বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) উপজেলা : ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে সরকারের দেওয়া নিয়মনীতিকে তোয়াক্কা না করে কাজিরা অর্থের বিনিময়ে অবৈধ ভাবে অহরহ বাল্যবিবাহ দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জানাগেছে, কনে এবং বর পঞ্চমশ্রেণির ছাত্র-ছাত্রী। উপজেলার সিংহোর গ্রামের সবানুরায়ের একমাত্র ছেলে শ্রী সাগর রায় (সওদাগর)’র বলিদ্বারা গ্রামের ভবেশ চন্দ্র রায়ের মেয়ে শ্রীমতি দীতি রাণী (শান্তি)’র সহিত নোটারি পাবলিক ক্লাবের মাধ্যমে বাল্য বিবাহ সম্পন্ন হয়।
সরে জমিনে তদন্তকালে অভিভাক ও কনে এবং বরের তথ্য মতে জানা যায়, সাগর সিংহোর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির ছাত্র। দীতি রাণী বলদাণী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির নিয়মিত ছাত্রী। তারা প্রায় ১বছর যাবৎ সম্পর্ক করে আসছে। মেয়ের পিতা, মাতাসহ স্থানীয় একটি চক্রের সহযোগিতায় পীরগঞ্জ উপজেলায় বাসগাড়া নামক স্থানে মেয়ের ধরম বাপ নারয়ণ’র বাড়িতে দুই শিশুর বিবাহ সম্পন্ন করে পুরোহিত সুকুমার রায়। মেয়ের পিতা ভবেশ চন্দ্র রায় ও মাতা জ্ঞানী রাণী জানান, বলিদ্বারা গ্রামের আঃ রাজ্জাক পিতা আলেফ উদ্দীন ও পরেশসহ আরো কয়েকজন মিলে বর এবং কনের ডুব্লিকেট আইডি কার্ড তৈরি করে মেয়ের বয়স ১৯ এবং ছেলের বয়স ২২ করে নোটারি পাবলিক অব বাংলাদেশ, ঠাকুরগাঁওয়ে এফিডেভিট করে পীরগঞ্জ উপজেলার কাজী সুকুমার দ্বারা বিবাহ রেজিস্টারি করা হয়।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার নাহিদ হাসান জানান, বিষয়টি ইতোমধ্যে জানতে পারলাম। বাল্যবিবাহ প্রতিরোধের জন্য সরকার বিভিন্ন ভাবে মিটিং, সেমিনার করে আসছেন। তার পরেও একটি কুচক্রী মহল বাল্যবিবাহর সাথে জড়িত আছে। তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান আবু সুলতান জানান, বলিদ্বারায় একটি চক্র এ বাল্যবিবাহর সাথে জড়িত আছে। খবর পেয়ে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহফুজা বেগম পুতুল ঘটনাস্থলে তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পেয়েছে বলে জানান। এব্যাপারে ছেলের মাতা শ্রীমতি পদিনা বাদী হয়ে উপজেলা মহিলা অধিদপ্তরে ২২ এপ্রিল একটি অভিযোগ দায়ের করে। তিনি বলেন ভবেশ ও তার স্ত্রী জ্ঞানী রাণী তার ছেলেকে বাড়িতে ডেকে পীরগঞ্জে নিয়োগয়ে তার মেয়ের সাথে বিয়ে দিয়েছে।
থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রেজাউল করিম জানান, আমার এলাকার বাইরে এবং আমার অজান্তে বাল্যবিবাহ হয়েছে। বিষয়টি ম্যাজিস্ট্রেট প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিলে নিতে পারে এবং আমার সহযোগিতা চাইলে আমি করতে পারি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।