পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সরকার দলীয় চিকিৎসকদের দিয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ড ম্যানুফ্যাকচারিং রিপোর্ট দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজ। তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে চরম স্বাস্থ্যঝুঁকিতে নিয়ে যাওয়ার জন্যই সরকারের ইচ্ছা অনুযায়ী মেডিকেল বোর্ড ‘ম্যানুফ্যাকচারিং প্রতিবেদন’ দিয়েছে। আর সেজন্যই বেগম জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসকদেরকে বোর্ডে অন্তর্ভূক্ত করা হয়নি। এই বোর্ড ও রিপোর্টের প্রতি দল ও জনগণের কোন বিশ্বাস নেই। যদি মেডিকেল বোর্ডে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের কেউ অন্তর্ভূক্ত থাকতেন তাহলে রিপোর্ট বিশ্বাসযোগ্য হতো। তিনি অবিলম্বে মেডিকেল বোর্ডে তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের অন্তর্ভূক্ত করে বেসরকারী কোন বিশেষায়িত হাসপাতালে ভর্তি করে সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার দাবি জানান।
সোমবার ১৭ (সেপ্টেম্বর) দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, আমরা বারবার বলে এসেছি-অবৈধ আওয়ামী সরকার ও সরকার প্রধান সুপরিকল্পিতভাবে বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে চিকিৎসা না দিয়ে তাঁর অসুস্থতা চরম শোচনীয় অবস্থায় উপনীত করার চক্রান্ত চালিয়ে আসছে। সরকারী দলের অনুগত চিকিৎসকদের দিয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ড কারাগারে দেশনেত্রীকে বিশ মিনিটে তথাকথিত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বিএসএমএমইউ-তে ভর্তির পরামর্শ দিয়েছেন। মেডিকেল বোর্ডের সাথে বৈঠক শেষে হাসপাতালের পরিচালক সাংবাদিকদের বলেছেন-বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য ঝুঁকিপূর্ণ নয়, কোন আশঙ্কার কারণ নেই, তাঁর সবধরণের চিকিৎসা দিতে প্রস্তুত রয়েছে বিএসএমএমইউ (পিজি হাসপাতাল)। পরিচালককে মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা বলেছেন-বেগম জিয়ার পুরনো রোগগুলোই তারা পেয়েছেন, অন্য কিছু নয়। তিনি বলেন, আমরা পূর্বেই বলেছিলাম-দেশনেত্রীর স্বাস্থ্য নিয়ে সরকার দলের অনুগত বোর্ড সদস্যরা সরকারের পছন্দানুযায়ী পরামর্শ দেবেন-সেটিই প্রমানিত হলো। দেশনেত্রীর স্বাস্থ্য যদি ঝুঁকিপূর্ণ না হয় তাহলে অন্যের সাহায্য ছাড়া তিনি এপাশ ওপাশ হতে পারেন না কেন ? একথা তো মেডিকেল বোর্ডই স্বীকার করেছে। দেশনেত্রীর অসুস্থতা নিয়ে মেডিকেল বোর্ডের বক্তব্য স্ববিরোধী ও সরকারের চিন্তারই প্রতিফলন।
বিএনপির নেতা বলেন, খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে গঠিত সরকারী মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ একদেশদর্শী ও সার্বজনীন চিকিৎসানীতির পরিপন্থী। একজন রোগীকে তাঁর পছন্দ অনুযায়ী চিকিৎসা দেয়া উচিৎ, এটি তাঁর মানবাধিকার, সেটি না করে কর্তৃপক্ষ জোর করে নিজেদের পছন্দের চিকিৎসকদের দিয়ে দেশনেত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো চরম প্রতিহিংসাপরায়ণ জেদেরই বহি:প্রকাশ।
সরকারের চাওয়া কারা ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পূরণ করছে অভিযোগ করে রিজভী বলেন, প্রতিমুহূর্তে আমরা সেই প্রমাণ পাচ্ছি। হাসপাতাল ও কারা কর্তৃপক্ষের আচরণ এমন যে, খালেদা জিয়া অসুস্থ হয়েছে তো কি হয়েছে। আরও হোক। এটা তাদের মনের চাওয়া, এটা পূরণ করার জন্যই তারা কাজ করছে।
তিনি বলেন, আমরা বলেছি বিএসএমএমইউতে আধুনিক যন্ত্রপাতি নেই, উন্নতমানের এমআরআই নেই। খালেদা জিয়ার ভাল চিকিৎসার জন্য বিশেষায়িত হাসপাতাল, উন্নতমানের যন্ত্র ও নিরপেক্ষ চিকিৎসক প্রয়োজন। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, শেখ হাসিনা চিকিৎসকদের মাঝে বিভাজন এত তীব্র করেছেন যে, সরকার গঠিত মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকরা প্রথমে দলের লোক মনে করে, এরপর নিজেদের ডাক্তার মনে করে।
তিনি বলেন, গুম ও ক্রসফায়ার যমজ এই সহিংস সর্বনাশা কর্মসূচি বাংলাদেশের মানুষের জীবনের অনিবার্য পরিণতি করা হয়েছে। সারাদেশে গুম ও ক্রসফায়ার পাল্লা দিয়ে চলছে। বর্তমানে অবৈধ আওয়ামী সরকার আর কোন উপায় না দেখে গুম ও ক্রসফায়ারের হত্যাকেই নির্ভরযোগ্য মনে করছে, টিকে থাকার শর্ত হিসেবে। বাংলাদেশের স্মৃতিতে আছে ‘৭১ এর বিভিষিকা, আর মানুষ এখন অবলোকন করছে আওয়ামী বিভিষিকা। হত্যা, নির্যাতন, বাসা থেকে তুলে নিয়ে অদৃশ্যে নির্যাতনের মাধ্যমে হত্যা করে পথেঘাটে ফেলে দেয়া, সবই ‘৭১ এর নবসংস্করণ।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদীন ফারুক, কেন্দ্রীয় নেতা মুনির হোসেন, আসাদুল করিম শাহিন প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।