পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে বকেয়া বিদ্যুৎ বিলের পরিমান এক হাজার ৪৩৫ কোটি ৩১ লাখ টাকা। এর মধ্যে ৪০ মন্ত্রণালয়ের কাছেই পাওনা ৬৬৮ কোটি টাকা। আর আধা-সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার কাছে বকেয়া আছে ৭৬৬ কোটি টাকা। গতকাল বৃহস্পতিবার সরকারদলীয় সদস্য নজরুল ইসলাম বাবুর প্রশ্নের জবাবে বিদুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সংসদকে এ তথ্য জানান।
প্রতিমন্ত্রীর দেয়া তথ্যানুযায়ী সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৯৫ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের কাছে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বকেয়া ৬৪ কোটি টাকা বকেয়া আছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে। এছাড়া কৃষি মন্ত্রণালয়ের কাছে ২৪ কোটি, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ২০ লাখ, যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে ২২ কোটি, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ে আট কোটি, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে ২১ কোটি, স্থানীয় সরকার বিভাগে ৩৬ কোটি, বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ে ১৬ কোটি, নির্বাচন কমিশনে আট কোটি, অর্থ বিভাগে ১০ কোটি, মৎস ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রণালয়ে তিন কোটি, খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ে ৪৪ কোটি, খাদ্য মন্ত্রণালয়ে ৫২ কোটি, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে ৪৬ কোটি, তথ্য মন্ত্রণালয়ে ছয় কোটি, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে ১১ কোটি, ভ’মি মন্ত্রণালয়ে আট কোটি, আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে নয় কোটি, স্থানীয় সরকার ও সমবায় মন্ত্রণালয়ে সাত কোটি, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে ১৩ কোটি, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে ১২ কোটি, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে ১২ কোটি, প্ল্যানিং কমিশনে ১১ কোটি, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয় মন্ত্রণালয়ে দুই কোটি, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে ৫৭ কোটি, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনে দুই কোটি, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে চার কোটি, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে দুই কোটি, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে চার কোটি, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে চার কোটি, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ে ৬০ লাখ, এছাড়া পাট ও বস্ত্র, সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি), বিজ্ঞান তথ্য ও প্রযুক্তি, শিল্প, বিদ্যুৎ, জ¦ালানি ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ে আরও প্রায় দুই কোটি টাকা বকেয় রয়েছে। প্রতিমন্ত্রীর তথ্যে সরকরি প্রতিষ্ঠানগুলোর নাম উল্লেখ করলেও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে যার বকেয়া বিদুৎ বিল রেখেছে তাদের নামের তালিকা দেয়া হয়নি।
শতভাগ বিদ্যুতায়ন এই বছরের মধ্যেই
জাতীয় পার্টির সদস্য ফখরুল ইমামের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, একমাত্র বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় ৩০০ নির্বাচনী এলাকায় নির্দিষ্ট তারিখ দিয়ে বিদ্যুতায়নের কাজ করেছি। এখন পর্যন্ত শতকরা ৯২ ভাগ এলাকায় বিদ্যুৎ পৌছে দিতে সক্ষম হয়েছি, বাকীটাও দ্রুতই শেষ করা যাবে। আমাদের টার্গেট ২০১৮ সালের মধ্যে শতভাগ বিদ্যুতায়ন করা। এরজন্য আর দুই মাস লাগবে। তিনি বলেন, আমাদের টার্গেট ২০১৮ সালের মধ্যে শতভাগ বিদ্যুতায়ন, যতদ্রুত সম্ভব কাছাকাছি চলে যাব। আমাদের প্রতিটি এলাকায় খাল, বিল অতিক্রম করে নতুন ট্রান্সফর্মা, মাইলকে মাইল তার টেনে নতুন গ্রিড লাইন করে সীমিত অর্থের মধ্যে কাজ করাটা খুবই চ্যালেঞ্জ। আগামীতে আমরা চাইবো বিদ্যুৎ খাতে অর্থ বেগবান করার জন্য অর্থমন্ত্রী আন্তরিক হবেন। এজন্য সকল এমপিকে একত্রিতভাবে কাজ করতে হবে।
বর্জ্যভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ
কামাল আহমেদ মজুমদারের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, রাজধানীর ঢাকা দক্ষিণ এবং উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতাধীন বর্জ্য থেকে ৬০ থেকে ৭০ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। প্রাথমিক পর্যায়ে বেসরকারিভাবে উদ্যোক্তা নিয়োগের মাধ্যমে আইপিপি হিসেবে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন পরিকল্পনার আওতায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৩৫ মেগাওয়াট এবং উত্তর সিটি করপোরেশনে ৩৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করার প্রক্রিয়াকরণ চলছে। তাছাড়া নারায়ণগঞ্জ জেলায় পাঁচ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন বর্জ্য ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করার জন্য গত ২৫ জুলাই দরপত্র আহ্বায়ক করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।