Inqilab Logo

সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ২৪ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

ছাত্রদল সভাপতি-ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদকের কোলাকুলি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

২০০৯ সালে মহাজোট সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একক আধিপত্য ধরে রেখেছে আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ। সেই বছর ছাত্রদল নেতাকর্মীরা ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনা করলেও পরের বছর ২০১০ সালের ১৮ জানুয়ারি ছাত্রদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর ওপর হামলার মাধ্যমে ক্যাম্পাস থেকে বিতাড়িত হয় বিএনপির এই ভ্যানগার্ড। সেই থেকে এখন পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আর অবস্থান নিতে পারেনি ছাত্রসংগঠনটি। যদি একই বছরের ৯ সেপ্টেম্বর নতুন কমিটির নেতা আব্দুল কাদের ভূইয়া জুয়েল ও হাবিবুর রশিদ হাবিব বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে গেলে ছাত্রদলের বেশকিছু নেতাকে ছাত্রলীগের হামলার শিকার হতে হয়। পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির ডাকে বেশ কয়েকবার ক্যাম্পাসে গেলেও রাজনৈতিক কার্যক্রমে সক্রিয় হতে পারেনি দলটির নেতাকর্মীরা। সর্বশেষ গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ পরিষদের বৈঠকে যোগ দিতে সকালে রেজিস্ট্রার ভবনে যান বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের কেন্দ্রীয় ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতারা।
বৈঠকে উপস্থিত থাকার জন্য ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগ, বিএনপির সহযোগী সংগঠন ছাত্রদলসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের আদর্শে গঠিত ছাত্র সংগঠনের কেন্দ্রীয় ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে আমন্ত্রণ জানান বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
ডাকসু নির্বাচন নিয়ে পরিবেশ পরিষদের বৈঠকে আমন্ত্রণ পেয়ে সেখানে উপস্থিত হন ছাত্রদল সভাপতি রাজিব আহসান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার। এই বৈঠকের আগে থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপিপন্থী শিক্ষকরা। ছাত্রদলের নেতারা ক্যাম্পাসে আসছেন এ কারণে কোনো অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতি তৈরি হয় কি না তা নিয়েও বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতা-কর্মী, সাধারণ ছাত্র-ছাত্রী ও গণমাধ্যম কর্মীদের কৌত‚হল ছিল।
কিন্তু সকাল সাড়ে ১১টার দিকে দেখা গেল ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাজিব আহসান ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গাড়িতে করে সভাস্থলে পৌঁছান। এসময় তাদের সাথে আসেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দলের আহ্বায়ক প্রফেসর ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম। পৌনে ১২টা থেকে পৌনে ৪টা পর্যন্ত বৈঠক হয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও ছাত্রনেতাদের মধ্যে। যখন ছাত্র সংগঠনের নেতারা বেরুচ্ছেন তখন দেখা গেল বাইরে ছাত্রলীগের শতাধিক নেতা-কর্মী। আর ছাত্রদলের মাত্র ওই দুজন। ছাত্রদলের ওই দুই নেতাকে তখন নিরাপদে বের করার জন্য প্রাণান্ত চেষ্টা করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর গোলাম রব্বানী। ছাত্রদলের দুই নেতাকে ঘিরে ছাত্রলীগের নেতারা। ছাত্রদলের দুই নেতার মধ্যে ছিল আতঙ্ক। বারবার তারা পেছনের দিকে দেখছিলেন।
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজোয়ানুল হক চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী এবং বিশ্ববিদ্যালয়রে নেতারা ঘিরে রেখেই ছাত্রদলের দুই নেতাকে রেজিস্ট্রার ভবন থেকে বের করে আনলেন। এরপরই দুই নেতা সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। সেখানে ওই দুই নেতার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়ি অপেক্ষা করছিল। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতারা ছাত্রদলের নেতাদের বিদায় দিলেন সেখানে। বিদায়ী আলাপের মধ্যেই ছাত্রদলের সভাপতি রাজিব আহসানকে জড়িয়ে ধরে কোলাকুলি করলেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানী। এরপরই গাড়িতে উঠে বসলেন ছাত্রদলের নেতারা। বিদায় নেন ক্যাম্পাস থেকে।#



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ছাত্রলীগ

২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ