বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
জিয়া অরফানেজ ও চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলাসহ বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে বিচারাধীন বিভিন্ন মামলার সর্বশেষ অবস্থা নিয়ে তার আইনজীবীদের সাথে বৈঠক করেছে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। এ সময় বিএনপির নীতি-নির্ধারকদের বেগম জিয়ার মুক্তির জন্য এখন আইনি লড়াইয়ের চেয়ে রাজপথের আন্দোলনে বেশি গুরুত্ব দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তারা। আইনজীবীরা বলেছেন, নির্বাচন সামনে রেখে বেগম জিয়ার মামলাগুলোকে এখন সরকার রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করছে। সুতরাং এর সমাধানও রাজনৈতিকভাবে হতে হবে। গতকাল রোববার রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এই বৈঠক হয়। বিকেল পাঁচটায় বৈঠক শুরু হয়ে রাত সাতটায় শেষ হয়। তবে এই বৈঠকের বিষয়ে গণমাধ্যমকে কিছু জানানো হয়নি।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে-খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য তারা দীর্ঘদিন ধরে আইনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু তার মুক্তি প্রক্রিয়া ক্রমেই বিলম্বিত হচ্ছে। কারণ, সরকার চায় না নির্বাচনের আগে বেগম খালেদা জিয়া মুক্তি পাক। তাই এখন শুধু আইনি প্রক্রিয়ায় আর তার মুক্তি সম্ভব নয়। এজন্য রাজপথের কঠোর আন্দোলন প্রয়োজন। এ সময় তারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার উদাহরণ টেনে বলেন, রাজনৈতিক মামলা হওয়ায় শুধু আইনি প্রক্রিয়ায় শেখ মুজিবুর রহমানের মুক্তি সম্ভব হয়নি। তখন রাজনৈতিকভাবে তার মুক্তি হয়েছিল। তীব্র গণআন্দোলনের ফলে পলিটিক্যালি আইয়ুব খান বাধ্য হয়েছিল তাকে ছেড়ে দিতে। খালেদা জিয়ার মামলাগুলোও রাজনৈতিক। তাই তার মুক্তির বিষয়টিরও রাজনৈতিক সমাধান হতে হবে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে বৈঠকে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যদের মধ্যে খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে, খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের মধ্যে ছিলেন- দলের নেতা খন্দকার মাহবুব হোসেন, জয়নাল আবেদীন, নিতাই রায় চৌধুরী, এজে মোহাম্মদ আলী, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, সানাউল্লাহ মিয়া ও কায়সার কামাল। বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে খালেদা জিয়ার একজন আইনজীবী বলেন, আজকের বৈঠকে বেগম খালেদা জিয়ার বিভিন্ন মামলার বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। মামলার বাইরে অন্য কোনো বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়নি। ফলে এটি কোনো রাজনৈতিক মিটিং না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।