পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
(১২) হজরত সুলায়মান (আ:) আশুরার দিনেই সিংহাসন লাভ করেন এবং মানববসতিপূর্ণ গোটা বিশ্বের সম্রাটপদে বরিত হন। হজরত সুলায়মান (আ:) হাতের আংটি হারিয়ে সাময়িকভাবে সাম্রাজ্য হারা হলে মহান রাব্বুল ইজ্জত পুনরায় আশুরার দিনেই তাঁর রাজ্য ফিরিয়ে দেন। (সূরা নামল : ক্রমিক নং ২৭, আয়াত ১৫-৪৪, পারা-১৯, রুকু-২,৩)
(১৩) আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জত সাগর, পাহাড়, প্রাণীকুল, আসমান, জমিন, তন্মমধ্যস্থ সকল বস্তু আশুরার দিনেই সৃষ্টি করেছেন। (সূরা নামল : ক্রমিক নং ২৭, আয়াত ৬০, ৬১, ৬২, ৬৩, ৬৪, পারা ২০, রুকু-৫)
(১৪) হজরত ঈসা (আ:) কে আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জত বহু অলৌকিক ক্ষমতার অধিকারী করে দুনিয়ায় প্রেরণ করেছিলেন। হজরত ঈসা (আ:) জন্মলাভের পর হতে দীর্ঘ ৩৩টি বছর ধরে দুনিয়ার মানুষকে হেদায়েতের পথে আহ্বান করেছিলেন। কিন্তু দুনিয়ার মানুষ তাঁর আহ্বানে সাড়া দেয়নি। শেষ পর্যন্ত তাঁকে হত্যা করার পরিকল্পনা গ্রহণ করে। মহান রাব্বুল আলামিন তাঁকে আশুরার দিনেই আসমানে তুলে নেন। (সূরা আলে ইমরান : ক্রমিক নং ৩, আয়াত ৫৫, ৫৬, পারা ৩, রুকু-৬)।
(১৫) মহররমের ১০ তারিখ আশুরার দিনেই কেয়ামত অনুষ্ঠিত হবে। সৃষ্ট জগতের সব কিছু ভেঙেচুরে একাকার হয়ে যাবে। এক আল্লাহ ছাড়া সকল বস্তুর বিলুপ্তি সার্ধিত হবে। (সূরা ইয়াসিন, ক্রমিক নং ৩৬, আয়াত ৫১, ৫২, ৫৩, পারা ২৩, রুকু-৪)
উপর্যুক্ত আলোচনার নিরিখে এ কথা স্পষ্টতই বলা যায় যে, মহররম মাসের ১০ তারিখ আশুরার দিবসটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও মহিমামন্ডিত। এই দিন বিশ্বাসী বান্দাদের উচিত বেশি বেশি করে নফল নামাজ আদায় করা, আশুরার রোজা রাখা, এবং ঐতিহাসিক ঘটনাগুলো থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে বাস্তব জীবনের সর্বত্র তা আমলে পরিণত করা। কেননা, সময়ের পরিবর্তনে অনেক কিছু পরিবর্তিত হয়ে গেলেও এমন বহু বিষয় আছে, যা কালের খাতায়, ইতিহাসের পাতায় চিরকাল ভাস্বর হয়ে ফুটতে থাকে। মহররম ও আশুরা এরই একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। এর ব্যত্যয় হওয়ার জো নেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।