নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
দুবাইয়ের চেয়ে আবুধাবির তাপমাত্রা একটু বেশি। শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামের পিচও দুবাইয়ের মত ন্যাড়া নয়, দূর থেকে দেখলে কিছুটা সবুজের আবহ চোখে পড়ে। এই দুই কারণেই হয়ত ক্রিজে কামড়ে থেকেও রানের জন্য হাসফাস করতে হয়েছে শ্রীলঙ্কাকে। পরিণতি, আফগানিস্তানের কাছে হেরে এশিয়া কাপ থেকে বিদায় আসরের ৫ বারের চ্যাম্পিয়নদের।
গতকাল সোমবার এশিয়া কাপের তৃতীয় ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে জয়ের জন্য ২৫০ রানের লক্ষ্য দেয় আফগানিস্তান। জবাবে রশিদ, নবি, নাইব, মুজিবদের ঘূর্ণিপাক আর দুর্দান্ত ফিল্ডিংয়ে ১৫৮ রানেই গুটিয়ে যায় লঙ্কানরা। বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রানে হারের পর এদিনের হারটিও ৯১ রানে। টানা দুই হারে শ্রীলঙ্কার বিদায়ে ‘বি’ গ্রুপ থেকে বাংলাদেশকে নিয়ে সুপার ফোর নিশ্চিত করেছে আফগানিস্তান। আগামী বৃহস্পতিবার নিয়মরক্ষার ম্যাচে মুখোমুখি হবে দু’দল।
ছয় জাতি টুর্নামেন্টে আফগানদের এটি প্রথম ম্যাচ, লঙ্কানদের দ্বিতীয়। প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের কাছে ১৩৭ রানের বড় ব্যবধানে পরাজিত হয় চন্ডিকা হাথুরুসিংহের দল। টুর্নামেন্টে টিকে থাকতে তাই লঙ্কানদের সামনে জয়ের কোন বিকল্প ছিলো না। অন্যদিকে হারলেও আসরে টিকে থাকার সুযোগ থাকবে আফগানদের সামনে। এমন কঠিন বাস্তবতার সামনে রশিদ-মুজিব-নবিদের নিয়ে গড়া বিশ্বের সেরা স্পিন লাইন আপের বিপক্ষে রীতিমত হাবুডুবু খেয়েছে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের দল।
আবু ধাবির শেখ আবু জায়েদ স্টেডিয়ামে স্কোরবোর্ডে কোন রান যোগ না হতেই মেন্ডিসকে ফেরান মুজিব। থারাঙ্গা-সিলভার ৫৪ রানের জুটিতে সেই ধাক্কা সামাল না দিতেই দু’টি রান আউট। এরপর আর গুলবাদিন নাইব ও রশিদ খানের ছোবলে ১০৮ রানেই ৫ উইকেট হারায় লঙ্কানরা। এরপর ম্যাথিউসের (২২) সঙ্গে লড়াইয়ে নাম লেখান থিসারা পেরেরা (২৮)। দু’জনের ৩৫ রানের জুটি বিচ্ছিন্ন হয় নবি আর নাইবের ছোবলে। বাকিদের আসা যাওয়ার মাঝে নবাগত জয়াসুরিয়া (১৪) কিছুটা ব্যাট চালিয়ে গেলেও শেষ পর্যন্ত ৪১.২ ওভারেই শেষ হয় লড়াই। আফগানিস্তানের হয়ে দু’টি করে উইকেট নেন রশিদ, নবি, নাইব, মুজিব। তবে ম্যাচ সেরার পুরস্কার ঠিকই ওঠে ব্যাটিংয়ে জয়ের ভিত গড়ে দেয়া রহমত শাহর হাতে।
এর আগে এই পেরেরার কারণেই ভালো শুরু করেও সংগ্রহ বড় করতে পারেনি আফগানরা। ৪১ ওভার শেষেও তাদের সংগ্রহ ছিল ৩ উইকেটে ১৯০ রান। এসময় সর্বোচ্চ ৭২ রান করা রহমত শাহ বিদায় নেয়ার সঙ্গে সঙ্গে পাল্টে যায় আফগান ইনিংসসের গতিপথ। রহমতের সঙ্গে চতুর্থ উইকেটে ৮০ রানের জুটিতে অবদান রাখা হাশমাতুল্লাহ শহিদিও ফেরেন দ্রুতই (৫২ বলে ৩৭)। শুরু করেও ঝড় তুলতে পারেননি মোহাম্মদ নবি (১৫), নাজিবুল্লাহ জদরানরা (১২)। শেষ দিকে একাই ৫ উইকেট নিয়ে আফগানদের কাজটা কঠিন করে দেন থিসারা পেরেরা (৯-০-৫৫-৫)। অবশ্য ২৪৯ রানে অল আউট হওয়ার আগে পুরো ৫০ ওভারই খেলেছে আফগানিস্তান।
ব্যাট হাতে ৫৭ রানের জুটিতে টসজয়ী আফগানদের শুরুটা ছিল দারুণ। মোহাম্মাদ শাহজাদকে (৪৭ বলে ৩৪) লেগ বিফোরের জালে ফেলে জুটি বিচ্ছিন্ন করেন প্রথম সন্তানের বাবা হওয়া আকিলা দনাঞ্জয়া। এরপর রহমত শাহের সঙ্গে আরেকটি পঞ্চাশোর্ধো জুটি উপহার দিয়ে যান ইহসানুল্লাহ (৬৫ বলে ৪৫)। চতুর্থ উইকেটে আসে রহমত-হাশমাতুল্লাহর সেই ইনিংস সর্বোচ্চ ৮০ রানের জুটি। ব্যাক্তিগত ৭২ রানে (৯০ বলে) রহমতকে ফিরিয়ে লঙ্কান অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের মুখে হাসি ফেরান দুস্মন্ত চামিরা। কিন্তু ব্যাট হাতে উঠতেই সেই হাসি ম্লান হয় যায় লঙ্কানদের।
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ ভারতের প্রতিপক্ষ হংকং। আগামীকাল চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের মুখোমুখি হওয়ার আগে এটাকে রোহিত শর্মার দলের জন্য ‘গা গরমের’ ম্যাচ বলা যেতে পারে। এর আগে এই হংকংকে হারিয়েই যে নিজেদের প্রস্তুতি সেরে রেখেছে পাকিস্তান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।