পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মহররম মাসে করণীয় নফল ইবাদতের গুরুত্ব অপরিসীম। তন্মধ্যে রয়েছে প্রথম দশদিন রোজা রাখা প্রত্যহ সামর্থ অনুসারে নফল নামাজ আদায় করা, কুরআন তিলাওয়াত করা, যিকির আজকার ও মোরাকাবা ও মোশাহাদায় নিমগ্ন থাকা। আল্লাহ পাকের এক বুযুর্গ বান্দাহ বলেছেন : আশুরার দিনে নিম্নোক্ত দশটি কাজ খুবই পুণ্যের। (১) ওলী আল্লাহদের সান্নিধ্যে গমন করা। এর প্রতি ইঙ্গিত প্রদান করে আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জত কুরআনুল কারীমের সূরা তাওবাহ-এর ১১৯ নং আয়াতে ইরশাদ করেছেন : “হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং সত্যবাদীদের সান্নিধ্যে থাক।” এই আয়াতে কারীমায় সত্যবাদী বলতে ওলী আল্লাহদের প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে। কেন না, তারা আল্লাহর নির্দেশ মোতাবেকই জীবন পরিচালনা করেন। (২) নফল রোজা রাখা। (৩) দান সদকাহ করা। (৪) অজু করার পর চোখে সুরমা ব্যবহার করা। (৫) পরিবারের আহার সামগ্রীর পর্যাপ্ত আয়োজন করা। (৬) বেশি বেশি নফল নামাজ আদায় করা (৭) প্রত্যুষে গোসল করে সারা দিন পবিত্র অবস্থায় থাকা। (৮) অনাথ এতিমদের মাথায় স্নেহভরে হাত বুলানো। (৯) হাত পায়ের নখ কাটা। (১০) কুরআনুল কারীম তিলাওয়াত করা এবং বিশেষ করে এক হাজার বার সূরা ইখলাস পাঠ করা। হযরত হাফসা (রা:) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেছেন : রাসূলুল্লাহ (সা:) চারিটি আমল কখনও পরিত্যাগ করেননি। (১) আশুরার দিন রোজা রাখা। (২) জিলহাজ মাসে ৯টি রোজা রাখা। (৩) প্রতি আরবী মাসের তিন দিনের (আইয়্যামে বীজের) রোজা রাখা, (৪) ফজরের ওয়াক্তে দুই রাকাত সুন্নাত নামাজ আদায় করা। (মিশকাত শরীফ : ১/১৮০ পৃ:)। আশুরার দিন রোজা রাখার বিষয়টি সম্পর্কে একটি ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট খুঁজে পাওয়া যায়। এ প্রসঙ্গে হযরত আবু হুরায়রা (রা:) বলেন : রাসূলুলল্লাহ (সা:) মদীনা মুনাওওয়ারায় একদিন কতিপয় ইহুদীদের নিকট দিয়ে গমন করছিলেন। তিনি দেখতে পেলেন তারা আশুরার দিবসের রোজা রেখেছে। তিনি তাদেরকে জিজ্ঞেস করলেন, এটা কিসের রোজা? তারা উত্তর করল, এটা ঐদিন যে দিন আল্লাহরাব্বুল ইজ্জত হযরত মূসা (আ:) ও বনী ইস্রাঈলকে নীলনদের নিমজ্জিত হওয়া থেকে উদ্ধার করেছেন। আর ফেরাউন তার সঙ্গী-সাথীদেরকে ডুবিয়ে মেরে ছিলেন। আর ঐদিনে হযরত নূহ (আ:) এর নৌকা জুদী পর্বতে স্থিত হয়েছিল। ফলে হযরত মূসা (আ:) ও হযরত নূহ (আ:) আল্লাহ পাকের অনুগ্রহের শোকরিয়া স্বরূপ রোজা রেখে ছিলেন। একথা শুনে রাসূলুল্লাহ (সা:) বললেন : হযরত মূসা (আ:)-এর উপর আমার হকই বেশি এবং এই দিনে রোজা রাখার আমিই বেশি হকদার। আর সাহাবীদেরকে বললেন : তোমরা আশুরার দিন রোজা রাখ। আমিও রেখেছি। মিশকাত শরীফ : ১/১৮০ পৃ:)।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।