পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মহররম মাস ও আশুরার দিবসটি বিশ্ব মুসলিম মিল্লাতের সামনে এমন একটি পয়গাম নিয়ে আগমন করে, যার অবশ্যম্ভাবী কার্যকারিতা যুগ ও কালের খাতার পাতায় চির ভাস্বর হয়ে রয়েছে। সে পয়গামটি হলো : “ইসলাম জিন্দা হোতো হ্যায় হার কারবালাকে বাদ” অর্থাৎ প্রতিটি কারবালা হত্যাকান্ডের পর ইসলাম নব-জীবন লাভে ধন্য হয়। কারবালা প্রান্তরে সাইয়্যেদেনা হজরত ইমাম হোসাইন (রা:) ও তাঁর ৭২ জন সঙ্গী সাথী সত্যকে সমুন্নত ও উচ্চকিত করার লক্ষ্যে নিজেদের জীবন আল্লাহর রাস্তায় উৎসর্গ করে ছিলেন। দেহের শেষ রক্ত বিন্দুটুকুও জড়িয়ে ছিলেন সত্য-সুন্দর “খিলাফাতুন আলা মিনহাজিন নাবুওয়্যাত”-এর মিলসিলাকে অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে। তাদের এই ত্যাগ, আত্ম-দান ও সক্রীয় ভূমিকা অনাগতকালের জন্য পথের দিশা হয়েছে রয়েছে এবং থাকবে পৃথিবী বিলয় হওয়া পর্যন্ত। কেননা, অসত্য ও মিথ্যার বেড়াজাল যখনই সত্য-সুন্দর ইসলামী জিন্দেগীর চলমান গতিধারাকে ব্যাহত করার প্রয়াশ চালিয়েছে, তখনই সত্যাশ্রয়ী সৈনিকদের তীব্র প্রতিরোধে সেই জালের প্রতিটি গিঁট ছিন্ন-ভিন্ন হয়ে গেছে, ইতিহাসের আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে অপমানের তীব্র দহনসহ। এমনটিই নয়। এমনটি হওয়াই স্বাভাবিক। যার ধারাবাহিকতা আমরা দেখতে পাই কুরআনুল কারীমের অবিস্তৃত ঘটনা পুঞ্জের মাঝে। আবরাহার হস্তী বাহিনী, ফেরাউনের সৈন্য বাহিনী, নমরুদের ধ্বংস ও চির বিলুপ্তি, আহযাবের সম্মিলিত বাহিনীর পরাজয় ও পলায়ন সেই স্বাভাবিকতার কথাই স্মরণ করিয়ে দেয়। আর একথাও মনে করিয়ে দেয় যে, অসত্যের সহযোগিতাকারীদের নিস্তার কখনোই মিলবে না। দুনিয়ার জীবনে যেমন তারা লাঞ্ছিত, ঘৃণিত, লজ্জিত ও অপমানিত হবে, তেমনি পরকালীন জীবনে তারা নিক্ষিপ্ত হবে জাহান্নামের অনলকুন্ডে চিরদিনের জন্য। এদের জন্য সাহায্য লাভের কোন পথই অবশিষ্ট থাকবে না। কুরআনুল কারীমে মহান রাব্বুল ইজ্জত সুস্পষ্টভাবে ঘোষণা করেছেন : তারা এটাই কামনা করে যে, তারা যেরূপ সত্য প্রত্যাখ্যান করেছে, তোমরাও সেরূপ সত্য প্রত্যাখ্যান কর, যাতে তোমরা তাদের সমান হয়ে যাও। সুতরাং আল্লাহর পথে হিজরত না করা পর্যন্ত তাদের মধ্য হতে কাকেও বন্ধু-রূপে গ্রহণ করো না; যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবে তাদেরকে যেখানে পাবে গ্রেফতার করবে এবং হত্যা করবে এবং তাদের মধ্যহতে কাউকেও বন্ধু ও সহায়রূপে গ্রহণ করবে না। (সূরা নিসা: আয়াত ৮৯, পারা- ৫, রুকু-১২)।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।