পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী এদেশের চিকিৎসা সেবায় এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। ১৯৭১ সালে বিলাত থেকে এসে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিয়েছিলেন। একটি গণতান্ত্রিক ও মানবিক মূল্যবোধের সুন্দর বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন নিয়ে জীবনবাজি রেখে যুদ্ধ করেন। স্বাধীনতার ৪৭ বছর পরেও তার সে স্বপ্ন পূরণ হয়নি। তবে তিনি হতাশ হয়ে থেমে যাননি। শান্তি সুখের একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন বুকে লালন করে এখনো নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি মনে করেন, দেশে কোন গণতন্ত্র নেই। জনগণের ভোটের অধিকার নির্বাসিত। কোথাও কোন জবাবদিহিতা নেই। লাগামহীনভাবে চলছে ঘুষ-দুর্নীতি। নেই আইনের শাসন। গুম, খুন বাড়ছে। তিনি মনে করেন, দেশের এই ক্রান্তিকালে জনগণের ঐক্যের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক ও মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার সম্ভব। তার সে স্বপ্ন ও এ সময়ের রাজনীতির নানা বিষয় নিয়ে ইনকিলাবের সাথে কথা বলেছেন। সেই একান্ত সাক্ষাৎকার তুলে ধরা হলো-
ইনকিলাব : বর্তমান সময়ের রাজনীতিকে আপনি কিভাবে মূল্যায়ন করবেন?
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী : দেশে গণতন্ত্র না থাকলে যা হওয়ার কথা তাই হয়েছে, হচ্ছে। গণতন্ত্রের নামে এখন ফ্যাসিজম প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। গণতন্ত্রের নূন্যতম নিয়মনীতি না মেনে উন্নয়নের কথা বলে জনগণকে ধোকা দেয়া হচ্ছে। দেশে চলছে লাগামহীন দুর্নীতি। বলা যায় দুর্নীতিতে এখন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। কিছু লোকের কাছে প্রচুর সম্পদ। ধনি ব্যক্তি বৃদ্ধি হওয়ার বিশ্বের যে তালিকা তার মধ্যে বাংলাদেশ প্রথম। দেশের সম্পদ বৃদ্ধি হোক এটা সবাই চায়। তবে সে সম্পদের অবশ্যই সুষম ন্যায় ভিত্তিক বন্টন হতে হবে। এখন নির্বাচিত গণতান্ত্রিক কোন সরকার নেই। কোন জবাবদিহিতা নেই। ভারতের সহায়তায় এ সরকার এসেছে এবং এখনো ভারতের সহায়তায় টিকে থাকার চেষ্টা করছে। ভারত এ সরকারের কাছ থেকে তাদের নিজেদের স্বার্থ আদায় করে নিচ্ছে। আর এ সরকার দেশের স্বার্থ একেবারেই দেখছে না। অর্থনীতির এক রিপোর্টে দেখলাম ভারতীয়রা কাজ করে এদেশ থেকে ১০ বিলিয়ন ডলার নিয়ে গেছে। তার মানে কয়েক লক্ষ ভারতীয় এদেশে কাজ করছে। আর আমাদের দেশে বেকারত্বের সংখ্যা বাড়ছে। দেশে আজ কোন সুশাসন নেই। পুলিশের হয়রানি নির্যাতন বাড়ছে। মামলার পর মামলা দিয়ে পুলিশের চলছে ঘুষ বাণিজ্য। বাড়ছে গুম-খুন-হত্য। হাইকোর্টের নির্দেশ থাকার পরও সাদা পোশাকে পুলিশ যাকে যখন খুশি তুলে নিয়ে যাচ্ছে। প্রথমে অস্বীকার করে, পাঁচ ছয়দিন পর কখনো স্বীকার করে কখনো করে না। এভাবে দেশে পুলিশি শাসন চলছে। পুলিশ সরকারের লাঠিয়ালবাহিনী হয়ে কাজ করছে।
ইনকিলাব : এ অবস্থা থেকে উত্তোরণের উপায় কি?
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী : এর থেকে মুক্তির জন্য প্রয়োজন অবাধ নিরপেক্ষ একটি সুষ্ঠু নির্বাচন। যার মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার গণতন্ত্রভিত্তিক সাম্য ও মানবিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা পাবে। দেশবাসী পরিবর্তন চাচ্ছে। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে সেটা সম্ভব। আমি মনে করি দেশে পরিবর্তন সুনিশ্চিত। গণজাগরণের মাধ্যমে এই ফ্যাসিবাদের পতন আসন্ন।
ইনকিলাব : জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে আপনারা সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষে পাঁচ দফা দাবি উত্থাপন করেছেন? সরকারের মন্ত্রীরা বলছেন আপনাদের এসব দাবি অসাংবিধানিক। এ বিষয়ে আপনি কি বলবেন?
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী : আসলে সরকার নিজে খুব ভয়ে আছে। তোফায়েল আহমেদ এবং আরও কেউ কেউ বলছেন, নির্বাচনে হারলে ১ লাখ নেতাকর্মী মারা যাবে। নির্বাচন নিয়ে তাদের নিজেদের এই আশঙ্কা। তবে এবার আর সুষ্ঠু নির্বাচন ছাড়া কোন গতি নাই। সুষ্ঠু নির্বাচন দিতেই হবে। আর তা করতে হলে জাতীয় ঐক্যের পাঁচ দফা দাবি মেনে নেয়া ছাড়া কোন উপায় নেই। পাঁচ দফা দাবির সবগুলোই যৌক্তিক । বন্ধবন্ধুর নামে যারা রাজনীতি করেন তাদেরতো বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা থাকলে সংসদ ভেঙ্গে দেয়া উচিত। কারণ ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধুতো সংসদ ভেঙ্গে দিয়েছিলেন। নির্বাচন কমিশন পুর্নগঠনও যে কোন সময় করা সম্ভব। আর আমাদের দেশের সেনাবাহিনী বিশ্বের যে সব দেশে দাঙ্গা-হাঙ্গামা আছে সেব দেশে তারা শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করে। দেশের বাইরে বিভিন্ন দেশে তারা সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করে। তাহলে দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে তাদের ভূমিকা রাখতে সমস্যা কোথায়? এই পাঁচ দফার মধ্যে একটি দফা নিয়ে আলোচনার দাবি রাখে। নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে। প্রধানমন্ত্রী যদি ভয় না পান তাহলে তিনি উনার দলের কাউকে নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান করতে পারেন, যিনি নির্বাচনে অংশ নেবেন না। এভাবে আলোচনা করে নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করতে পারেন। আমি মনে করি জাতীয় ঐক্যের এই পাঁচ দফার মাধ্যমে সরকারের আলোচার একটি ক্ষেত্র তৈরী হয়েছে। সরকার এ সুযোগ কাজে লাগাবে বলে আমি মনে করি।
ইনকিলাব : ইতিহাস বলে আন্দোলন ছাড়া কোন দাবি কখনো পূরণ হয়নি। আপনাদের এই পাঁচ দফা দাবি আদায় কতটুকু সম্ভব হবে?
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী : আজকে জনগণ যে ভাবে জাগছে তাতে সরকার সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে যেতে বাধ্য হবে। কোটা আন্দোলন থেকে শুরু করে নিরাপদ সড়কের দাবিতে যে আন্দোলন হয়েছে তাতে প্রমাণ হয়েছে জনগণ পরিবর্তন চায়। আর সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমেই সে পরিবর্তন হবে। জনগণ তাদের দাবি আদায়ে অবশ্যই রাজপথে নামবে। সেটা সময়ের ব্যাপার মাত্র। আমাদের লক্ষ্য শুধুমাত্র ক্ষমতা দখল করা নয়। আমাদের লক্ষ দুর্নীতিমুক্ত একটি জনকল্যাণমূলক বাংলাদেশ গড়া। যেখানে আইনের শাসন থাকবে। ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করবো। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সামাজিক ন্যায়ভিত্তিক একটি সাম্য ও শান্তির বাংলাদেশ গড়াই আমাদের উদ্দেশ্য। এখানে অর্থনৈতিক বৈষম্য দূর করা হবে। বেকারত্ব দূর করা হবে। কোটা সংস্কার আন্দোলনের ন্যায্যতা মেনে নিয়ে মেধার ভিত্তিতে চাকরিতে নিয়োগ দেয়া হবে। বিচার বিভাগ পুর্নগঠন করা হবে। দুর্নীতির বিচার করা হবে। তবে প্রতিহিংসামূলক কোন কিছু করা হবে না। কৃষক তার পণ্যের ন্যায্য মূল্য পাবে। শ্রমিক তার ন্যায্য মজুরি পাবে। আজকে দেশের অর্থনীতিকে যারা সমৃদ্ধ করছে সেই গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন ধরা হচ্ছে মাত্র আট হাজার টাকা। অথচ আট হাজার টাকায় জীবন-যাপন অসম্ভব। আমরা এসব বৈষম্য দূর করে একটি কল্যাণকর রাষ্ট্র গঠন করবো।
ইনকিলাব : আমনাদের এই লক্ষ উদ্দেশ্য জনগণের কাছে কাছে পৌঁছাতে হলেতো কর্মসূচী নিয়ে রাজপথে নামতে হবে। সে রকম কর্মসূচী...
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী : আমরা কর্মসূচী নিয়ে অবশ্যই জনগণের কাছে যাবো। সে লক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচী চূড়ান্তও করা হয়েছে। যেমন বিভিন্ন মহানগরীতে জনসভা করা হবে। এরমধ্যে প্রথমে খুলনায় হয়েছে। ঢাকায় আগামী ২২ সেপ্টেম্বর জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার জনসভা আছে। ময়মনসিংহ, রাজশাহী, বরিশাল, সিলেট এভাবে পর্যায়ক্রমে সারাদেশ সফর করে জনগণকে সচেতন করা হবে। সংবিধান অনুযায়ী জনগণ রাষ্ট্রের মালিক। অথচ আজকে কোথাও তাদের কোন অধিকার নেই। জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় তাদের জাগ্রত করবো। আমার বিশ্বাস জনগণ এতে বিপুলভাবে সারা দেবে।
ইনকিলাব : আপনি কোন রাজনৈতিক দলের সদস্য নন। তাহলে আপনি কেন এই জাতীয় ঐক্যের মঞ্চে আসলেন?
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ঃ মুক্তিযুদ্ধের সময় অনেকে এদেশ থেকে পালিয়ে গেছে। আর আমি সেই ব্যক্তি যে বিলাত থেকে এসে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিয়েছি। স্বপ্ন ছিল একটি সুন্দর জনকল্যাণকর রাষ্ট্র গঠনের। স্বাধীনতার প্রায় পঞ্চাশ বছর হতে চললো সে স্বপ্ন আজও পূরণ হয়নি। যুক্তফ্রন্ট এবং জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার নেতৃবৃন্দ একটি মানবিক মূল্যবোধের জনকল্যাণমূলক রাষ্ট্র উপহার দেবেন বলে আমাকে কথা দিয়েছেন। তাই আমি একজন রাজনৈতিক সচেতন নাগরিক হিসেবে নাগরিকদের প্রতিনিধি হয়ে জাতীয় ঐক্যে যোগ দিয়েছি। সরকারের যে অন্যায়-অবিচার তার সমালোচনা যেমন করি, তেমনি আমি তাদের ভাল কাজের সমর্থনও করি। সরকার গ্রামের ডাক্তার পাঠানোর যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাকে আমি সাধুবাদ জানাই। তবে ওষুধের মূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকার যথাযথ ভূমিকা রাখতে পারছেনা। সরকার নজর দিলে ওষুধের বর্তমানে যে মূল্য আছে তা কমে অর্ধেক হয়ে যাবে। এ ছাড়া সরকার ভারত থেকে যে ভাবে বিদুৎ আনছে তা আমাদের দেশের জন্য মঙ্গলজনক নয় বলে মনে করি। এতে বাংলাদেশ ভারত নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে। বিদুৎখাত উন্নয়নে সরকার যদি এতই আন্তরিক হয় তাহলে নেপাল ও ভূটান থেকে জলবিদ্যুৎ আনছে না কেন?
ইনকিলাব : সম্প্রতি আপনি আমেরিকা সফরে গিয়ে ছিলেন। সরকার বলছে আপনি বা আপনারা সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন?
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী : আমেরিকায় বসবাসরত বাংলাদেশী ডাক্তারদের একটি সংগঠন আমাকে তাদের একটি অনুষ্ঠানে দাওয়াত দিয়েছিল। আমি তাদের দাওয়াতে গিয়েছিলাম। এর বাইরে অন্যকিছু না। আর ষড়যন্ত্রের কথা, আসলে বাতুলতার কোন উত্তর নেই।
ইনকিলাব : জাতীয় ঐক্যে আর কারা কারা থাকছে? বিএনপি বা ২০দলীয় জোট কি থাকছে?
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী : আমরা জামায়াত ছাড়া সবার সাথে আলোচনা করছি। বিএনপির সাথে আলোচনা হয়েছে, আরও হবে। আশা করছি এই সরকারের অগণতান্ত্রিক শাসনের বিরুদ্ধে যারা একটি নির্দলীয় সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন চান তারা সবাই জাতীয় ঐক্যের সাথে আসবেন।
ইনকিলাব : ইসলামী অন্যান্য দল জাতীয় ঐক্যে থাকতে পারলে জামায়াতে ইসলামী নয় কেন?
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী : জামায়াতে ইসলামী স্বাধীনতার বিরোধীতা করছে। এ জন্য তাদের নেতাদের যুদ্ধাপরাধের দায়ে বিচার হচ্ছে। এ জন্য তাদের ব্যাপারে অনেকের আপত্তি রয়েছে। ইসলামী অন্যান্য দল রাজনীতি করতে পারলে জামায়াতও রাজনীতি করতে পারে তা আমার কোন দ্বিমত নেই। তাছাড়া জামায়াতের যারা স্বাধীনতার বিরোধীতা করেছেন তাদের তো বিচার হচ্ছে। নতুন যারা জামায়াত করছেন তাদেরকে দায়ী করা ঠিক হবে না। পিতার অপরাধের দায়ে পুত্রের বিচার হতে পারে না। আসলে জামায়াততো নির্বাচনই করতে পারবে ন্ াতাই তাদের নিয়ে তর্ক করতে চাই না।
ইনকিলাব : জাতীয় ঐক্যের অনেকে বলছে বিএনপির সাথে ঐক্য হলে নেতৃত্বে থাকতে হবে ডা. কামাল হোসেন বা ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরীর। আর আসন ভাগাভাগির ক্ষেত্রে বিএনপিকে ১৫০ আসন ছেড়ে দিতে হবে। এ বিষয়ে বিএনপির সাথে কি আলোচনা হয়েছে?
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী : ওসব কথা সবই বাতুলতা। আমাদের মধ্যে ঐক্য হচ্ছে একটি নির্দলীয় সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবীতে। আসন বন্টনের বিষয় এখনই আসছে কেন? আমরাতো আমাদের পাঁচ দফা দাবি এবং ৯টি লক্ষ্য জাতীর সামনে পেশ করেছি। এগুলোর আলোকেই সব হবে। এক্ষেত্রে বিএনপির যদি সৎ যোগ্য প্রার্থী না থাকে তাহলে তারা অন্য দলের সৎ প্রার্থীকে মেনে নেবে। আর যদি অন্য দলের প্রার্থীর চেয়ে বিএনপির প্রার্থী যোগ্য হয় তবে তাকেই মনোনয়ন দেয়া হবে। আমরাতো ভাল সৎ প্রার্থী দেব। কোন চোর গুন্ডাকে আমরা মনোনয়ন দেব না।
ইনকিলাব : বামদলগুলোর সাথে আলোচনা হচ্ছে কি?
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী : সবার সাথে আমাদের আলোচনা হচ্ছে। আশা করছি সবাই জাতীয় ঐক্যের ব্যানারে আসবেন।
ইনকিলাব : সরকার কাউকে সভা-সমাবেশের অনুমতি দিচ্ছে না। সে ক্ষেত্রে আপনারা কি কর্মসূচী নিয়ে কার্যকর করতে পারবেন?
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী : সভা-সমাবেশের অনুমতি না দিলে সরকার থাকতে পারবে না। জনগণ যদি কথা বলতে না পারে তাহলে তথাকথিত জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটবে। এটা হবে আরো ভয়াবহ।
ইনকিলাব : আন্দোলনের মুখে সরকার দাবি না মানলে পরিনতি কি হবে? তৃতীয় কোন শক্তির উত্থন...
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী : আমি পরিস্কারভাবে বলতে চাই সামরিকবাহিনী কোন ভাবেই আসবে না।
ইনকিলাব : বর্হিবিশ্বের সাথে কি আপনাদের কোন আলোচনা হয়েছে? বিশেষ করে ভারতের সাথে?
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী : না। দেশের সংকট সমাধানে দেশের জনগণই সব করবে এটাই আমরা মনে করি। অন্য কোন দেশের সাথে আলোচনার প্রয়োজন নেই। তবে প্রতিবেশি রাষ্ট্র ভারতের উদ্দেশ্যে আমি বলতে চাই, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীন রাজনীতিতে নাক গলাবেন না। আমরা চাই না।
ইনকিলাব : আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী : আপনাকেও ধন্যবাদ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।