বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) ক্যাম্পাসে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুই শতাধিক চিকিৎসক নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তবে নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। চাকরি প্রত্যাশীদের আন্দোলনের কারণেই মূলত ক্যাম্পাসে এ থমথমে অবস্থা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দুই শতাধিক চিকিৎসক নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিতের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এবং দ্রুত নিয়োগের দাবিতে গত বুধবার দুপুর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি ডা. সাহানা আখতার রহমানকে তার কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করেন চাকরিপ্রত্যাশীরা। একই সঙ্গে, অনতিবিলম্বে নিয়োগ পরীক্ষার তারিখ ঘোষণার দাবিতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন তারা। ডা. সাহানাকে উদ্ধার করতে গিয়ে প্রো-ভিসি ডা. শহীদুল্লাহ শিকদার, প্রো-ভিসি ডা. রফিকুল আলম, কোষাধ্যক্ষ ডা. আতিকুর রহমান, প্রক্টর ডা. মোজাফফর হোসেন ও রেজিস্ট্রার ডা. আবদুল হান্নানও অবরুদ্ধ হন। রাত সাড়ে তিনটার দিকে আলোচনার প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে চলে যান চাকরিপ্রত্যাশীরা।
গতকাল সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিএসএমএমইউ ক্যাম্পাসের প্রবেশপথে আনসার সদস্যদের সরব উপস্থিতি। সেখানে প্রতিষ্ঠানটির আইডি কার্ডধারী স্টাফ, চিকিৎসক, শিক্ষক ও চলতি শিক্ষার্থী ছাড়া কাউকে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। হাসপাতালের প্রবেশ পথেও কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। সেখানেও পরিচয় ও পাসকৃত কার্ড ছাড়া কাউকে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। নূরে আলম নামে এক আনসার সদস্য জানান, গতকাল (বুধবার) থেকে ক্যাম্পাসে ঝামেলা চলছে। বহিরাগতরা যাতে ভেতরে ঢুকতে না পারে, সেজন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে।
সাংবাদিক পরিচয়ে ভেতের প্রবেশ করে দেখা যায়, ভিসি ভবনের দ্বিতীয় তলায় ভিসির কার্যালয়ের সামনে নেয়া হয়েছে অতিরিক্ত নিরাপত্তা। সেখানে আনসার সদস্যের পাশাপাশি অবস্থান করছেন পোশাকধারী পুলিশ সদস্যরাও।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘এখন ক্যাম্পাসে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। রাত সাড়ে তিনটার দিকে আলোচনার প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে চাকরিপ্রত্যাশীরা ফিরে যান। তবে এখন পর্যন্ত কোনো সমাধান হয়নি। যে কোনো সময় ওরা ফের ভিসি ভবনে আসতে পারে।’
ডিএমপির রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার মারুফ হোসেন সরদার জানান, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন চাইলে পুলিশ সহযোগিতা করবে। সার্বিক বিষয়ে ভিসি ডা. কনক কান্তি বড়ুয়ার সাথে একাধিকবার ফোনে কথা বলতে চাইলে তাকে পাওয়া যায়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।