পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, রাষ্ট্রীয়ভাবে ইসলামী হুকুমত প্রতিষ্ঠিত না থাকায় সর্বত্র মজলুম মানুষের আহাজারিতে বাতাস ভারী হয়ে উঠছে। বর্তমান সমাজ ব্যবস্থা মানুষের কল্যাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। ইসলাম শান্তি ও কল্যাণের ধর্ম, মুক্তির ও নাজাতের ধর্ম। শান্তি ও কল্যাণ পেতে সকলকে তাগুতের সংশ্রব ছেড়ে ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে ফিরে আসতে হবে। ৯২ ভাগ মুসলমানের দেশে ইসলাম নেই, বরং ইসলাম এ ভূখন্ডে পরাজিত। ইসলামকে পরাজিত রেখে কোন মানুষ আল্লাহর অনুগ্রহ পেতে পারে না। তিনি বলেন, দেশের রাজনীতিতে সৎ ও যোগ্য নেতৃত্বের বড়ই অভাব। সৎ ও যোগ্য নেতৃত্বের অভাবে আজ দুর্নীতিবাজরা দেশ শাসন করছে। তিনি বলেন, শোষিত-বঞ্চিত, মজলুম গণ-মানুষের পক্ষে ভূমিকা পালন করতে এবং সমাজের নেতৃত্ব জালেমের হাত থেকে আলেমদের হাতে আনতে না পারলে কখনও শান্তি আসবে না।
গতকাল সন্ধ্যায় রাজধানীর পূর্ব জুরাইন ১নং সড়কের পশ্চিম পাশের ফাঁকা মাঠ আল মদীনা জামে মসজিদ চত্ত¡রে ফয়জুল করীম কওমী মাদরাসা ও এলাকাবাসীর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ৭ম বার্ষিক বিশাল ইসলামী মহাসম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। বিশিষ্ট সমাজসেবক ও অত্র মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব জাফর মাহমুদ বেপারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ পীর সাহেব খুলনা, মাওলানা ক্বারী মাসউদুর রহমান। বয়ান পেশ করবেন মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক, মুফতী ইমদাদুল হক, মাওলানা ইয়াহইয়া। এছাড়াও স্থানীয় ওলামায়ে কেরাম, মসজিদের ইমামগণ উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।