বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
গফরগাঁও উপজেলা সদরে শিক্ষকের পিটুনিতে নবম শ্রেণির এক ছাত্রী আহত হয়েছে। তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আজ বুধবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে গফরগাঁও খায়রুল্লাহ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
বিদ্যালয় সূত্র জানায়, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে খায়রুল্লাহ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণির কোচিং ক্লাস চলছিল। এ সময় সহকারী শিক্ষক মাহমুদুর রহমান শিক্ষার্থীদের একটি কম্পোজিশন লিখতে বলেন। কিছুক্ষণ পর শিক্ষার্থী সাদিয়া নওশিন লুবদি 'স্যার আমার কাগজ শেষ হয়ে গেছে, কাগজ লাগবে' বলতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন শিক্ষক মাহমুদুর। 'তোর সব কিছুতেই ভণ্ডামি' বলেই হাতে থাকা স্টিলের স্কেল দিয়ে লুবদিকে পেটাতে থাকেন। এতে অজ্ঞান হয়ে পড়ে সে।
এ সময় অন্য শিক্ষার্থীরা অফিস কক্ষে এনে নাকেমুখে পানি ছিটালে জ্ঞান ফেরে লুবদির। পরে তাকে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। লুবদি বলে, 'স্যার সব ছাত্রীদের তুই-তুকারি করে কথা বলেন।'
লুবদির বাবাও একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তিনি বলেন, 'শিক্ষার্থীদের পিটুনি দিয়ে পড়ানো নিষেধ। নবম শ্রেণির ছাত্রীটি ছোট নয়। শিক্ষক পিটুনি দিয়ে জঘন্য অপরাধ করেছেন। আমি তাঁর বিচার চাই।
অভিযুক্ত শিক্ষক মাহমুদুর রহমানের মোবাইলে বেশ কয়েকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ না করায় এ ব্যাপারে তাঁর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
খায়রুল্লাহ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এ কে এম মফিজুল হক বলেন, 'নবম শ্রেণির একজন ছাত্রীকে পিটুনি দেওয়া খুবই অন্যায় হয়েছে। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শিক্ষককে কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়া হয়েছে। জবাব পাওয়ার পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।