বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কথায় আছে নদীর পানি বৃদ্ধি পেলে নদীতে মাছ কম ধরা পড়ে আর পানি কমলে নদীতে বেশী মাছ ধরা পড়ে। এখন পদ্মাা নদীর পানি কমার সাথে সাথে নদীতে বেশী মাছ ধরা পড়তে শুরু করেছে। কথাটি বান্তবে পরিনত হয়েছে তাই জেলের পরিবার গুলিতে খুশির বন্যা বইতে শুরু করেছে। কিছুদিন আগেই হুহু করে উত্তাল পদ্মার পানি বেড়েই চলেছিলো। তখন নদীতে মাছের দেখা মেলা খুবই কষ্ঠকর ছিল, জেলে পরিবারদেও মাঝে হতাশা নেমে এসে ছিল। পানি কমার সাথে সাথে অব্যাহতভাবে মাছ ধরা বেশী পড়ছে তাই পদ্মা নদীর দু ধারে সেখানে সেখানে মাছ বিক্রি হচ্ছে। এ যেন অন্য রকম মাছের বাজার।
প্রতিবছরেই পদ্মানদীর পানি কমতে শুরু করলে হরেক রকমের মাছ ধরা পরে জেলেদের জালে। সেই মাছ এবারও ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে জেলেদের জালে। সারারাত নৌকা আর জাল দিয়ে পদ্মার বুক চিরে চুষে বেড়িয়ে মাঠ ধরে খুব ভোর বেলা পদ্মানদীর পাড়েই জমজমাট হাট বসিয়ে মাছ কেনা বেচা করতে পারছে। শুক্রবার খুব সকালে গোদাগাড়ী পৌর এলাকার রেলওয়ে বাজার, হরিসংপুর, প্রেমতলী, নাজিরপুর, সারাংপুর, সুলতানগজ্ঞ এলাকায় ভোর বেলায় পদ্মানদীর পাড়ে গিয়ে দেখা গেছে সেই চিত্র। ছোট ছোট ডিঙ্গি নৌকায় করে পদ্মা নদী বেয়ে মাছ ধরে জেলেরা পদ্মার পাড়ে নৌকা ভিড়িয়ে দিচ্ছে। আর পদ্মানদীর পাড়ের উপরে থাকা মাছ ক্রেতারা অপেক্ষা করতে আছে। নৌকা কিনারে ভেরা মাত্রই মাছে ক্রেতারা নৌকার কাছে ছুটে গিয়ে মাছ দেখতে ভীড় জমিয়ে দিচ্ছে। যার যেটা মাছ সেই মাছ পছন্দ হলেই সরাসরি জেলেদের সাথে মাছ দাম দর করছে। দামে পত্তা হলেই সরাসরি নদী হতে টাটকা মাছটি কেনা বেচা হয়ে যাচ্ছে। তবে এখানে মজার বিষয় হলো সরাসরি জেলেদের নিকট হতে সাধারণ ক্রেতারা মাছ তুলনা মূলক ভাবে কম দামে বিক্রয় করতে পারছে। কেননা এই মাছ আড়ৎ হতে ক্রয় করতে হলে পাইকারেরা আড়ৎ ঘর হতে মাছ ক্রয় করলে ক্রেতা ও বিক্রেতাকে আড়ৎতের খাজনা দিতো হতো। সেই হিসেবে এখানে ক্রেতারা সরাসরি মাছ ক্রয় করতে পাড়ায় আড়ৎ খরচ হতে বেঁচে যাচ্ছে ক্রেতা বিক্রেতা উভয়ই। ফলে তারা কোন রকম ঝঞ্জাট ঝামেলা ছাড়াই মনের মত মাছ ক্রয় বিক্রয় করতে পারছে। ফলে অড়ৎদারগণ ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে বলে তার দাবী করেছেন। রাজাবাড়ী এলাকার মোঃ কামরুজ্জামান বলেন, খুব কমদামে নদীর তাজা মাছ কিনলাম, সত্যিই মাছগুলি খুব ভালমানের। আরও কয়েকদিন নদীর তাজা মাছ পাওয়া যেতে পারে।
অনেক মাছের পাইকারেরাও এই পদ্মার পাড়ে মাছ ক্রয় করতে আসতেও দেখা গেছে। মাছের পাইকার জামালশেখ জানান, আমাদের রেলবাজার মাছের আড়তে গেলে খাজনাসহ নানান দুর্ভোগ পোহাতে হয় আড়ৎ দারের নিকট হতে। এই পদ্মার পাড়ে মাছ ক্রয় করতে কোন ঝামেলা হয় না বলে জানান। এই বাজারে শুধু মাত্র নদীর আসল মাছটি পাওয়া যায়। আড়তে অনেক সময় পুকুরের মাছ হলেও নদীর বলে বেচাকোন হয়। মাছ কিনতে আসা বিপ্লব বলেন, এখানে সকাল সকাল মাছ ক্রয় করতে আসি সরাসরি নদীর স্বু-স্বাদু মাছটি পাই । অন্যান্য বাজারের তুলনায় এখানে মাছের দাম কম পাই। জেলেদের কাছে সরাসরি মাছ ক্রয় করতে পাড়ায় দাম কম হয় । সাধারণ বাজারে মাছ ক্রয় করতে গেলে দাম দ্বিগুণ হয় বলে জানান। তিনি দুইকেজি মধ্যম আকারের চিংড়ি মাছ ৪০০ টাকা কেজি দরে কিনেছেন বলে জানান। সুলতানগঞ্জ এলাকার আলহাজ্ব গোলাম রাব্বানী জানান, এখন সকাল বেলায় জেলেদের কাছ হতে মাছ ক্রয় করেত পারি কমদামে তিনি ২ কেজি বড় চিংড়ী ৬০০ টাকায় ক্রয় করছেন বলে জানান। শুধু এই মাছই না, আইড়, চিতল, রিঠাসহ হরেক রকমের ছোট বড় মাছ কম দামে বেচা কেনা হয় এই বাজারে। শুধু খাবারে জন্য মাছ ক্রয় করতে ভীড় করে এ বাজারে তা নয়। অনেকেই পুকুরে মাছ ছাড়াও জন্যও জ্যান্ত মাছ ক্রয় বিক্রয় হয়। মাছ ক্রেতা ইব্রাহিম জানান, সে একজন পেশাদার মাছ চাষী পুকুরে দীর্ঘদিন হতে মাছ চাছ করে আসছে। সে পুকুরে আইড় মাছ ছাড়ার জন্য মাছ ক্রয় করতে এসেছে। একটি প্রায় ৫০ গ্রাম হতে ১০০ গ্রাম আইড় মাছ প্রতি পিস ১০- ২০ টাকা দরে কিনতে পারে বলে জানান। এই পদ্মার তীরে গেলেই চোখে পরে নদীর তীরে সারিসারি ভাবে জেলেরা নৌকা ভিড়িয়ে দিয়েছে আর এলাকাবাসী ও ক্রেতারা ইচ্ছে মত মাছ ক্রয় করছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।