Inqilab Logo

সোমবার, ২৪ জুন ২০২৪, ১০ আষাঢ় ১৪৩১, ১৭ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

কারচুপির নির্বাচন ও বিশাল অংকের হরিলুট করতে ইভিএম কেনা হচ্ছে -রিজভী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ২:৫৭ পিএম

ভোটারবিহীন কারচুপির নির্বাচন ও এই প্রকল্পের মাধ্যমে বিশাল অংকের টাকা হাতিয়ে নিতেই ইভিএম কেনা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজ। তিনি বলেন, ইভিএম নিয়ে বিশ্বময় অশান্তি ও প্রতিবাদের ঝড় বইছে। সম্প্রতি ইভিএম এ কারচুপি’র জন্য দিল্লী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদের নির্বাচনের ভোটই বাতিল হয়ে গেছে। তাহলে জনগণের হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে ইভিএম কেনার সিদ্ধান্তের উদ্দেশ্যই হলো-আরেকটি ভোটারবিহীন নির্বাচন পাকাপাকিভাবে কারচুপি’র বন্দোবস্ত করা এবং লুটপাটের সুযোগ করে দেয়া। একনেকে অনুমোদন হওয়ার বেশ কিছুদিন আগে সরকারের দু’জন কর্মকর্তা ইভিএম ক্রয় করতে বিদেশ গেছেন।
বুধবার ১৯ (সেপ্টেম্বর) দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলে।
রিজভী বলে, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলসহ জনসমাজের নানাস্তরের সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান ইলেট্রনিক ভোটিং মেশিন আগামী নির্বাচনে ব্যবহার না করার জন্য নির্বাচন কমিশনের নিকট আপত্তি জানিয়েছিল। প্রধান নির্বাচন কমিশনারও সেই আপত্তিতে সাড়া দিয়ে আগামী জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার হবে না বলে জানিয়েছিলেন। অথচ গতকাল একনেকে দেড় লাখ ইভিএম সংগ্রহ প্রকল্পের অনুমোদন দেন প্রধানমন্ত্রী। সরকার জনগণকে ত্যাজ্য করে জালিয়াতির মেশিন ইভিএম এর ওপর নির্ভরশীল হয়েছে। এছাড়া সরকারের আর উপায় নেই। কারণ সরকারের নির্বাচন দরকার কিন্তু ভোট দরকার নেই, সরকারের গণতন্ত্রের মুখোশ দরকার কিন্তু বিরোধী দলের দরকার নেই, সরকারের গণমাধ্যম দরকার কিন্তু মত প্রকাশের স্বাধীনতার দরকার নেই। পূণরায় ক্ষমতা লাভের কাড়াকাড়িতে ব্যস্ত সরকারের কাছে ইভিএম কেনা অত্যন্ত জরুরী এজন্য যে, এই মেশিন ভোট গ্রহণের দিন ব্যবহার হলে ভোটারদের প্রয়োজন হবে না।
খালেদা জিয়াকে বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়ার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা সেবা দিতে নানাভাবে বাধা দিচ্ছে সরকার। দেশনেত্রীকে আগে নিয়মিত ফিজিওথেরাপি দিতেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের একজন সিনিয়র অভিজ্ঞ থেরাপিষ্ট। পরে তাকে পরিবর্তন করে সরকারদলীয় মনোভাবাপন্ন একজন নতুন অনভিজ্ঞ থেরাপিষ্টকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে, যা রহস্যজনক। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই বেগম জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের মেডিকেল বোর্ডে রাখা হয়নি। এজন্যই আমরা দেশনেত্রীর অসুস্থতা নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন ও উৎকন্ঠিত। রিজভী বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন গুরুতর অসুস্থ হলেও এখনও তাঁর পছন্দ অনুযায়ী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়নি কিংবা সুচিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। এতে প্রমানিত হয়-সরকার বেগম খালেদা জিয়ার জীবন নিয়ে কোন গভীর চক্রান্ত চালাচ্ছে। প্রত্যেক বন্দী মানুষ, তাদের অধিকার রয়েছে সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য পছন্দ অনুযায়ী হাসপাতাল ও চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা নেয়া। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের প্রধান। অথচ তাঁর মানবাধিকারকে হরণ করে তাঁকে তীব্র কষ্ট দিয়ে তিলে তিলে জীবন বিপন্ন করারই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে সরকার। আমি আবারও বেগম খালেদা জিয়াকে তাঁর পছন্দ অনুযায়ী বেসরকারি বিশেষায়িত হাসপাতালে, বিশেষ করে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি।
বিএনপির এই নেতা আরও অভিযোগ করে বলেন, গতকাল বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি’র সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেলকে গ্রেফতারের পর ডিবি কার্যালয়ে নেয়া হলে কয়েকজন আইনজীবীসহ নেতাকর্মীরা তাকে সেখানে দেখতে যায়। সেখান থেকে পুলিশ কয়েকজন আইনজীবীসহ বেশকিছু নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে। বর্তমান সরকার ও সরকারের আজ্ঞাবহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কতটা হিংস্র, অমানবিক ও হিতাহিত জ্ঞানশুণ্য হতে পারে যে, রাতে সোহেলের ঔষুধ পর্যন্ত ভেতরে নিতে দেয়া হয়নি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রিজভী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ