Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ময়মনসিংহে কথিত সম্পাদকের বিরুদ্ধে চাদাঁবাজি মামলা

ময়মনসিংহ ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ৬:৪৮ পিএম

ময়মনসিংহে কথিত ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা দায়ের হয়েছে। গতকাল রবিবার দুপুরে ময়মনসিংহের বিজ্ঞ ১নং আমলী আদালতে ভুক্তভোগী মো: কামাল বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ময়মনসিংহ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের আইনজীবী অ্যাড.রাইসুল ইসলাম জানান, মামলায় পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক খাইরুল আলম রফিককে প্রধান আসামী করে অজ্ঞাত আরও ৫/৬ জনকে আসামী করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে কামাল দাবি করেন, আমি একজন ফটো সংবাদিক। নিয়মিত বিভিন্ন সংবাদের ছবি সাপ্তাহিক সোনালী শীষ পত্রিকায় প্রেরণ করি। ফলে দৈনিক ময়মনসিংহ প্রতিদিন পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক খাইরুল আলম রফিক আমাকে তার পত্রিকায় নিয়মিত ছবি দিতে বলে। কিন্তু তার কথামত ছবি না দেওয়ায় আমাকে হুমকি দিয়ে মানহানিকর সংবাদ প্রকাশ করে এবং দুই লক্ষ টাকা চাঁদা না দিলে আমার বিরুদ্ধে আরো মানহানিকর সংবাদ প্রকাশের হুমকি দিয়ে আমার উপর হামলা করে।
কামাল অভিযোগ করে বলেন, ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসকের জুডিশিয়াল মুন্সিখানা থেকে গত বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারী ওই পত্রিকার কর্তৃপক্ষকে ছাপাখানা ও প্রকাশনা আইন-১৯৭৩ এর পরিপন্থি কর্মকান্ড এবং পত্রিকাটিতে অসত্য হয়রানীমূলক সংবাদ পরিবেশনের অভিযোগে কেন পত্রিকার ঘোষনা ও নিবন্ধন বাতিল করা হবে না মর্মে ৭দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারী করেন তৎকালীন জেলা প্রশাসক মো: খলিলুর রহমান। কিন্তু র্দীঘ সময় অতিবাহিত হলেও ওই নোটিশের কোন জবাব দেয়নি পত্রিকা কর্তৃপক্ষ। যা কর্তপক্ষের আদেশ অবমাননার শামিল। ফলে তৎকালীন জেলা প্রশাসক ওই বছরের ১৫ মার্চ দ্বিতীয় দফায় কেন পত্রিকার ঘোষনা ও নিবন্ধন বাতিল করা হবে না মর্মে ৫দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারী করেন।
এবিষয়ে ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক ড.সুভাষ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, বিষয়টি আমার সামনে উত্থাপন না হওয়ায় আমি অবগত নই। তবে খোঁজ নিয়ে এবিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সূত্র জানায়, বিগত ২০১৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারী ময়মনসিংহ প্রতিদিন পত্রিকা কতৃপক্ষের বিরুদ্ধে প্রতারনা ও বিতর্কিত কর্মকান্ডের অভিযোগে নগরীর চরপাড়া এলাকার বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলম ফেরদৌস বিভাগীয় কমিশনার বরাবরে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়ে লিখিত অভিযোগ করেন।
আরেক ভুক্তভোগী নগরীর চরপাড়া এলাকার ঠিকাদার হাসেম আলী জানান, চাঁদা না দেওয়ায় সাংবাদিক নামধারী রফিক আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ করে। এ ঘটনায় দ্রুত বিচার আইনে মামলা দায়ের হলে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করেন বিজ্ঞ আদালত। এছাড়াও চাঁদা না দেওয়ায় ত্রিশাল নজরুল ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মজিবুর রহমানের নামে সাংবাদিকতার প্রভাব খাটিয়ে ২০১৭ সালে দ্রুত বিচার আদালতে মামলা দায়ের করেন খাইরুল আলম রফিক। ওই মামলার অভিযোগ পিবিআই’র তদন্ত প্রতিবেদনে মিথ্যা প্রমাণিত হয়। ফলে রফিক ক্ষিপ্ত হয়ে পিবিআই’র বিরুদ্ধে বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ করে চাপে ফেলার চেষ্টা করে। একই ভাবে ময়মনসিংহ সদর উপজেলার ময়লাকান্দা এলাকার বাসিন্দা আলাল উদ্দিন ও তাঁর স্ত্রী-সন্তান’সহ এলাকাবাসীর নামে মিথ্যা মামলা করে হয়রানী করে সাংবাদিক নামধারী রফিক।
ভূক্তভোগী মো: কামাল অভিযোগ করেন, খাইরুল আলম রফিক ময়মনসিংহ প্রতিদিন পত্রিকা ব্যবহার করে অসংখ্য মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা-বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ করে চাঁদাবাজী ও হয়রানী করছে। এসব ঘটনায় দেশের বিভিন্ন স্থানে বহু মামলা দায়ের হয়েছে। এছাড়াও শম্ভুগঞ্জ লালকুঠির দরবার শরীফের বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট ও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত এনে সংবাদ প্রকাশ করায় গাজীপুর, নেত্রকোনা, শেরপুর এবং ময়মনসিংহে অসংখ্যা মামলা দায়ের হয়েছে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চাদাঁবাজি মামলা
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ