ইনকিলাব ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেছেন, শান্তি এখনও অধরা, তাই সব পরিস্থিতিতে দ্বন্দ্ব এড়িয়ে চলতে হবে। যে কোনো পরিস্থিতিতে মানবাধিকার উন্নয়নে ও সুরক্ষার জন্য শান্তি ও অহিংসার সংস্কৃতির চর্চা করতে হবে।
সোমবার (২৪ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় বিকেলে নিউইর্য়কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে নেলসন ম্যান্ডেলা শান্তি সম্মেলনে এ আহ্বান জানান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা।
সব পরিস্থিতিতে দ্বন্দ্ব এড়িয়ে চলতে বিশ্ব নেতাদের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে বিশ্ব শান্তির জন্য সব বিরোধের শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তির কথাও বলেন তিনি।
তিনি বলেন, মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতা এখনো সুরক্ষিত নয়। যার জন্য ম্যান্ডেলার মতো নেতারা লড়াই করেছিলেন। গোটা বিশ্বের বিশাল একটি অংশের মানুষ এখনো ক্ষুধা ও অপুষ্টিতে ভুগছে।
রোহিঙ্গা সঙ্কট চিরতরে সমাধানের লক্ষ্যে বৈষম্যমূলক আইনের বিলোপ, নীতিমালা এবং রোহিঙ্গাদের প্রতি নিষ্ঠুরতা বন্ধসহ তিন দফা সুপারিশ উপস্থাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা। সোমবার শরণার্থীবিষয়ক বৈশ্বিক প্রভাব শীর্ষক একউচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে তিনি এই সুপারিশ করেন।
রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে তিন প্রস্তাব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা। এই সুপারিশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারকে অবশ্যই বৈষম্যমূলক আইন ও নীতি বিলোপ, এবং রোহিঙ্গাদের প্রতি নিষ্ঠুরতা বন্ধ ও তাদের সে দেশ থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করার প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, মিয়ানমার অবশ্যই সকল রোহিঙ্গার নাগরিকত্ব প্রদানের সঠিক উপায়, নিরাপত্তা নিশ্চিত ও আস্থার পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। প্রয়োজনে বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষায় মিয়ানমারের ভেতরে ‘সেফ জোন’ তৈরি করতে হবে।
এ সুপারিশে বাংলাদেশ সরকারপ্রধান বলেন, মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে নৈরাজ্য রোধে অপরাধীদের জবাবদিহি, বিচার, বিশেষ করে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশনের সুপারিশমালার আলোকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে।