মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
কঠোরতম ভাষায় মিয়ানমারের বেসামরিক সরকারের নেত্রী অং সান সু চির সমালোচনা করেছেন জাতিসংঘ গঠিত স্বাধীন আন্তর্জাতিক ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের একজন সদস্য। অস্ট্রেলিয়ার মানবাধিকার আইনজীবী ক্রিস্টোফার ডমিনিক সিডোটি বলেছেন, রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর যে নির্মমতা মিয়ানমারের সেনাবাহিনী চালিয়েছে, তা ঢাকতে গিয়ে নোবেল বিজয়ী সু চি নিজেকে পরিণত করেছে ‘লজ্জা নিবারণের ডুমুরপত্রে’। অস্ট্রেলিয়ার আইন সংস্কার কমিশনের সাবেক সদস্য সিডোটি বলেন, সু চি প্রথম যে কাজটি করতে পারতেন তা হল- রাখাইনে গণহারে ধর্ষণের যে বিপুল অভিযোগ এসেছে সেসব ‘ভুয়া’ বলে উড়িয়ে না দিয়ে সেনাবাহিনীর পক্ষে সাফাই গাওয়া বন্ধ করা। ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের ৪০০ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন উপস্থাপনের আগে যুক্তরাজ্যের টেলিগ্রাফকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন। সিডোটি বলেন, রাখাইনে সহিংসতা থামাতে ব্যর্থতার দায় মিয়ানমারের নেত্রী সু চি এড়াতে পারেন না। নিরাপত্তা বাহিনীর কয়েক ডজন স্থাপনায় একযোগে হামলার পর গতবছর ২৫ অগাস্ট থেকে রাখাইনে সেনাবাহিনীর ওই দমন অভিযান শুরু হয়। সেই সঙ্গে শুরু হয় এশিয়ার এ অঞ্চলে সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে বড় শরণার্থী সঙ্কট। তিন সদস্যের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন অগাস্টের শেষে তাদের ২০ পৃষ্ঠার যে প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে, সেখানে নৃশংস সেই দমন অভিযানের ভয়াবহতার চিত্র উঠে আসে। ওই প্রতিবেদনে বলা বলা হয়, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ‘গণহত্যার অভিপ্রায়’ থেকেই রাখাইনের অভিযানে রোহিঙ্গা মুসলমানদের নির্বিচারে হত্যা, ধর্ষণের মত ঘটনা ঘটিয়েছে। আইন প্রয়োগের নামে ভয়ঙ্কর ওই অপরাধ সংঘটনের জন্য মিয়ানমারের সেনাপ্রধান এবং জ্যেষ্ঠ পাঁচ জেনারেলকে বিচারের মুখোমুখি করারও সুপারিশ করেছে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন। এই মিশনের নেতৃত্ব দেন ইন্দোনেশিয়ার সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল মারজুকি দারুসমান। সদস্য হিসেবে আরও ছিলেন শ্রীলঙ্কার আইনজীবী নারী অধিকার বিশেষজ্ঞ রাধিকা কুমারস্বামী। “২০১৫ সালের নির্বাচনে ৮০ শতাংশ মানুষের ভোট তিনি পেয়েছেন। এটা তাকে বিপুল নৈতিক সমর্থন দিয়েছে কর্তৃত্ব দিয়েছে। সেনাবাহিনীর নৃশংসতার লজ্জা ঢাকতে কৌপিনের ভূমিকা নেওয়া তিনি বন্ধ করতে পারতেন।” গতবছর গঠিত জাতিসংঘের এই ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের সদস্যরা বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিয়ে থাকা ৮৭৫ জন রোহিঙ্গার সাক্ষাৎকার নিয়ে, নথিপত্র, ভিডিও, ছবি এবং স্যাটেলাইট ইমেজ পর্যালোচনা করে তাদের প্রতিবেদন তৈরি করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, মিয়ানমারে যুগ যুগ ধরে রোহিঙ্গাদের ওপর রাষ্ট্র আরোপিত যে অবিচার চলছে তা প্রাতিষ্ঠানিক নিপীড়নের রূপ পাওয়ায় জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত ভুগতে হচ্ছে এই জনগোষ্ঠীকে। টেলিগ্রাফ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।