পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চার হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বরগুনা জেলায় ৩৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ হচ্ছে। ২০২২ সালের শুরু থেকেই উৎপাদনে যাবে কয়লাভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটি। এছাড়া ২০১৯ সালে বিদ্যুৎ উৎপাদনে যেতে পারবে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র।
গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ৪৬তম বৈঠকে এসব তথ্য জানানো হয়। কমিটির বৈঠকে কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং বাস্তবায়নাধীন কয়লাভিত্তিক কেন্দ্রসমূহের বাস্তবায়ন অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়।
৩০০ একর জমির ওপর নির্মিতব্য বিদ্যুৎকেন্দ্রটি সরকারকে ২৫ বছর বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে। প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দর ধরা হয়েছে ৬ দশমিক ৭৭ টাকা (প্রতিটন কয়লার দর ১২০ ডলার হিসেবে)। তবে কয়লার দরের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের সর্বনিম্ন দাম পড়বে ৪ টাকা। সাড়ে তিন হাজার লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে এই প্রকল্পে। রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের অগ্রগতি সন্তোষজনক এবং এটি আগামী বছর থেকে উৎপাদনে যেতে পারবে বলে বৈঠকে জানানো হয়। গত দুই বছরে বেসরকারি বেশ কয়েকটি কোম্পানি সরকারের সঙ্গে বিদ্যুৎ প্লান্ট নির্মাণের চুক্তি করলেও অনেক কোম্পানির কাজের গতি সন্তোষজনক নয়। এজন্য এসব কোম্পানির কাজের গতি বাড়ানোর সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি। তবে বরগুনার ওই বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের গতি সন্তোষজনক। উৎপাদন শুরুর পর জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে ন্যূনতম ৩০৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ।
সংসদীয় কমিটিতে উত্থাপিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৭ সালে কয়লা আমদানি করে প্লান্ট চালানোর জন্য সরকারের সঙ্গে চুক্তি করেছিল মাতারবাড়ি ১২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র। এটির অগ্রগতি ১৮ শতাংশ। আর বরগুনা জেলায় কয়লাভিত্তিক ৩৫০ মেগাওয়াট ২২ শতাংশ। এটি যৌথভাবে বাস্তবায়ন করছে চীনের ‘পাওয়ার চায়না রিসোর্স লিমিটেড’ ও বাংলাদেশের আইসোটেক গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ‘আইসোটেক ইলেট্রিফিকেশন কোম্পানি লিমিটেড। বৈঠকে জানানো হয়- বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে কয়লা উত্তোলন বর্তমানে অব্যাহত রয়েছে। বিদ্যমান চুক্তির আওতায় ২০২১ সাল পর্যন্ত এখান থেকে ৩.২০৫ মিলিয়ন মেট্রিক টন কয়লা উত্তোলন সম্ভব হবে। এর পর বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির উত্তর অংশে ১.৫ বর্গ কিলোমিটার এবং দক্ষিণে ৩ বর্গ কিলোমিটার মজুত এলাকা থেকে কয়লা উত্তোলনের মাধ্যেম চাহিদা পূরণের উদ্যোগ নেওয়া হবে। কমিটির সভাপতি মো. তাজুল ইসলামে এমপির সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, কমিটির সদস্য ও সংসদের হুইপ মো. আতিউর রহমান আতিক এমপি এবং এম এ লতিফ এমপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।