নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
এশিয়া কাপের এবারের সূচীটাই গড়বড়ে। টানা দুই ম্যাচ হেরে বিদায় নিয়েছে শ্রীলঙ্কা, অথচ তারপর নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেছে ভারত! শুধু তাই নয়, ক্রিকেট বিশে^র সবচেয়ে আকাঙ্খিত দ্বৈরথ পাক-ভারত ম্যাচেও এমনই এক হিসেবের মারপ্যাচ দিয়ে রেখেছে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি)। যেটি নিয়ে চলেছে সমালোচনা, আসর বয়কটের হুমকিও দিয়েছিলো ভারত। অবশেষে অদ্ভুতুড়ে সেই সূচীতেই সংযুক্ত আরব আমিরাতের উত্তাপ বাড়িয়ে চলেছে আসরটি।
তারপরও প্রতিপক্ষ হংকং বলেই কিছুটা হয়তো নির্ভার থেকেই মাঠে নেমেছিলো ভারত। ভাবনায় ছিলো গোটা একটা দিন না হোক, অন্তত তাড়াতাড়ি ম্যাচ শেষ করে একটু আগেভাগেই মরুর উত্তাপ বাঁটিয়ে হোটেল রুমের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কামরায় বিশ্রামে নিতে পারবে ভারতীয় ক্রিকেটাররা। তবে সেটি তো গতে দিলোই না, উল্টো চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তান ম্যাচের আগে রাতের ঘুমটিই নষ্ট হতে বসেছিলো রোহিত শর্মার দলের! অবশেষে ঘাম দিয়ে জ¦র ছেরেছে আসরের ৬ বারের চ্যাম্পিয়নদের। দুর্বল হংকংয়ের কাছে হারতে হারতে বেঁচে গেছে ক্রিকেটের পরাশক্তি ভারত। নবাগত দলটিকে মাত্র ২৬ রানে হারিয়েছে রোহিত শর্মারা!
হারলেই পাকিস্তানের বিপক্ষে আজ জিততেই হবেÑ এমন কঠিন সমীকরণের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে মঙ্গলবার হংকংয়ের মুখোমুখি হয় বিরাট কোহলিহীন ভারত। সেই চাপ সামলে আসরের সবচেয়ে মিনোজ দলটির বিপক্ষে দুবাইয়ের উইকেটে ২৮৬ রানের পাহাড়সম লক্ষ্য দাঁড় করায় ধাওয়ানের সেঞ্চুরিতে ভর করে। কিন্তু বিশাল এই লক্ষ্যও যে টপকে যেতে বসেছিলো এক ওপেনিং জুটিতে ভর করে! অবশেষে ২৫৯ রানে থামে ৮ উইকেট হারানো হংকং।
কোন উইকেট না হারিয়ে ১৭৪ রান করে ফেলেছিলো সহযোগী দেশটি। ছয় বোলার ব্যবহার করেও উদ্বোধনী জুটি বিচ্ছিন্ন করতে পারেননি রোহিত। রোহিতের সঙ্গেই চিন্তিত দেখাচ্ছিল ধারভাষ্যকক্ষে বসে থাকা সুুনিল গাভাস্কারকে। উপায় কি, হারলেই যে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে ভাঙ্গা মনোবল নিয়ে নামতে হবে আজ। সেঞ্চুরির পথে এগিয়ে যাচ্ছিলেন নিজাকাত শাহ। ফিফটি পূর্ণ করে সাবধানে এগুচ্ছেন অধিনায়ক আঞ্জুমান রাথ। তবে হঠাৎই খলিল আহমেদ আর জুভেন্দ্র চাহালের এক ঝড়ে সব এলোমেলো।
অধিনায়ক রাথকে দিয়ে শুরু কুলদ্বীপ যাদবের উইকেট উৎসব। ৯৭ বলে ৪ চার ও এক ছক্কায় ৭৩ রানের ঝলমলে এক ইনিংস খেলা এই ওপেনারকে ভারত অধিনায়ক রোহিতের তালুবন্দী করান বাঁ-হাতি এই স্পিনার। পরে সেই উৎসবে সামিল হন চাহাল ও খলিল। পরের ওভারে এসেই ম্যাজিকেল ৩ অঙ্কের দিকে এগিয়ে যাওয়া নিজাকাতকে এলবির ফাঁদে ফেলেন বাঁ হাতি এই মিডিয়াম পেসার। ১১৫ বলে তার ৯২ রানের ইনিংসটি ছিলো ১২টি চার ও একটি ছক্কায় সাজানো। এরপরই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে হংকংয়ের প্রতিরোধ। একে একে ব্যাটসম্যানদের আসা যাওয়ার মিছিলে কিছুটা লড়াইয়ের আভাস দিয়েছিলেন ২২ রান করা এহসান খান। তবে তাতে ভারতের ঘাম ঝরলো পরাজয় এড়াতে পারেনি চমক দেখানো হংকং। ৩টি করে শিকার চাহাল-খলিলের। বাকি দুটি যাদবের দখলে। তবে ম্যাচ সেরার পুরস্কার ঠিকই উঠেছে সেঞ্চুরিয়ান ধাওয়ানের হাতে।
এর আগে শেখর ধাওয়ানের অসাধারণ শতকে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ২৮৫ রান সংগ্রহ করে ভারত। ১২০ বলে ১৫টি চার ও দুই ছক্কায় ১২৭ রানের পথে তিনটি জুটিতে নেতৃত্ব দেন শেখর। অষ্টম ওয়ানডে শতকের পথে কোহলির অনুপস্থিতে দলকে নেতৃত্ব দেওয়া রোহিত শর্মার (২৩) সঙ্গে ৪৫ রানের উদ্বোধনী জুটির পর আম্বাতি রাইডু (৬০) ও দিনেশ কার্তিকের সঙ্গে যথাক্রমে ১১৬ ও ৭৯ রানের জুটি গড়েন ধাওয়ান। এরপর সর্বোচ্চ ২৯ রানের জুটি আসে ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে। শেষ দিকে ধোনি (০), কেদার যাদবরা (২৮) আশানুরুপ ঝড় তুলতে না পারায় ৪০ ওভারে ২ উইকেটে ২৪০ রানের পরও সংগ্রহটা বড় করতে পারেনি ভারত। হংকংয়ের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন কিঞ্চিত শাহ, দুটি এহসান খান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।