Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

পরিত্যক্ত ভবনে ভূমি অফিস : দুর্ঘটনার শঙ্কা

দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) থেকে মো. গোলাম ফারুক | প্রকাশের সময় : ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

দুপচাঁচিয়া উপজেলা সদরের বন্দর তেমাথা সংলগ্ন দীর্ঘ দিনের পুরনো পরিত্যক্ত দ্বিতল ভূমি অফিসটি মারাত্মক ঝুঁকিপুর্ণ অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে। যে কোনো মুহূর্তে ভবনটি ধসে পড়ে মারাত্মক দুর্ঘটনার আশঙ্কাও রয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় আলোচনা হয়েছে।
উপজেলার বন্দর তেমাথা এলাকায় নাগর নদীর কোল ঘেঁষে পুরাতন দ্বিতল পরিত্যক্ত ভূমি অফিসটি দীর্ঘ দিনের পুরাতন ভবন। আশি দশকের প্রথম দিকে ভবনটি উপজেলা ভূমি অফিস ও পরে সদর ইউনিয়ন ভূমি অফিস হিসেবে ব্যবহৃত হয়। গণপূর্ত বিভাগ অনেক আগেই ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করে। ১৯৯৬-৯৭ অর্থবছরে ভবন সংলগ্ন প্রায় তিন লাখ টাকা ব্যয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের তত্ত্বাবধানে নতুন ইউনিয়ন ভূমি অফিস নির্মিত হয়। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ছাড়াই ওই ইউনিয়ন তহশিল অফিসটি নির্মিত হওয়ায় প্রশাসনিক জটিলতার সৃষ্টি হয়। ফলে ঝুঁকি নিয়েই পরিত্যক্ত দ্বিতল ভবনে ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কার্যক্রম চলতে থাকে।
ভবনটির ছাদের প্লাস্টার উঠে লোহার রডগুলো কঙ্কালের মতো বেরিয়ে রয়েছে। সামনের বারান্দার পিলার ভেঙে গেছে। ভবনের দেয়ালে গাছ গঁজিয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ এই ভবনের পার্শ্ব দিয়েই উপজেলা পোস্ট অফিস ও কাঁচাবাজার অভিমুখে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক চলে গেছে। এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন শত শত লোকজনসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করে। যে কোনো মুহূর্তে ভবনটি ভেঙে পড়ে মারাত্মক দুর্ঘটনাসহ প্রাণহানির মতো ঘটনা ঘটার আশঙ্কাও বিরাজ করছে। এ ছাড়াও ওই পরিত্যক্ত ভবনের দুতলায় এক শ্রেণির নেশাগ্রস্ত যুবক নিরাপদ স্থান হিসেবে বেছে নিয়েছে। এ ব্যাপারে গত সোমবার উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় আলোচনা হয়। সভার সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম জাকির হোসেন জানান, ভবনটি ভেঙে ফেলার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতির জন্য পত্র দিয়েছিলেন। কিন্তু স্থানীয় এক ব্যক্তির মামলা করায় ভবনটি ভেঙে ফেলা সম্ভব হচ্ছে না। এ দিকে এলাকার সচেতন মহল পরিত্যক্ত এই ভবনটি ধসে যে কোনো ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে জরুরি ভিত্তিতে সরকারি নিয়মানুসারে ভেঙে ফেলার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: দুর্ঘটনার শঙ্কা
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ