Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দায় এড়িয়ে যাচ্ছে সবাই দুটি তদন্ত কমিটি গঠন

পঞ্চায়েত হাবিব | প্রকাশের সময় : ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ১২:০১ এএম

জাতীয় সংসদে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের দায় সবাই এড়িয়ে গেলেও সংসদ ভবন রক্ষাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা গনপূর্ত অধিদপ্তরের (পিডব্লিউডি) কর্মকর্তাদের অবহেলাকেই এ জন্য দায়ী করছেন সংসদ ও বিদ্যুৎ বিভাগ সংশ্লিষ্টরা। নজিরবিহীন এই ঘটণায় চলমান সংসদ অধিবেশনের সব কার্যক্রম স্থগিত করতে স্পিকার বাধ্য হলেও সংসদে কর্তব্যরত পূর্ত কর্মকর্তারা তাৎক্ষণিক সমাধানের কোনো উদ্যোগ তো গ্রহণ করেনইনি উল্টো এর দায় বিদ্যুৎ বিভাগ ও ঢাকা বিদ্যুৎ বিতরণ কর্তৃপক্ষের (ডিপিডিসি) কাঁধে দিতেই ব্যতিব্যস্ত হয়ে উঠেন। মেঘনা ঘাটের ৪০০ মেঘাওয়াট বিদ্যুৎগ্রিডের কাল্পনিক সমস্যার অজুহাত দেখিয়ে নিজেদের দায় সারতেও উঠে পড়ে লাগেন প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বশীলরা।
এদিকে বিদ্যুৎগ্রিডে কোনো সমস্যা হয়নি জানিয়ে এই ঘটণার জন্য স্থানীয় পিডবিøউডিকেই দায়ী করছে বিদ্যুৎ বিভাগ। দায় যে তাদের নয় এটি প্রমাণে বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে এরইমধ্যে দু’টি তদন্ত কমিটি গঠন করে দেয়া হয়েছে। বিদ্যুৎ বিভাগের যুগ্ম সচিব ফয়জুল আমীনকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি এবং ডিপিডিসির পরিচালক (অপারেশন) এ টি এম হারুনুর রশীদকে প্রধান করে চার সদস্যের আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। অধিকতর তদন্তের মাধ্যমে কমিটি দুটিকে দ্রুত প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। গত মঙ্গলবার বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে জাতীয় সংসদে নেমে আসে অন্ধকার। বিকেল ৫টায় সংসদ অধিবেশন শুরুর পনের মিনিট আগে বিদ্যুৎ চলে গেলেও সেখানে সন্ধ্যা পর্যন্ত লাইন দিতে না পারায় সংসদের বেশির ভাগ ব্লক অন্ধকারে ছেয়ে যায়। এজন্য অধিবেশনও শুরু হয় পনের মিনিট পর। তবে কিছু কিছু ব্লকে জেনারেটর নিয়ে আলোর ব্যবস্থা করে ঘণ্টা খানেক অধিবেশন চলার পর ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া সংসদের সব কাজ স্থগিত করে অধিবেশন মুলতবি করে দেন। এ বিষয়ে পরে ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া বলেন, বিদ্যুৎ না থাকায় অধিবেশন চালানো সম্ভব হচ্ছে না। সংশ্লিষ্টরা আমাদের জানিয়েছেন, মেঘনা ঘাটের ৪০০ মেঘাওয়াট বিদ্যুৎগ্রিডে কারিগরি সমস্যা দেখা দেয়ায় সংসদে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এজন্য সংসদের অধিবেশন মুলতবি করা হয়েছে।
সংসদের কর্মকর্তারা ইনকিলাবকে জানান, বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর তা আসলেও সংসদের লাইন দেয়া যাচ্ছিল না। বার বার কেটে যাচ্ছিল। এজন্য এখন আর লাইন দেয়ার সাহস পাচ্ছেন না কর্মকর্তারা। পরীক্ষা নিরীক্ষা করে লাইন দেয়া হবে।
এ বিষয়ে ডিপিডিসির প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী পরিচালক মো. রমিজ উদ্দিন সরকার ইনকিলাবকে বলেন, মেঘনাঘাটের বিদ্যুৎকেন্দ্র ট্রিপ করায় পিজিসিবির আমিনবাজারের ১৩২ কেভি গ্রিড লাইন ‘ট্রিপ’ করে। এতে আমিন বাজার থেকে সংসদ ভবনে আসা ডিপিডিসির লাইনটিতে লো ভোল্টেজের সমস্যা হয়। যার ফলে ডিপিডিসির বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে স্বয়ংক্রিয়ভাবে জেনারেটর চালু হয়ে যায়। ডিপিডিসির কোনও সমস্যা ছিল না। তবে পিজিসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুম আল বেরুনী বলেন, আমাদের কোনও লাইন ট্রিপ করেনি। ফলে পিজিসিবির লাইনের কারণে এ ঘটনা ঘটেনি। তারা বলছেন, এটি ডিপিডিসি বা পিজিসিবির সমস্যা নয়। যেহেতু সংসদের বিদ্যুৎ সরবরাহের দায়িত্ব পালন করে গণপূর্ত (বিদ্যুৎ) বিভাগ তাদের কোনও সমস্যা হতে পারে। এবিষয়ে গনপূর্তের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করা হলেও তারা কেউই এ বিষয়ে মুখ খুলছেন না।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিদ্যুৎ

১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
১৮ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ