ছে। এতে গড়ে কোচগুলোর দাম কিছুটা বেশি পড়ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।