বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কুমিল্লায় মধু চাষ করে আর্থিক দৈন্য জয় করেছেন কয়েকটি পরিবার। চান্দিনা উপজেলার খাদঘর গ্রামের সফিক মিয়া মৌমাছির চাকের খোঁজে পাহাড়-জঙ্গলে ঘুরে বেড়াতেন। মৌমাছির চাক (বাসা) পেলেই মৌমাছি তাড়িয়ে চাক থেকে মধু সংগ্রহ করে বিক্রি করতেন। এক পর্যায়ে তিনি বাণিজ্যিকভাবে মধু চাষের প্রতি ঝুঁকে পড়েন।
সাতক্ষীরা এলাকার ছেলে সফিকের সাফল্য দেখে চান্দিনার খাদঘর, মুরাদপুর এবং পাশর্^বর্তী উপজেলা মুরাদনগরের ভাসখোলা, বাবুটিপাড়া গ্রামে প্রায় ২ শতাধিক মানুষ মধু চাষে আগ্রহী হন। ২০১২ সালের দিকে সাতক্ষীরা থেকে কেউ কেউ প্রশিক্ষণ নিয়ে তারা মধু ব্যবস্থার কাজ শুরু করেন। বিভিন্ন ধাপে ৫০-৬০ চাষি প্রশিক্ষণ নিয়েছেন এবং পূর্বের তুলনায় উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে এখন তারা মধু চাষ করছেন কুমিল্লায়। বছরে একেকটি বাক্সের মৌমাছির ১৫-১৬ বার ভেঙে ৫০-৬০ লিটার মধু সংগ্রহ করে ১৫-১৭ হাজার টাকা প্রতি বাক্সে থেকে আয় করেন। একেক জন চাষির বাড়িতে ৫০ থেকে ১০০টি বাক্স রয়েছে। একটি বাক্স বসাতে খরচ হয় পাঁচ হাজার টাকার মধ্যে।
এপিস সেরেনা (দাসকুলি) নামের মৌমাছি লালন-পালন করে মধু চাষ করা হয়। উন্নত প্রজাতির আফ্রিকান মিলিপ্যাগ মৌমাছি লালন-পালন করে মধু চাষ করা হলে বছরে কমপক্ষে ৬০-৭০ লিটার মধু একেকটি বাক্স থেকে উত্তোলন সম্ভব বলে জানান নাওতলা এলাকার মধু চাষি সফিক। তবে তার জন্য প্রয়োজন আরও উন্নতমানের প্রশিক্ষণ ও সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা।
সফিক মিয়া জানান, মধু চাষে কম খরচে বেশি আয় হয়। এক লিটার মধু বিক্রিতেই হাতে আসছে ৩০০-৪০০ টাকা।চান্দিনার মধু চাষি সফিক জানান, মৌ-চাষে যে উপকরণ বেশি পরিমাণে প্রয়োজন, যেমন শস্যচাষ, ফুল ও ফলের বাগান তা কম হওয়ায় অনেক সময় আশানুরূপ মধু পাওয়া যায় না। কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ উদ্যোগী হয়ে চাষিদের শস্য ও ফলমূল চাষে প্রলুব্ধ করলে মধু চাষিরা আরও সফল হবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।