বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
তিন সন্তানই উচ্চ শিক্ষিত, সমাজে প্রতিষ্ঠিত। জীবনের সহায়-সম্বল দিয়ে যাদের প্রতিষ্ঠিত করেছেন তারাই এখন জন্মদাতার খবর নেন না। চরম অসহায় অবস্থায় স্ত্রীকে নিয়ে জীবন বাঁচাতে তাই আদালতে হাজির হন বৃদ্ধ পিতা। তিনি তিন পুত্রের বিরুদ্ধে ভরণ পোষণ চেয়ে মামলা করেছেন। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মঙ্গলবার বাদীর জবানবন্দী রেকর্ড করে তিন পুত্রকে সশরীরে হাজির হওয়ার সমন জারির নির্দেশ দিয়েছেন।
মানবাধিকার সংগঠন বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশন-বিএইচআরএফ-এর আইনী সহায়তায় অবসরপ্রাপ্ত পরিসংখ্যান কর্মকর্তা মোঃ সাইদুল হক (৭২) এ মামলা দায়ের করেন। তিনি মীরসরাই পূর্ব মালিয়াইশ গ্রামের ধনমিয়া বাড়ীর বাসিন্দা মরহুম মোঃ সোবহানের পুত্র। অভিযুক্ত তিন পুত্র হলেন- ঠিকাদার মোঃ নাজমুল হক হেলাল (৪৪), বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা মোঃ সাইফুল হক (৩৬) এবং ন্যাশনাল ব্যাংক গুলশান শাখার কর্মকর্তা মোঃ মাইনুল হক (৩৪)।
বাদী আদালতকে জানান, তিন সন্তানকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করেছেন, তারা এখন প্রতিষ্ঠিত। অবসর জীবনে নানা অসুখ-বিসুখে আক্রান্ত হলেও তার তিন সন্তান বাবা-মায়ের কোন খবর নেন না। দেন না ভরণ পোষণ। সম্প্রতি তিনি কন্যার সাহায্যে চোখে অপারেশন করান। ওই দুঃসময়ে তার তিন ছেলে তাকে দেখতে হাসপাতালেও যাননি। সন্তানদের কাছে খোরপোষ চেয়ে নানা দেন দরবার করেছেন। আত্মীয় স্বজনদের দিয়ে দফায় দফায় সালিশ বৈঠকেরও আয়োজন করেছেন। কিন্তু তারা পিতা মাতার কোন দায়িত্ব নিয়ে রাজি না।
সাইদুল হক নিজেই মানবাধিকার কর্মী উল্লেখ করে বলেন, এখন নিজের অধিকারের জন্য আমাকে আদালতের দ্বারস্থ হতে হলো। বাদী পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন মানবাধিকার আইনজীবী এএম জিয়া হাবীব আহসান, এএইচএম জসিম উদ্দিন, প্রদীপ আইচ দীপু, সাইফুদ্দিন খালেদ, মোঃ হাসান আলী প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।