নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
এশিয়া কাপের সুপার ফোরের ম্যাচে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করেছে পাকিস্তান-আফগানিস্তান। শেষ ওভারে পাকিস্তানের জয়ের জন্য দরকার ছিল ১০ রান, হাতে ছিল তিন উিইকেট। অপরাজিত ছিলেন সেট ব্যাটসম্যান শোয়েব মালিক। বোলিংয়ে আসেন আফটাব আলম। প্রথম বলে সিঙ্গেল নেন হাসান আলি। পরের বলে স্ট্রাইকে গিয়ে ছক্কা হাঁকান মালিক। তৃতীয় বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে শোয়েব মালিক পাকিস্তানকে জয় পাইয়ে দেন তিন উইকেটে।
শুক্রবার (২১ সেপ্টেম্বর) আবুধাবিতে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ওভার শেষে ৬ উইকেটে ২৫৭ রান তোলে আফগানরা। জবাবে জয়ের লক্ষ্য ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান ৪৯.৩ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে।
জয়ের লক্ষ্যে মাঠে নেমে প্রথম ওভারেই ধাক্কা খায় পাকিস্তান। মুজিব উর রহমানের বলে এলবি ডব্লিউর শিকার হয়ে শূন্য হাতেই ফিরে যান ফেরেন ওপেনার ফখর জামান (০/১)। এরপর দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে সেই ধাক্কা কাটিয়ে ওঠেন ইমাম উল হক ও বাবর আজম। দুজনের জুটিতে আসে ১৫৪ রান।
তবে এরপরই চার রানের ব্যবধানে দুজন সাজঘরে ফিরে যান। ৩৪তম ওভারের তৃতীয় বলে রানআউট হয়ে ব্যক্তিগত ৮০ রানে ফেরেন ইমাম উল হক। এরপর রশিদ খানের করা ৩৬তম ওভারের প্রথম বলে উইকেটরক্ষক শাহজাদের স্ট্যাপিংয়ের শিকার হয়ে দলীয় ১৫৮ রানে ফিরে যান বাবর আজম।
মুজিব উর রহমানের করা ৪২তম ওভারের প্রথম বলে ইসানউল্লাহর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান হারিস সোহেল (১৩)। এরপর গুলবাদিন নাইবের করা ৪৫তম ওভারের শেষ বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন ৮ রান করা শরফরাজ আহমেদ। দলীয় ২২৬ রানে ব্যক্তিগত ৭ রানে রশিদ খানের বলে আফতাব আলমের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন আসিফ আলী (২২৬/৬)। রশিদ খানের করা ৪৯তম ওভারে ব্যক্তিগত ১০ রানে বোল্ড হয়ে ফিরে যান মোহাম্মদ নেওয়াজ।
শেষদিকে শোয়েব মালিক (৫১) এবং হাসান আলী (৬) অপরাজিত থাকেন।
এর আগে শুরুতে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ৮ ওভারে কোনো উইকেট হারায়নি আফগান। তবে মোহাম্মদ নেওয়াজের করা নবম ওভারের শেষ বলে তার হাতেই ক্যাচ দিয়ে ব্যক্তিগত ১০ রানে সাজঘরে ফেরেন ইসানুল্লাহ (২৬/১)। পাঁচ রানের ব্যবধানে আরেক ওপেনার মোহাম্মদ শাহজাদ আউট হন ব্যক্তিগত ২০ রানে। মোহাম্মদ নেওয়াজের বলে উইকেটরক্ষক সরফরাজের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান আফগান এই উইকেটরক্ষক।
তৃতীয় উইকেটে হাশমতউল্লাহর সঙ্গে ৬৩ রানের জুটি গড়েন রহমত শাহ। তবে ২৬তম ওভারের তৃতীয় বলে দলীয় ৯৪ রানে ব্যক্তিগত ৩৬ রান করে মোহাম্মদ নেওয়াজের বলে তার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান রহমত শাহ।
চতুর্থ উইকেটে হাশমতউল্লাহ শহীদির সঙ্গে ৯৪ রানের ইনিংস খেলেন অধিনায়ক আসগর আফগান। তবে দলীয় ১৮৮ রানে সেই উইকেটে হানা দিলেন পাকিস্তানি পেসার শাহীন শাহ আফ্রিদি। তার বলে বোল্ড হয়ে ব্যক্তিগত ৬৭ রানে ফেরেন অধিনায়ক আসগর আফগান (১৮৮/৪)।
দলীয় ২০০ রানে রানে ব্যক্তিগত ৭ রানে শাহীন শাহ আফ্রিদির বলে হাসান আলোর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন মোহাম্মদ নবী। এরপর হাসান আলীর করা ৪৭তম ওভারের দ্বিতীয় বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান ব্যক্তিগত ৫ রান করা নাজিবুল্লাহ।
এরপর সপ্তম উইকেট জুটিতে গুলবাদিন নাইবকে সঙ্গে করে ব্যাটে ঝড় তোলেন হাশমতউল্লাহ। দুজনের ব্যাট থেকে আসে ৪৫ রান। তবে এই ম্যাচে প্রথমবারের মতো সেঞ্চুরির কাছে গিয়েও মাত্র ৩ রানের আক্ষেপ নিয়েই অপরাজিত (৯৭) থেকে মাঠ ছাড়তে হয় হাশমতউল্লাহকে।
পাকিস্তানের সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন মোহাম্মদ নেওয়াজ। শাহীন শাহ আফ্রিদি ২টি ও হাসান আলী নেন ১টি উইকেট।
গ্রুপ পর্বের ম্যাচে শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশকে হারিয়েছে আফগানিস্তান। অন্যদিকে, নিজেদের প্রথম ম্যাচে হংকংকে হারানোর পর ভারতের বিপক্ষে বড় ব্যবধানে হেরেছে পাকিস্তান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।